আমার নাম সুরাইয়া তালুকদার। আমি ঢাকার একটি প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষিকা। সম্প্রতি আমি একটি নামাজ শিক্ষার বই কিনেছি। যাতে আজানের দোয়া ও তার অর্থ লেখা আছে। আজানের দোয়াতে মহানবী (সা.)-কে মাকামে মাহমুদ দান করার কথা বলা হয়েছে। আমার প্রশ্ন হলো, মাকামে মাহমুদের অর্থ ও ব্যাখ্যা কী? প্রাজ্ঞ আলেমরা বলেন, কোরআনের আয়াত ও একাধিক হাদিস দ্বারা মাকামে মাহমুদ প্রমাণিত। এর শাব্দিক অর্থ সম্মানজনক অবস্থান। আর এর দ্বারা উদ্দেশ্য হলো শাফাআতে কুবরা বা বড় সুপারিশ। মাকামে মাহমুদ দ্বারা জান্নাতের বিশেষ কোনো স্তর উদ্দেশ্য নয়। হাদিসে এসেছে, হাশরের দিন হাশরবাসীর জন্য সর্বপ্রথম রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর কাছে সুপারিশ করবেন। তাঁর সুপারিশের মাধ্যমে পরকালে বিচারকার্য শুরু হবে। আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) বলেন, নিশ্চয়ই কিয়ামাতের দিন লোকেরা ভিন্ন ভিন্ন দলে বিভক্ত হয়ে পড়বে।...
জিজ্ঞাসা: মাকামে মাহমুদের অর্থ কী
মুফতি আবদুল্লাহ নুর

কোরআনে মহানবী (সা.)-এর অনুপম চরিত্র প্রসঙ্গ
শাব্বির আহমদ

ইতিহাস মাঝে মাঝে এমন কিছু আলোকবর্তিকা জ্বেলে দেয়, যা কেবল একটি যুগ নয়, সমগ্র মানবজাতির জন্য হয়ে ওঠে দিকনির্দেশক। আসমান থেকে ঝরে পড়া মানবিক আদর্শময় তেমনি এক অনন্য আলোর নাম মুহাম্মদ ইবনে আবদুল্লাহ (সা.)। যার চরিত্র, যাঁর জীবন এবং যাঁর হূদয়ের কোমলতা পবিত্র কোরআনের আয়নায় উদ্ভাসিত হয়ে প্রষ্ফুটিত হয়েছে এক পূর্ণাঙ্গ মানবিক প্রতিমূর্তিতে। মহান আল্লাহ ইরশাদ করেন, আপনি তো নিশ্চয়ই এক মহান চরিত্রের অধিকারী। (সুরা আল-কলম, আয়াত : ৪) এ আয়াত এক ঐশী স্বীকৃতি, যেখানে নববী চরিত্রকে শুধু প্রশংসা নয়, মানবজাতির সর্বোচ্চ নৈতিক শিখর হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। তিনি ছিলেন এমন এক মানুষ, যাঁর জীবনের প্রতিটি ধাপে ছিল মানবিকতার প্রশান্ত সৌরভ, সহনশীলতার প্রশান্ত ছায়া, আর সত্যের অনড় দীপ্তি। কোরআনের আয়নায় চরিত্রের উপাখ্যান ১. সত্য ও আস্থার প্রতীক : জন্ম থেকে নবুওয়াতের পূর্ব...
কোরিয়ান ভাষায় কোরআন অনুবাদের ইতিহাস
আবরার আবদুল্লাহ

মুসলিম ঐতিহাসিকদের মতে কোরীয় উপদ্বীপের সঙ্গে মুসলিম ব্যবসায়ীদের সংযোগ স্থায়িত খ্রিস্টীয় সপ্তম শতাব্দীর মধ্যভাগে। মুসলিম ঐতিহাসিক ও ভূগোলবিদ ইবনে খারদাজবাহের বর্ণনা মতে কোরিয়ান উপদ্বীপে খ্রিস্টীয় নবম শতকে শিলা রাজ্যে মুসলিমদের স্থায়ী আবাস গড়ে ওঠে। যখন আরব ও পার্সিয়ান মুসলিম ব্যবসায়ীদের কেউ কেউ সেখানে থেকে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। খ্রিস্টীয় ১৬ শতক পর্যন্ত কোরীয় উপদ্বীপে বিভিন্ন অঞ্চলের সঙ্গে মুসলিম ব্যবসায়ীদের যোগাযোগ, মুসলিমদের সঙ্গে সখ্যতা, বিক্ষপ্তিভাবে বিভিন্ন স্থানে মসজিদ নির্মাণ; এমনকি প্রাশাসনিক পদে মুসলিমদের দায়িত্ব পালনের বিবরণ পাওয়া যায়। এরপর শাসকদের বৈরী মনোভব, আন্তঃধর্মীয় বিয়ে, ইসলামী জ্ঞানচর্চার অভাব এবং ইসলামী ভূখণ্ডের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্নতা ইত্যাদি কারণে কোরীয় উপদ্বীপে মুসলিমদের স্বকীয়তা ও অস্তিত্ব...
ইসলামের দৃষ্টিতে শাম অঞ্চলের ভৌগলিক গুরুত্ব
ফয়জুল্লাহ রিয়াদ

মধ্যপ্রাচ্যে অবস্থিত একটি আরব দেশ হলো সিরিয়া। পশ্চিম এশিয়ার গুরুত্বপূর্ণ একটি রাষ্ট্র এটি। দেশটির ভৌগোলিক অবস্থান বলতে গেলে উত্তরে এরদোয়ানের তুরস্ক, দক্ষিণে জর্দান, দক্ষিণ-পশ্চিমে অভিশপ্ত ইজরায়েল, পূর্বে মুসলিম ভূখ্ল ইরাক ও পশ্চিমে লেবানন। সিরিয়া প্রাচীন শামের একটি অংশ। শাম শব্দটি একটি বিস্তৃত অঞ্চলকে বুঝায়। যা বর্তমান সিরিয়া, লেবানন, জর্দান ও পূর্ণ-ফিলিস্তিন (ইজরায়েলসহ) নিয়ে গঠিত। শাম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও বরকতময় ভূমি। ইসলামের অতীত ইতিহাস ও ভবিষ্যতের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে এ অঞ্চলটি। এখানে আল্লাহ তাআলা অগণিত নবি-রাসুল প্রেরণ করেছেন। মুসলিম জাতির পিতা হজরত ইবরাহিম (আ.) নিজ সম্প্রদায়ের বিরোধিতার সম্মুখীন হয়ে এখানে হিজরত করেছিলেন। হজরত ইসা (আ.) এর জন্মভূমি এটি। হজরত মুসা (আ.)-ও এখানে হিজরত করেছিলেন। তাঁর জন্ম মিশর হলেও মৃতু্য হয়...
সর্বশেষ
সর্বাধিক পঠিত
সম্পর্কিত খবর