যুবসমাজকে দক্ষ, কর্মক্ষম ও উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তুলতে পারলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শুধু একটি জেলা নয়পুরো দেশের অর্থনীতিতে রাখবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। এমনটাই মনে করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির অন্যতম সদস্য, বিশিষ্ট সমাজসেবক ও আন্তর্জাতিক ব্যবসায়ী কবীর আহমেদ ভূঁইয়া। তার ভাষায়, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার প্রায় ৪০ লক্ষ মানুষের সম্ভাবনার মূলভিত্তি এখানকার কর্মক্ষম যুবসমাজ। সঠিক পরিকল্পনা, প্রশিক্ষণ ও প্রণোদনা দেওয়া গেলে তারা দেশীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারবে। সমন্বিত যুব উন্নয়ন পরিকল্পনার প্রধান স্তম্ভসমূহ: ১. ডিজিটাল স্কিল ট্রেনিং সেন্টার ফ্রিল্যান্সিং, ওয়েব ও অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট, গ্রাফিক ডিজাইন, ভিডিও এডিটিং ও ডিজিটাল মার্কেটিং বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। এ কেন্দ্রগুলো বাস্তবায়নে সরকার-বেসরকারি অংশীদারিত্ব (PPP)...
যুব সমাজকে পরিচর্যার মাধ্যমে উন্নয়নের মডেল হতে পারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া
আলহাজ্ব কবীর আহমেদ ভূঁইয়া

জাতীয়তাবাদের উপহার সবাই মিলে এক জাতি
অধ্যাপক ড. মোর্শেদ হাসান খান

চব্বিশের গণ অভ্যুত্থান-পরবর্তী বাংলাদেশের রাজনীতি নিয়ে নানামুখী আলোচনা-সমালোচনা প্রবহমান। বিশেষ করে এ ভূখণ্ডে আগামীর জাতিসত্তা বিনির্মাণে কেমন রাজনীতি প্রয়োজন কিংবা রাজনীতিবিদদের মধ্যে কোন আঙ্গিকের সংস্কার প্রয়োজন সেটি নিয়ে বেশ যুক্তি-পাল্টা যুক্তি চোখে পড়ছে। একজন জাতীয়তাবাদী রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে বিষয়টি আমাকেও ভাবিয়েছে। আমি মনে করি আওয়ামী ফ্যাসিবাদের পতনের পর বাংলাদেশকে তার শিকড়ে ফিরে আসতে হবে। জাতি-ধর্ম, গোত্র-বর্ণনির্বিশেষে সব মানুষের জন্য জাতীয় পরিচয় নির্ধারণ করার এখনই সময়। আমাদের মন ও মগজে নেশন ফার্স্ট- এ চেতনার প্রবেশ এবং তার সংরক্ষণ যত দিন না সঠিকভাবে করানো যাবে তত দিন আমরা একটি সত্যিকারের দেশপ্রেমিক জাতি হিসেবে গড়ে উঠতে পারব না। চব্বিশের গণ অভ্যুত্থান সেই চেতনার উন্মেষ ঘটিয়েছে। এখন সেটি পরিচর্যা করে ছড়িয়ে দেওয়ার সময়। আর এ জন্য...
তারুণ্যের কাছে প্রত্যাশা
সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী

তাহলে এখন কী করা দরকার আমাদের? দরকার হলো গোটা ব্যবস্থাটাকে বদলানো। পুঁজিবাদী ব্যবস্থা যা দেওয়ার, তা এরই মধ্যে দিয়ে ফেলেছে, এর পরে সে আর কিছু দিতে পারবে না, ধ্বংস ছাড়া। যাকে আমরা আধুনিক যুগ বলে জানি, সেটি একদিন বের হয়ে এসেছিল সামন্তবাদের অন্ধকার ছিন্ন করে। নতুন যুগের কারিগরদের একজন ছিলেন ফ্রান্সিস বেকন। তিনি ছিলেন বিজ্ঞানচর্চায় নিবেদিতপ্রাণ, তাঁর মৃত্যু ঘটে বৈজ্ঞানিক এক অনুসন্ধান পরিচালনা করতে গিয়ে। বরফের সংরক্ষণশীলতা বিষয়ে পরীক্ষা করতে গিয়ে তিনি ঠাণ্ডায় আক্রান্ত হন এবং সেই অসুখেই তাঁর মৃত্যু হয়। ফ্রান্সিস বেকন ছিলেন ইংল্যান্ডের সর্বোচ্চ আদালতের সর্বোচ্চ বিচারক এবং ওই পদে থাকাকালেই কিন্তু তিনি উৎকোচ গ্রহণ করেছিলেন। অপরাধটি ধরা পড়ে এবং তিনি শাস্তি পর্যন্ত পান। শুধু তা-ই নয়, তিনি নিজেই স্বীকার করেছেন যে ওই শাস্তি তাঁর প্রাপ্য ছিল। যাকে...
মামলাবাণিজ্যে ধ্বংস হচ্ছে দেশ
সুলতান মাহামুদ রেজা

ভারতের কিংবদন্তি শিল্পোদ্যোক্তা প্রয়াত রতন টাটা। তিনি অন্তর্মুখী একজন মানুষ। নীরবে ভারতের অর্থনীতিতে বিপ্লব ঘটিয়েছেন। এক সাক্ষাৎকারে রতন টাটাকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, একটি দেশ সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয় কখন? উত্তরে রতন টাটা বলেছিলেন, যখন শিল্পোদ্যোক্তা, ব্যবসায়ীদের উদ্যোগ বাধাগ্রস্ত করা হয়, তাদের ভিতর আতঙ্ক ছড়িয়ে দেওয়া হয়, তারা যখন উৎপাদন থেকে সরে যান, তখন একটি দেশ সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। দেশের স্বপ্নগুলো বিলীন হয়ে যায়। ভারতের সমাজতান্ত্রিক অর্থনীতির সমালোচনা করতে গিয়ে রতন টাটা এ মন্তব্য করেন। আমাদের বাংলাদেশের অবস্থা দেখে রতন টাটার সেই বিখ্যাত উক্তিটি আবার মনে করা হলো। বাংলাদেশের বেসরকারি খাতকে যেন ধ্বংসের এক উন্মুক্ত খেলা চলছে। ব্যবসায়ী, শিল্পোদ্যোক্তাদের হাত-পা বেঁধে বলা হচ্ছে সাঁতার কাটতে। আতঙ্ক ছড়িয়ে শিল্প-কলকারখানা বন্ধের যেন রীতিমতো...
সর্বশেষ
সর্বাধিক পঠিত
সম্পর্কিত খবর