দেশের বিভিন্ন স্থানে ছিনতাই-চাঁদাবাজি চলছেই। আবার খুনখারাবি তো আছেই। দেশের ব্যবসায়ী সমাজ আইন-শৃঙ্খলার অবনতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। এ ছাড়া সাধারণত মানুষও অশান্তিতে আছে। এমন অবস্থায় আইন-শঙ্খলা রক্ষায় সেনাবাহিনী মাঠে না থাকলে অবস্থা আরো মারাত্মক আকার ধারণ করত। সেনাবাহিনী দেশের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় বাংলাদেশ অন্যান্য সব আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সমন্বিত উদ্যোগে বিভিন্ন ধরনের অপরাধ দমনে সম্পৃক্ত আছে। দেশের সর্বত্রই সেনাবাহিনী আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় কাজ করে যাচ্ছে। এরই মধ্যে কয়েক হাজার অপরাধীকে গ্রেপ্তার করেছে। সম্প্রতি সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে (গত ১৭ এপ্রিল) এক সংবাদ সম্মেলনে কনেল মো. শফিকুল ইসলাম জানান, দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সরকারের নির্দেশিত দায়িত্বই পালন করে যাচ্ছে সেনাবাহিনী। রাজধানীসহ দেশের সড়ক-মহাসড়কগুলোতে অবরোধ থাকলে...
নির্বাচন পর্যন্ত সেনাবাহিনীর মাঠে থাকা প্রয়োজন
ড. এস এম জাহাঙ্গীর আলম

সিন্ডিকেট ভেঙে স্বচ্ছ ব্যবস্থাপনা গড়তে হবে
আল আমিন নয়ন

বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়ায় কর্মী প্রেরণ বহু বছর ধরে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎস। এই প্রক্রিয়া আমাদের শ্রমবাজার, অর্থনীতি ও বৈদেশিক সম্পর্ককে শক্তিশালী করে তুলেছে। তবে অভিবাসন খাতে স্বচ্ছতা, ন্যায্যতা ও অংশগ্রহণমূলক নীতি অনুসরণ না করলে তা কর্মীদের জন্য ব্যয়বহুল ও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে। ২০২২ সালে মালয়েশিয়ায় কর্মী প্রেরণ আবার চালু হলে মাত্র ২৫টি রিক্রুটিং এজেন্সিকে নিয়োগের অনুমতি দেওয়া হয়। সীমিতসংখ্যক এজেন্সিকে অনুমোদন দেওয়ার এই সিদ্ধান্ত বাজারে প্রতিযোগিতার অভাব সৃষ্টি করেছে, যার ফলে নিয়োগ ব্যয় কয়েক গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। অভিবাসী শ্রমিকদের অনেকেই সরকার নির্ধারিত ৭৮ হাজার টাকার জায়গায় চার থেকে ছয় লাখ টাকা পর্যন্ত ব্যয় করেছেন, যা তাঁদের ওপর বাড়তি অর্থনৈতিক চাপ সৃষ্টি করেছে। আমি ব্যক্তিগতভাবে শত শত অভিবাসী কর্মীর অভিজ্ঞতা...
হয়রানি ও প্রতারণার বিরুদ্ধে সরকারকে শক্ত হতে হবে
ড. তাসনিম সিদ্দিকী

শ্রমবাজার চালু করার পেছনে আবারও সেই পুরনো চক্র ক্রিয়াশীল। আবারও যারা সিন্ডিকেট করেছিল তারাই অন্য আবরণে সিন্ডিকেট করতে চাচ্ছে। এরা আমাদের সরকারের ওপর প্রেসার ক্রিয়েট করছে। সরকার ভাবছে যে, আমাদের লোক যাচ্ছে না। লোক যাওয়া কমে যাচ্ছে। সুতরাং আমাদের তো পাঠাতে হবে। দুনুমনু করছে এই সিন্ডিকেটের মাধ্যমে কর্মী পাঠাবে কি না। সেই জায়গাটাকেই সুধীসমাজের পক্ষ থেকে আমরা দৃঢ় কণ্ঠে বলেছি, কোনো অবস্থাতেই এই সিন্ডিকেটের মাধ্যমে কর্মী পাঠানো উচিত হবে না। কারণ এই কর্মীগুলো সেখানে গিয়ে হয়রানির শিকার হচ্ছেন, কাজ পাচ্ছেন না ও রাস্তাঘাটে পড়ে থাকছেন। সাড়ে পাঁচ লাখ টাকা দিয়ে তাঁরা এই অবস্থার মধ্যে পড়ছেন। এই অবস্থাটাই আমরা কোনো অবস্থাতেই আবার চালু করতে চাই না। যতই বলা হোক এবার তারা ভালো ব্যবহার করবে। আজকে ৪০ থেকে ৫০ বছরে কেউ যদি ভালো ব্যবহার না করে থাকে, এখন হঠাৎ করে...
যুব সমাজকে পরিচর্যার মাধ্যমে উন্নয়নের মডেল হতে পারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া
আলহাজ্ব কবীর আহমেদ ভূঁইয়া

যুবসমাজকে দক্ষ, কর্মক্ষম ও উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তুলতে পারলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শুধু একটি জেলা নয়পুরো দেশের অর্থনীতিতে রাখবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। এমনটাই মনে করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির অন্যতম সদস্য, বিশিষ্ট সমাজসেবক ও আন্তর্জাতিক ব্যবসায়ী কবীর আহমেদ ভূঁইয়া। তার ভাষায়, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার প্রায় ৪০ লক্ষ মানুষের সম্ভাবনার মূলভিত্তি এখানকার কর্মক্ষম যুবসমাজ। সঠিক পরিকল্পনা, প্রশিক্ষণ ও প্রণোদনা দেওয়া গেলে তারা দেশীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারবে। সমন্বিত যুব উন্নয়ন পরিকল্পনার প্রধান স্তম্ভসমূহ: ১. ডিজিটাল স্কিল ট্রেনিং সেন্টার ফ্রিল্যান্সিং, ওয়েব ও অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট, গ্রাফিক ডিজাইন, ভিডিও এডিটিং ও ডিজিটাল মার্কেটিং বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। এ কেন্দ্রগুলো বাস্তবায়নে সরকার-বেসরকারি অংশীদারিত্ব (PPP)...
সর্বশেষ
সর্বাধিক পঠিত
সম্পর্কিত খবর