ইরানের পাল্টা ক্ষেপণাস্ত্র হামলার কারণে দৈনিক প্রায় ২০০ মিলিয়ন ডলার অর্থনৈতিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে ইসরায়েলএমনটাই জানিয়েছে ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল এবং অন্যান্য পশ্চিমা ও ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই বিপুল খরচের বড় অংশ ব্যয় হচ্ছে ইসরায়েলের ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাগুলো চালাতে, যা প্রতিনিয়ত ইরানের লাগাতার হামলা ঠেকাতে সংগ্রাম করছে। বিশ্লেষকরা জানিয়েছেন, শুধু প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা পরিচালনা করতেই ইসরায়েলের প্রতিদিন প্রায় ২০০ মিলিয়ন ডলার ব্যয় হচ্ছে। এদিকে, ইরানি হামলার অর্থনৈতিক প্রভাব ইতোমধ্যেই দখলকৃত ফিলিস্তিনি শহরগুলোয় দেখা যাচ্ছে। ইসরায়েলি দৈনিক মারিভ স্বীকার করেছে, তেলআবিবে অর্ধেকের বেশি দোকানপাট বন্ধ হয়ে গেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাজার এলাকাগুলো ফাঁকা ও নিস্তব্ধ, জনজীবনে নেমে...

গত ১৩ জুন ইসরায়েল কর্তৃক শুরু হওয়া অযৌক্তিক আগ্রাসন-এর জবাবে ইরান প্রতিশোধমূলক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। এখন পর্যন্ত ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর (আইআরজিসি) অ্যারোস্পেস ইউনিট অপারেশন ট্রু প্রমিস-৩ এর আওতায় ১৩ ধাপে ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালিয়েছে। সামরিক বিশ্লেষকদের মতে, এসব হামলা ইসরায়েলের আধুনিক প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাগুলোকে কার্যত অকেজো করে দিয়েছে। তবে আরও উল্লেখযোগ্য হলোইরান এখনো তাদের নতুন প্রজন্মের ক্ষেপণাস্ত্রগুলো ব্যবহারে যায়নি। সামরিক বিশ্লেষকরা ইরানি হামলার ১০টি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য তুলে ধরেছেন: ১. দিন-রাত উভয় সময়ে হামলা: সময়সূচির অনিয়ম ইসরায়েলি বাহিনীকে সংগঠিত হতে দিচ্ছে না। ২. প্রতারণামূলক কৌশল: প্রকৃত ও ভুয়া হামলা মিলিয়ে বিভ্রান্ত করছে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। ৩. বিভিন্ন ধরনের অস্ত্র:...

ইরানের ওপর ইসরায়েলের সাম্প্রতিক হামলা শাসন পরিবর্তনের স্পষ্ট ইঙ্গিত বলে মন্তব্য করেছেন রুশ রাজনৈতিক বিশ্লেষক নিকোলায় সুরকভ। আল জাজিরাকে মস্কো থেকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, রাশিয়া এ ঘটনাকে শাসন ফেলে দেওয়ার চেষ্টা হিসেবেই দেখছে এবং আমরা তা সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো ঠেকাতে। তিনি বলেন, কারণ, যদি ইরান অস্থিতিশীল হয়ে পড়ে, তাহলে শুধু মধ্যপ্রাচ্য বা উপসাগরীয় অঞ্চল নয়, দক্ষিণ ককেশাস ও ক্যাসপিয়ান অঞ্চলেও অস্থিরতা ছড়িয়ে পড়বে। ইরান রাশিয়ার গুরুত্বপূর্ণ অংশীদারবহু প্রকল্প ও অঞ্চলে আমাদের স্বার্থ জড়িত। সুরকভ উল্লেখ করেন, ইরানের অস্থিরতা রাশিয়ার কৌশলগত প্রকল্পগুলোর ওপরও প্রভাব ফেলবে। তিনি বলেন, উদাহরণ হিসেবে বলা যায়রাশিয়া নর্থ-সাউথ করিডোর প্রকল্পে ব্যাপক বিনিয়োগ করছে, যা রাশিয়াকে পারস্য উপসাগর এবং আরব সাগরের বন্দরগুলোর সঙ্গে...

ইসরায়েলের ধারাবাহিক বিমান হামলার মধ্যেই ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি বর্তমানে জেনেভায় অবস্থান করছেন। তিনি ফ্রান্স, জার্মানি ও যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন। তবে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, এটি কোনো আলোচনার মঞ্চ নয়। খবর আল জাজিরার। আরাঘচি বলেন, আমি এখানে এসেছি শুধু ইউরোপীয়দের বক্তব্য শোনার জন্য। আলোচনা তখনই সম্ভব, যখন ইসরায়েলের হামলা বন্ধ হবে। প্রতিদিন আমাদের লক্ষ্য করে হামলা চালানো হচ্ছেএই পরিস্থিতিতে আমরা ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি বা অন্য কিছু নিয়ে আলোচনা করব না। ইরান এখন একদিকে কূটনৈতিক দরজা পুরোপুরি বন্ধ করছে না, আবার অন্যদিকে শক্ত প্রতিরোধের বার্তা দিচ্ছে। আরাঘচির উপস্থিতি সেই দ্বৈত বার্তারই প্রতিফলন। তিনি আরও বলেন, যতদিন হামলা চলবে, ততদিন আমরা পাল্টা জবাব দিয়ে যাবো। প্রতিরোধ আমাদের অধিকার।...