জবাবদান ইসলামের অন্যতম সংস্কৃতি। জবাবদানের মাধ্যমে একে অন্যের পুণ্যের অংশীদার হওয়া যায়, যদিও প্রথম ব্যক্তির পুণ্যের মধ্যে কোনো ঘাটতি হয় না। এর পরস্পরের মধ্যে সৌহার্দ্য, সম্প্রীতি ও ভালোবাসা তৈরি হয়। ইসলামের কয়েকটি জবাবদান পদ্ধতি আলোচনা করা হলো ১. সালামের জবাব : সালাম মুসলমানদের পরস্পরের মধ্যে অভিবাদন জানানো এবং পারস্পরিক সৌহার্দ্য, সম্প্রীতি, নিরাপত্তা ও ভালোবাসা প্রকাশের অতুলনীয় মাধ্যম। সেই সঙ্গে ইসলামী সমাজের অন্যতম প্রতীক এবং একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। সালামের জবাব দেওয়াও গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব এবং নেকি অর্জনের মাধ্যম। কাজেই শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় সালাম আদান-প্রদান করতে হয়। সালাম দেয়ার ক্ষেত্রে আস-সালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ বললে জবাবে ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু বলতে হয়। সালাম দেয়ার ক্ষেত্রে আস-সালামু...
জবাব দিয়ে সওয়াব লাভের উপায়
ড. আবু সালেহ মুহাম্মদ তোহা

কোরআন অনুধাবনের প্রয়োজনীয়তা
মাওলানা সাখাওয়াত উল্লাহ

কোরআন নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করা এবং কোরআন মানুষকে বুঝিয়ে দেওয়া নবুয়তি দায়িত্ব। আল্লাহ তাআলা রাসুল (সা.)-কে এ দায়িত্ব অর্পণ করেছেন। মহান আল্লাহ বলেন, আমি তোমার প্রতি এক স্মরণিকা (কিতাব) অবতীর্ণ করেছি, যেন তা তুমি মানুষের জন্য বয়ান তথা ব্যাখ্যা করে সুস্পষ্টভাবে বুঝিয়ে দাও, যা তাদের প্রতি অবতীর্ণ হয়েছে। (সুরা : জুমা, আয়াত : ২) ইসলামী শরিয়তের বিধান পালনের জন্য কোরআন শেখা ফরজ। যেমন বিশুদ্ধ নামাজ শুদ্ধ হওয়ার জন্য কোরআন তিলাওয়াত শুদ্ধ হওয়া আবশ্যক। তাই তিলাওয়াত শুদ্ধ করা ফরজ। ইবাদতের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নয়এমন জ্ঞানের ব্যাপারে বিশুদ্ধ মত হলো তা অর্জন করা ফরজে কেফায়া। যদি উম্মতের একটি বিশেষ দল কোরআন নিয়ে চিন্তা ও গবেষণা করে তাহলে অন্যরা পাপমুক্ত থাকবে। আর কেউ না করলে সবাই গুনাহগার হবে। তবে প্রতিটি মুমিনের উচিত কোরআন গবেষণায় আগ্রহী হওয়া। আল্লামা জারকাশি (রহ.) বলেন, যার...
জিজ্ঞাসা: নামাজ পড়া অবস্থায় ইশারায় জবাব দেওয়া
মুফতি আবদুল্লাহ নুর

আমার নাম মুহাম্মদ হামদুল্লাহ। আমি একজন ব্যবসায়ী। কিছুদিন আগে আমি আমার দোকানে নামাজ পড়ছিলাম। তখন আমার দোকানের কর্মচারী আমাকে প্রশ্ন করে, সে দুপুরের খাবার খেতে যাবে কি না? আমি বেখায়ালে নামাজের মধ্যেই মাথা নেড়ে তাঁকে যাওয়ার অনুমতি দেই। আমার প্রশ্ন হলো, এমনটি করায় আমার নামাজ নষ্ট হয়েছে কি না? প্রাজ্ঞ আলেমরা বলেন, নামাজ পড়া অবস্থায় এক হাত অথবা মাথা দ্বারা ইশারা করে কোনো কিছুর উত্তর দিলে নামাজ নষ্ট হয় না। তবে নামাজের মধ্যে এভাবে ইশারা বা ইঙ্গিত করা একেবারেই অনুচিত। কোরআন ও হাদিসে পূর্ণ মনোযোগ ও একাগ্রতার সঙ্গে নামাজ আদায়ের বিশেষ তাগিদ দেওয়া হয়েছে। তাই একান্ত্র প্রয়োজন ছাড়া নামাজের মধ্যে কারো কথার জবাব দেওয়ার চেষ্টা করা অথবা ইচ্ছাকৃত হাত বা মাথা নাড়ানো গর্হিত কাজ। এটা থেকে বিরত থাকা সবার দায়িত্ব। যেমন রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, নামাজরত ব্যক্তি যতক্ষণ এদিক...
মুসলিম ভ্রাতৃত্ব রক্ষায় করণীয়
মুফতি মুহাম্মদ মর্তুজা

মুসলিম ভ্রাতৃত্ব মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে মহা নিয়ামত। মহান আল্লাহ তাঁর সত্যিকার মুমিনদের এই অপার অনুগ্রহ দান করেন। আল্লাহর জন্য ভ্রাতৃত্ব মানে হলো আল্লাহকে সন্তুষ্ট করার আশায় এক আত্মার সঙ্গে আরেক আত্মার মিলন, এক হূদয়ের সঙ্গে আরেক হূদয়ের আন্তরিক সংযোগ। এই ভ্রাতৃত্বই প্রকৃত ঈমানের সঙ্গী, কারণ ঈমান ছাড়া ভ্রাতৃত্ব হতে পারে না, আর ভ্রাতৃত্ব ছাড়া ঈমানও পূর্ণতা পায় না। যদি কোথাও ঈমানহীন ভ্রাতৃত্ব দেখা যায়, বুঝতে হবে সেটা নিছক স্বার্থের লেনদেন ও পারস্পরিক সুবিধার বিনিময় মাত্র। আর যদি কোথাও ঈমান পাওয়া যায় কিন্তু প্রকৃত ভ্রাতৃত্ব অনুপস্থিত থাকে, তাহলে তা অসম্পূর্ণ ঈমান, যাকে পূর্ণতা দিতে প্রয়োজন আত্মশুদ্ধি ও আত্মসংশোধনের। এ কারণেই আল্লাহ তাআলা ঈমান ও ভ্রাতৃত্বকে একসঙ্গে উল্লেখ করেছেন, পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ বলেন, মুমিনরাতো পরস্পর ভাই ভাই। (সুরা...
সর্বশেষ
সর্বাধিক পঠিত