ভূমিকা: শ্রমিকের ঘাম, রাষ্ট্রের ভিত্তি। মে দিবস শুধু একটি দিবস নয়এটি হচ্ছে শ্রমিক শ্রেণির অধিকারের ইতিহাস, সংগ্রাম ও আত্মত্যাগের এক গৌরবগাঁথা। ১৮৮৬ সালের শিকাগোর হে মার্কেটের আন্দোলনের রক্তিম অধ্যায় আজও বিশ্বব্যাপী শ্রমিকদের ন্যায্য অধিকার আদায়ের অনুপ্রেরণা। বাংলাদেশে মে দিবসের তাৎপর্য নতুন করে বিশ্লেষণের প্রয়োজন দেখা দিয়েছে, বিশেষ করে একনায়কতান্ত্রিক দুঃশাসন ও ন্যায্য শ্রম অধিকার হরণকারী ব্যবস্থার বিরুদ্ধে বিএনপি ঘোষিত ৩১ দফা সংস্কার প্রস্তাবের প্রেক্ষাপটে। এই প্রস্তাবনাগুলোর আলোকে বর্তমান শ্রমিক-শ্রেণির অবস্থান, তাদের চ্যালেঞ্জ, সম্ভাবনা ও রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ বিশ্লেষণ করা সময়োপযোগী। ১. ৩১ দফার প্রাসঙ্গিকতা ও মে দিবসের অন্তঃসার বিএনপির ৩১ দফা কর্মসূচির মূল উপজীব্য হচ্ছে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান, অর্থনীতি, আইন, প্রশাসন এবং নাগরিক অধিকার...
বিএনপি ঘোষিত ৩১ দফার আলোকে মে দিবসের গুরুত্ব ও তাৎপর্য
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ড. একেএম শামছুল ইসলাম, পিএসসি, জি (অব.)

নির্বাচন পর্যন্ত সেনাবাহিনীর মাঠে থাকা প্রয়োজন
ড. এস এম জাহাঙ্গীর আলম

দেশের বিভিন্ন স্থানে ছিনতাই-চাঁদাবাজি চলছেই। আবার খুনখারাবি তো আছেই। দেশের ব্যবসায়ী সমাজ আইন-শৃঙ্খলার অবনতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। এ ছাড়া সাধারণত মানুষও অশান্তিতে আছে। এমন অবস্থায় আইন-শঙ্খলা রক্ষায় সেনাবাহিনী মাঠে না থাকলে অবস্থা আরো মারাত্মক আকার ধারণ করত। সেনাবাহিনী দেশের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় বাংলাদেশ অন্যান্য সব আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সমন্বিত উদ্যোগে বিভিন্ন ধরনের অপরাধ দমনে সম্পৃক্ত আছে। দেশের সর্বত্রই সেনাবাহিনী আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় কাজ করে যাচ্ছে। এরই মধ্যে কয়েক হাজার অপরাধীকে গ্রেপ্তার করেছে। সম্প্রতি সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে (গত ১৭ এপ্রিল) এক সংবাদ সম্মেলনে কনেল মো. শফিকুল ইসলাম জানান, দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সরকারের নির্দেশিত দায়িত্বই পালন করে যাচ্ছে সেনাবাহিনী। রাজধানীসহ দেশের সড়ক-মহাসড়কগুলোতে অবরোধ থাকলে...
সিন্ডিকেট ভেঙে স্বচ্ছ ব্যবস্থাপনা গড়তে হবে
আল আমিন নয়ন

বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়ায় কর্মী প্রেরণ বহু বছর ধরে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎস। এই প্রক্রিয়া আমাদের শ্রমবাজার, অর্থনীতি ও বৈদেশিক সম্পর্ককে শক্তিশালী করে তুলেছে। তবে অভিবাসন খাতে স্বচ্ছতা, ন্যায্যতা ও অংশগ্রহণমূলক নীতি অনুসরণ না করলে তা কর্মীদের জন্য ব্যয়বহুল ও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে। ২০২২ সালে মালয়েশিয়ায় কর্মী প্রেরণ আবার চালু হলে মাত্র ২৫টি রিক্রুটিং এজেন্সিকে নিয়োগের অনুমতি দেওয়া হয়। সীমিতসংখ্যক এজেন্সিকে অনুমোদন দেওয়ার এই সিদ্ধান্ত বাজারে প্রতিযোগিতার অভাব সৃষ্টি করেছে, যার ফলে নিয়োগ ব্যয় কয়েক গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। অভিবাসী শ্রমিকদের অনেকেই সরকার নির্ধারিত ৭৮ হাজার টাকার জায়গায় চার থেকে ছয় লাখ টাকা পর্যন্ত ব্যয় করেছেন, যা তাঁদের ওপর বাড়তি অর্থনৈতিক চাপ সৃষ্টি করেছে। আমি ব্যক্তিগতভাবে শত শত অভিবাসী কর্মীর অভিজ্ঞতা...
হয়রানি ও প্রতারণার বিরুদ্ধে সরকারকে শক্ত হতে হবে
ড. তাসনিম সিদ্দিকী

শ্রমবাজার চালু করার পেছনে আবারও সেই পুরনো চক্র ক্রিয়াশীল। আবারও যারা সিন্ডিকেট করেছিল তারাই অন্য আবরণে সিন্ডিকেট করতে চাচ্ছে। এরা আমাদের সরকারের ওপর প্রেসার ক্রিয়েট করছে। সরকার ভাবছে যে, আমাদের লোক যাচ্ছে না। লোক যাওয়া কমে যাচ্ছে। সুতরাং আমাদের তো পাঠাতে হবে। দুনুমনু করছে এই সিন্ডিকেটের মাধ্যমে কর্মী পাঠাবে কি না। সেই জায়গাটাকেই সুধীসমাজের পক্ষ থেকে আমরা দৃঢ় কণ্ঠে বলেছি, কোনো অবস্থাতেই এই সিন্ডিকেটের মাধ্যমে কর্মী পাঠানো উচিত হবে না। কারণ এই কর্মীগুলো সেখানে গিয়ে হয়রানির শিকার হচ্ছেন, কাজ পাচ্ছেন না ও রাস্তাঘাটে পড়ে থাকছেন। সাড়ে পাঁচ লাখ টাকা দিয়ে তাঁরা এই অবস্থার মধ্যে পড়ছেন। এই অবস্থাটাই আমরা কোনো অবস্থাতেই আবার চালু করতে চাই না। যতই বলা হোক এবার তারা ভালো ব্যবহার করবে। আজকে ৪০ থেকে ৫০ বছরে কেউ যদি ভালো ব্যবহার না করে থাকে, এখন হঠাৎ করে...
সর্বশেষ
সর্বাধিক পঠিত
সম্পর্কিত খবর