রুবেল হত্যায় বাবা-ছেলের যাবজ্জীবন

বাবা-ছেলের যাবজ্জীবন। প্রতীকী

রুবেল হত্যায় বাবা-ছেলের যাবজ্জীবন

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি

সুনামগঞ্জে হত্যা মামলায় বাবা ও দুই ছেলের যাবজ্জীন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সোমবার দুপুরে সুনামগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন এ রায় ঘোষণা করেন।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হচ্ছেন- মির্জা হাছন আলী, তার ছেলে নোমান মিয়া ও কামাল মিয়া।

আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০০০ সালের ২০ আগস্ট রাতে জেলার তাহিরপুর উপজেলার চিকসা গ্রামের রনজিৎ পুরকায়স্থের রুবেলকে একই গ্রামের তার সহপাঠী নোমান বাড়ি থেকে জরুরি কাজ আছে বলে ডেকে নেয়।

পরে রাত দুটার দিকে চোর চোর বলে চিৎকার শুনে ঘর থেকে বের হয়ে রনজিৎ পুরকায়স্থ কোথায় চোর বললে একই গ্রামের মির্জা হাছন আলী বলেন তোদের বাড়িতেই চোর। পুকুর পাড়ে গিয়ে দেখ কে চোর। রনজিৎ পুকুর পাড়ে গিয়ে দেখে তার ছেলে রুবেল রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে রুবেলকে তাহিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এর আগে হাসপাতারে নিয়ে যাওয়ার পথে রুবেল তার বাবা রনজিৎ পুরকায়স্থকে জানায়, গ্রামের মির্জা হাছন আলীর নির্দেশে হাছন আলীর ছেলে নোমান ও কামাল তাকে ধাঁরালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে পুকুর পাড়ে ফেলে রেখেছে।

এ ঘটনায় পর দিন ২১ আগস্ট রুবেলের বাব রনজিৎ পুরকায়স্থ বাদী হয়ে তাহিরপুর থানায় উপজেলার চিকসা গ্রামের মৃত জোয়াহের আলীর ছেলে মির্জা হাছন আলী ও মির্জা মশ্রব আলী, মির্জা হাছন আলীর ছেলে নোমান মিয়া ও কামাল মিয়া, একই গ্রামের মৃত মোক্তার আলী খান পাঠানের ছেলে নাছির উদ্দিন খান পাঠান, ছোয়াব মিয়ার ছেলে শায়েস্তা মিয়া ও বাবুল মিয়াকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।

তদন্ত শেষে পুলিশ আদালতে চার্জশিট দাখিল করে। দীর্ঘ শুনানি শেষে আদালতের বিজ্ঞ বিচারক মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন মির্জা হাছন আলী ও তার দুই ছেলে নোমান মিয়া এবং কামাল মিয়াকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেন। অনাদায়ে আরো ২ মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। সেই সঙ্গে আসামি মির্জা মশ্রব আলী, নাছির উদ্দিন খান পাঠান প্রকাশ নিশি মিয়া, শায়েস্তা মিয়া ও বাবুল মিয়াকে বেকসুর খালাস দেন আদালত।

(নিউজ টোয়েন্টিফোর/বোরহান/তৌহিদ)

সম্পর্কিত খবর