‘এগিয়ে গিয়েও রিফাতকে বাঁচাতে পারলাম না’

রনি একই রিফাতকে বাঁচাতে এগিয়ে যান।

‘এগিয়ে গিয়েও রিফাতকে বাঁচাতে পারলাম না’

নিউজ টোয়েন্টিফোর ডেস্ক

বরগুনা শহরের কলেজ রোড এলাকায় প্রকাশ্যে রিফাত শরীফকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনার বর্ণনা দিলেন বরগুনা সরকারি কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি নুরুল ইসলাম রনি। হামলাকারীদের শান্ত করার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছেন তিনি। রিফাতকে বাঁচাতে না পেরে নিজেকে বড় অপরাধী মনে করছেন রনি।

বৃহস্পতিবার বিকেলে রিফাতের দাফন শেষে নুরুল ইসলাম রনি জানান, সবাই দাঁড়িয়ে হত্যাকাণ্ড দেখবে সেটা কখনো হয় না।

আমি যেহেতু মানুষ সেই হিসেবে আমার দায়িত্ব পালন করেছি। যতটুকু পেরেছি ততটুকু করেও শেষ পর্যন্ত রক্ষা করতে পারলাম না রিফাত শরীফকে। আমাদের ছেড়ে না ফেরার দেশে চলে গেলেন রিফাত। বড় কষ্ট হচ্ছে, বিবেকের কাছে নিজেকে অপরাধী মনে হচ্ছে।

আরও পড়ুন: ‘রনির মতো অন্যরা এলে রিফাত বাঁচতো’

বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে রিফাতের বাড়িতে জানাজা নামাজ শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।

বরগুনা জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মারুফ হোসেন জানান, রিফাত হত্যা ঘটনায় আরও এক আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে তদন্তের স্বার্থে আসামির নাম জানাতে অপারগতা প্রকাশ করেন তিনি।

উল্লেখ্য, রিফাত শরীফ গতকাল সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তাঁর স্ত্রী আয়েশা আক্তারকে বরগুনা সরকারি কলেজে নিয়ে যান। কলেজ থেকে ফেরার পথে মূল ফটকে ক্যালিক্স কিন্ডার গার্টেনের সামনে নয়ন, রিফাত ফরাজীসহ আরও দুই যুবক রিফাত শরীফের ওপর হামলা চালান। এ সময় তাঁরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে রিফাত শরীফকে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকেন। রিফাত শরীফের স্ত্রী আয়েশা দুর্বৃত্তদের নিবৃত্ত করার চেষ্টা করেন। কিন্তু কিছুতেই হামলাকারীদের থামানো যায়নি। তাঁরা রিফাত শরীফকে উপর্যুপরি কুপিয়ে রক্তাক্ত করে চলে যায়। পরে স্থানীয়রা রিফাত শরীফকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে রিফাত শরীফের মৃত্যু হয়।

এই হামলার ভিডিওচিত্র সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। নিহত রিফাত শরীফ সদর উপজেলার বুড়িরচর ইউনিয়নের দুলাল শরীফের ছেলে।

অভিযোগ ওঠা যুবকদের মধ্যে নয়ন ও রিফাত ফরাজী নামের দুজনের নাম বলতে পেরেছেন নিহত যুবকের বন্ধুরা।

(নিউজ টোয়েন্টিফোর/তৌহিদ)

সম্পর্কিত খবর