গ্রেপ্তার হলো রিফাত ফরাজী

রিফাত শরীফ কুপিয়ে হত্যার দৃশ্য

গ্রেপ্তার হলো রিফাত ফরাজী

নিউজ টোয়েন্টিফোর ডেস্ক

বরগুনায় রিফাত শরীফ হত্যা মামলার দুই নম্বর আসামি রিফাত ফরাজীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বুধবার সকাল নয়টায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বরগুনার পুলিশ সুপার মো. মরুফ হোসেন।

পরে সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে বলে জানান তিনি।

এর আগে মঙ্গলবার ভোরে এ মামলার প্রধান আসামি সাব্বির আহমেদ নয়ন ওরফে নয়ন বন্ড পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধ নিহত হয়।

রিফাত শরীফ  ২৬ জুন (বুধবার) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তাঁর স্ত্রী আয়েশা আক্তারকে বরগুনা সরকারি কলেজে নিয়ে যান। কলেজ থেকে ফেরার পথে মূল ফটকে ক্যালিক্স কিন্ডার গার্টেনের সামনে নয়ন, রিফাত ফরাজীসহ আরও দুই যুবক রিফাত শরীফের ওপর হামলা চালান। এ সময় তাঁরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে রিফাত শরীফকে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকেন। রিফাত শরীফের স্ত্রী আয়েশা দুর্বৃত্তদের নিবৃত্ত করার চেষ্টা করেন।

কিন্তু কিছুতেই হামলাকারীদের থামানো যায়নি। তাঁরা রিফাত শরীফকে উপর্যুপরি কুপিয়ে রক্তাক্ত করে চলে যায়। পরে স্থানীয়রা রিফাত শরীফকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে রিফাত শরীফের মৃত্যু হয়।

এই হামলার ভিডিওচিত্র সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।

ওই ভিডিওতে নয়ন ও রিফাত ফরাজীকে রামদা দিয়ে রিফাত শরীফকে কোপাতে দেখা যায়।

ঘটনার পরদিন ২৭ জুন ১২ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন রিফাতের বাবা মো. আ. হালিম দুলাল শরীফ।

আসামিরা হলো- সাব্বির আহমেদ নয়ন ওরফে নয়ন বন্ড (২৫), মো. রিফাত ফরাজী (২৩), মো. রিশান ফরাজী (২০), চন্দন (২১), মো. মুসা, মো. রাব্বি আকন (১৯), মোহাইমিনুল ইসলাম সিফাত (১৯), রায়হান (১৯), মো. হাসান (১৯), রিফাত (২০), অলি (২২) ও টিকটক হৃদয় (২১)। বাকি পাঁচ থেকে ছয়জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়।

এ মামলায় এজাহারভুক্ত ১২ আসামির মধ্যে রিফাত ফরাজীসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। অন্য দুই আসামি হলো- চন্দন ও মো. হাসান। আর বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয় প্রধান আসামি নয়ন বন্ড।

(নিউজ টোয়েন্টিফোর/তৌহিদ)

সম্পর্কিত খবর