ইরান-ইসরায়েল সংঘাতে ইরানের প্রতি একচেটিয়া সমর্থনের বার্তা দিয়েছেন লেবাননভিত্তিক শিয়া সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর মহাসচিব নাঈম কাসেম। গতকাল বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, হিজবুল্লাহ ও ইসলামি প্রতিরোধ ইরানের ন্যায্য অধিকার ও স্বাধীনতার পক্ষে এবং আমেরিকা, আগ্রাসী শক্তি ও ক্যান্সারের মতো টিউমার ইসরায়েলের মিথ্যার বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে। আমরা নিরপেক্ষ নই। টেলিগ্রামে প্রকাশিত বিবৃতিতে কাসেম বলেন, আমরা ইরানের পাশে আছি, কারণ এটি আমাদের স্বাধীনতা, আমাদের ভূমি মুক্তি এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণের স্বাধীনতার লড়াই। আমরা নিরপেক্ষ নই এবং তাই ইরানের নেতৃত্ব ও জনগণের পাশে আমাদের অবস্থান প্রকাশ করছি। ইসরায়েলি-মার্কিন বর্বর আগ্রাসনের মুখে আমরা যথাযথভাবে প্রতিক্রিয়া জানাব। উল্লেখ্য, শুক্রবার শুরু হওয়া উত্তেজনার সূচনা করে ইসরায়েল। তারা...

এবার ইসরায়েলের আরেকটি শহরে ভয়াবহ আঘাত হেনেছে ইরান। ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী বেসামরিক নাগরিকদের আগাম সতর্কবার্তা দেওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই রকেট হামলা ও প্রতিরোধ ব্যবস্থা সক্রিয় হয় এবং তীব্র বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। প্রত্যক্ষদর্শীরা এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় বীরশেবা শহরে আগুন ও ধোঁয়ার ছবি পোস্ট করছেন। বীরশেবা ইসরায়েলের নেগেভ মরুভূমি অঞ্চলে অবস্থিত। কোনো স্থাপনায় ঠিক কীভাবে হামলা হয়েছে তা এখনও স্পষ্ট নয়, তবে অন্তত একটি স্থানে ক্ষেপণাস্ত্রের সরাসরি আঘাতের ঘটনা ঘটেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, যে ইরান থেকে নতুন একটি ক্ষেপণাস্ত্র হামলার তরঙ্গ শনাক্ত করা হয়েছে এবং প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এগুলো প্রতিহত করতে কাজ করছে। এদিকে টাইমস অব ইসরায়েল জানাচ্ছে, ইসরায়েলের...

ইরানের সবচেয়ে সুরক্ষিত ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কেন্দ্র ফোর্ডো ধ্বংস করতে ইসরায়েল যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা চাচ্ছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। কারণ শুধুমাত্র যুক্তরাষ্ট্রের কাছেই রয়েছে এমন শক্তিশালী বাংকার বাস্টার বোমা। এটি গহীন ভূগর্ভস্থ স্থাপনাটিকে ভেদ করতে পারে। ফোর্ডো পাহাড়ের নিচে সুচারুভাবে তৈরি টানেলের ভিতরে অবস্থিত। এটি ২০০৭ সালে নির্মাণ শুরু হয় এবং ২০০৯ সালে চালু হয়। অবস্থান করছে কোম শহরের প্রায় ৩২ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে একটি সামরিক ঘাঁটির নিচে। এই স্থাপনাটি ইরানের সবচেয়ে কৌশলগত পরমাণু কেন্দ্রগুলোর মধ্যে একটি। এটি এতটাই গভীরে এবং মজবুতভাবে তৈরি যে সাধারণ বিমান হামলায় একে ধ্বংস করা প্রায় অসম্ভব। ইসরায়েল কি ফোর্ডো ধ্বংস করতে পারবে? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শুধুমাত্র যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি (জিবিইউ-৫৭) নামক ৩০ হাজার পাউন্ড ওজনের বোমাই এই ধরনের...

ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের বিরুদ্ধে সাম্প্রতিক আগ্রাসন আঞ্চলিক স্তরে একটি বিপজ্জনক ঘটনা বলে উল্লেখ করেছেন ইয়েমেনের আনসারুল্লাহ প্রতিরোধ আন্দোলনের নেতা সাইয়্যেদ আব্দুল মালিক আল-হুথি। বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) এক টেলিভিশন ভাষণে তিনি বলেন, জায়নিস্ট শাসন যখন ইরানে হামলা চালায়, তখন ইরান তার মতাদর্শ অনুযায়ী পারমাণবিক অস্ত্র কর্মসূচি চালানোর পক্ষপাতী ছিল না এবং তা কার্যত অনুসরণও করেনি। তিনি বলেন, ইসলামি প্রজাতন্ত্রকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে ফিলিস্তিনি সংগ্রামের প্রতি তাদের সমর্থন ও স্বাধীনতাবাদী অবস্থানের কারণে, যা পশ্চিমা শক্তিগুলো সহ্য করতে চায় না। তারা একটি স্বাধীন ইরান চায় না। ইরানের বিরুদ্ধে পারমাণবিক ইস্যুকে পশ্চিমা বিশ্ব একটি অজুহাত হিসেবে ব্যবহার করছে, যখন যুক্তরাষ্ট্রসহ অনেক দেশের পারমাণবিক অস্ত্র রয়েছে এবং অতীতে তারা তা ব্যবহারও...