কিশোর ভ্যানচালক শাহিনের মাথা ফাটিয়ে ভ্যান ছিনতাইয়ের ঘটনায় আরো তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে সাতক্ষীরা ডিবি পুলিশ।

বুধবার (৩ জুলাই) দুপুরে সাতক্ষীরার পুলিশ সুপার (এসপি) সাজ্জাদুর রহমান তার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।

গ্রেপ্তাররা হলেন- যশোর জেলার সরফাবাদ গ্রামের আজিজ মোড়লের ছেলে জাহাঙ্গীর আলম (২৫), একই গ্রামের মৃত জোহর আলী মোড়লের ছেলে নরিম মোড়ল (৭৮) ও বাজিতপুর গ্রামের শওকত আলীর ছেলে আজগর হোসেন।

মামলার প্রধান আসামী নাঈমুল ইসলামের স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দীর ভিত্তিতে আজ বুধবার ভোররাতে যশোর জেলার কেশবপুর থানার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

এর আগে ১ জুলাই পুলিশ অভিযান চালিয়ে মামলার প্রধান আসামি যশোরের কেশবপুর উপজেলার বাজিতপুর গ্রামের বাবর আলী মোড়লের ছেলে নাঈমুল ইসলামের বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে। উদ্ধার করা হয় ছিনতাই হওয়া ভ্যান। পরে ওই দিনেই
ভ্যান ক্রেতা কলারোয়া উপজেলার আলাইপুর গ্রামের মৃত ভোলাই পাড়ের ছেলে আরশাদ পাড় ওরফে নুনু মিস্ত্রি এবং ব্যাটারি ক্রেতা সাতক্ষীরা সদর উপজেলার গোবিন্দকাটি গ্রামের হামজের আলীর ছেলে বাকের আলীকে গ্রেপ্তার করা হয়।

সাতক্ষীরা পুলিশ সুপার পুলিশ সুপার সাজ্জাদুর রহমান বেলা ১২টার সময় তার কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিং এসব তথ্য সাংবাদিকদের জানান।

ঘটনার বর্ণনা দিয়ে পুলিশ সুপার সাজ্জাদুর রহমান আরও জানান, গত বৃহস্পতিবার রাতে নাঈমুলসহ ভ্যান ও ভ্যানের ব্যাটারি ক্রেতাকে আটক করা হয়।

পুলিশসুপার আরও জানান, কেশবপুর বাজার থেকে কলারোয়ায় আসার কথা বলে যাত্রী সেজে ছিনতাইকারীরা কিশোর শাহিনের সঙ্গে ৩৫০ টাকা ভাড়া চুক্তি করে। পরদিন শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে ভ্যানচালক শাহীনকে নিয়ে তারা সাতক্ষীরা পাটকেলঘাটা থানার ধানদিয়া জামতলা নামকস্থানে নিয়ে আসে। সেখানে তাকে ব্যাপক মারধোর করে এলাপাতাড়ি কুপিয়ে মাথা ফাটিয়ে পাশের পাটক্ষেতে
ফেলে রেখে ভ্যানটি নিয়ে তিনজন পালিয়ে যায়। পরে তারা নাঈমুল ও তার দুই সহযোগী সাতক্ষীরা সদরের ঝাউডাঙ্গা বাজারের বাকের আলীর নিকট ৬হাজার ২০০ টাকায় চারটি ব্যাটারী বিক্রি করে। পরে সেখান থেকে কলারোয়া উপজেলার মির্জাপুর বাজারে গিয়ে মিস্ত্রি আরশাদ পাড় ওরফে নুনুর কাছে ৭ হাজার টাকায় ভ্যানটি বিক্রি করে দেয়।

এ ঘটনায় কেশবপুর উপজেলার মঙ্গলকোর্ট গ্রামের শাহীনের বাবা হায়দার আলী বাদী হয়ে সাতক্ষীরা পাটকেলঘাটা থানায় মামলা দায়ের করেন। আগামি এক সপ্তাহের মধ্যে এই মামলার অভিযোগপত্র আদালতে দাখিল করা হবে বলে জানান পুলিশ সুপার সাজ্জাদুর রহমান।

এদিকে ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধিন কিশোর শাহীন আইসিইউতে চিকিৎসাধীন রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী তার চিকিৎসার দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন।

(নিউজ টোয়েন্টিফোর/জুঁই/তৌহিদ)