খুলনায় স্বাস্থ্য দপ্তরের সহকারী প্রধানকে দুদকের জিজ্ঞাসাবাদ

দুদকের জিজ্ঞাসাবাদ

খুলনায় স্বাস্থ্য দপ্তরের সহকারী প্রধানকে দুদকের জিজ্ঞাসাবাদ

নিজস্ব প্রতিবেদক, খুলনা

খুলনা বিভাগীয় স্বাস্থ্য দপ্তরের সহকারী প্রধান (এমআইএস) মো. জোবায়ের হোসেনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বুধবার দুপুরে ঢাকায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে অবৈধ অর্থ উপার্জন, বিদেশে অর্থ পাচার ও জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদের বিষয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তিনি তার ব্যক্তিগত ও পরিবারের সদস্যদের নামে থাকা সম্পত্তির বিবরণ জমা দিয়েছেন।

এদিকে খুলনা বিভাগীয় স্বাস্থ্য দপ্তরের সহকারী প্রধান জোবায়ের হোসেনকে দুদকের জিজ্ঞাসাবাদের ঘটনায় স্বাস্থ্য দপ্তরে নানা গুঞ্জন সৃষ্টি হয়েছে।

পাশাপাশি দুর্নীতিতে জড়িত কর্মকর্তারা নিজেদের বাঁচাতে দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন। তবে ঊর্ধ্বতন স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা
বিষয়টিকে ‘কাদা ছোড়াছুড়ি’ বলে মন্তব্য করেছেন।

অভিযোগ রয়েছে- মো. জোবায়ের হোসেন একই কর্মস্থলে প্রায় ২২ বছর ধরে কর্মরত রয়েছেন। ২০০৬ সাল থেকে তিনি রাজস্ব খাতে ও এর আগে ১৯৯৭ সাল থেকে ওই পদেই প্রকল্পের আওতায় চাকরি করতেন।

একই কর্মস্থানে দীর্ঘদিন থাকার কারণে প্রভাব বিস্তার ও চাকরিতে তদবিরের পাশাপাশি তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি, ভুয়া বিল-ভাউচার, সেমিনার ও প্রশিক্ষণের নামে সরকারি অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে।

এছাড়া খুলনায় তার বিরুদ্ধে নামে-বেনামে বিপুল সম্পত্তি অর্জনের অভিযোগ রয়েছে।

তবে খুলনা সদর হাসপাতালের চিকিৎসা সরঞ্জাম না কিনে প্রায় ১২ কোটি টাকা আত্মসাৎ, খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ঠিকাদার নিয়োগে দরপত্র জালিয়াতি, বিভাগীয় স্বাস্থ্য দপ্তর ও সিভিল সার্জন অফিসে দুর্নীতিতে জড়িত অনেকে রয়েছেন ধরাছোয়ার বাইরে।

জানা যায়, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে সিন্ডিকেট করে অবৈধভাবে কোটি টাকা অর্জন, অর্থ পাচার ও জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ তদন্তে দুদকের উপপরিচালক (বি. অনু. ও তদন্ত-১) মো. সামছুল আলমকে প্রধান করে অনুসন্ধান টিম গঠন করা হয়েছে।

দুদকের খুলনা জেলা সমন্বিত কার্যালয়ের উপ-পরিচালক নাজমুল হাসান জানান, স্বাস্থ্য বিভাগের দুর্নীতির বিষয়ে ঢাকা ও খুলনায় আলাদাভাবে তদন্ত চলছে। কয়েকটি ঘটনায় এরই মধ্যে মামলা হয়েছে। আবার অভিযুক্তদের কেউ কেউ এখনো কর্মস্থলে বহাল রয়েছেন। তবে দুর্নীতির সঙ্গে জড়িতদের নজরদারিতে রেখেছে দুদক।

খুলনায় স্বাস্থ্য দপ্তরের অভিযুক্ত সহকারী প্রধান জোবায়ের হোসেন বলেন, অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ঢাকায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে তাকে ডাকা হয়েছে। তবে তিনি এই অভিযোগকে মিথ্যা দাবি করে তার স্বপক্ষে কাগজপত্র ও অর্জিত সম্পদের বিবরণ জমা দিয়েছেন।

(নিউজ টোয়েন্টিফোর/শাহীন/তৌহিদ)

সম্পর্কিত খবর