হজ ইসলামের পঞ্চস্তম্ভের অন্যতম। কোরআন ও হাদিস দ্বারা অকাট্যভাবে হজ প্রমাণিত। কেউ হজ ফরজ হওয়ার বিষয় অস্বীকার করলে তার ঈমান নষ্ট হয়ে যাবে। আর কেউ হজ ফরজ হওয়ার পর তা আদায় না করে মারা গেলে কবিরাহ গুনাহ হবে। মহান আল্লাহ বলেন, মানুষের ভেতর যার সেখানে যাওয়ার সামর্থ্য আছে, আল্লাহর উদ্দেশ্যে এই ঘরের হজ করা তার আবশ্য কর্তব্য। কেউ প্রত্যাখ্যান করলে সে জেনে রাখুক, নিশ্চয়ই আল্লাহ বিশ্বজগতের মুখাপেক্ষী নন। (সুরা আলে ইমরান, আয়াত : ৯৭) হজ আদায়ে অনীহা কেন মানবপ্রকৃতির দাবি হলো মাতৃভূমি, পরিবার-পরিজন, বন্ধু-বান্ধবের কাছে থাকা এবং সহায়-সম্পদ আগলে রাখা। এজন্য হজ ফরজ হওয়ার পরও বহু মানুষ তা আদায় করতে অসলতা করে। অনেকে ফরজ হজ আদায় না করেই মারা যায়। কিন্তু যারা আল্লাহর নির্দেশ পালনের জন্য নিজের মাতৃভূমি, ঘর-বাড়ি, স্ত্রী-সন্তান ছেড়ে দূর আরবে হজ করতে যায় এবং এই বিধান পালনের অর্থ...
ফরজ হজ না করার শাস্তি
আলেমা হাবিবা আক্তার

আজ নার্স দিবস: ইসলামে স্বাস্থ্যসেবায় নিয়োজিতদের মর্যাদা
শাব্বির আহমদ

আজ ১২ মে আন্তর্জাতিক নার্স দিবস। ইন্টারন্যশনাল কাউন্সিল অফ নার্সেস (আইসিএন) ১৯৬৫ সাল থেকে নার্সিং একটি পেশা নয় সেবা এই স্লোগান সামনে নিয়ে দিনটি উদযাপন করা শুরু করেছিল। আর সেবা এক মহৎ ধর্ম, জীবন রক্ষাসবচেয়ে বড় ইবাদত। যখন কোনো ক্লান্ত, জর্জরিত, যন্ত্রণাকাতর মানুষকে স্নিগ্ধ হাতে পানি পান করানো হয়; যখন জ্বরাক্রান্ত শরীরে ঔষধ প্রয়োগ করা হয়, রোগির বেদনাহত চোখের পাতায় ভরসার হাত রাখা হয়। তখন এটি কেবল একটি পেশাগত দায়িত্ব নয়, অফুরন্ত সওয়াবের পথও তৈরি করে দেয়। ইসলাম এমন জীবনঘনিষ্ঠ সেবাকেই দিয়েছে সর্বোচ্চ মর্যাদা, শ্রেষ্ঠত্বের আসন। মহান আল্লাহ বলেনযে কেউ একটি প্রাণ রক্ষা করে, সে যেন গোটা মানবজাতিকে রক্ষা করল। (সুরা মায়েদা, আয়াত : ৩২) এ আয়াতে জীবনের পবিত্রতা ও গুরুত্ব কত গভীরভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, তা খুব সহজেই অনুধাবন যোগ্য। চিকিত্সক, নার্স, প্যারামেডিক বা...
কথায় জয়, কথায় ক্ষয়
হাদি-উল-ইসলাম

কথার মাধ্যমে পরস্পর বন্ধুত্ব সৃষ্টি হয়, আবার কথার দ্বারা তৈরি হয় শত্রুতা। কথা বলার ক্ষেত্রে মুখ্য ভূমিকা পালন করে জিহ্বা। সেই অর্থে মানব দেহের সব অঙ্গ জিহবার ওপর নির্ভরশীল। হাদিসে এসেছে, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, যখন আদম সন্তান ভোরে উঠে তখন তার অঙ্গগুলো জিহ্বাকে বিনয়ের সঙ্গে বলে, আমাদের সম্পর্কে আল্লাহকে ভয় করো। কেননা আমরা সবাই তোমার সঙ্গে জড়িত। সুতরাং তুমি ঠিক থাকলে আমরাও ঠিক থাকব। আর তুমি বাঁকা হলে আমরাও বাঁকা হয়ে পড়ব। (তিরমিজি, হাদিস : ২৪০৭) কথায় মেলে জান্নাত, কথায় মেলে জাহান্নাম। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী (সা.) বলেছেন, নিশ্চয়ই বান্দা কখনো আল্লাহর সন্তুষ্টির কোনো কথা বলে অথচ সে কথা সম্পর্কে তার চেতনা নেই। কিন্তু এ কথার দ্বারা আল্লাহ তার মর্যাদা বৃদ্ধি করে দেন। আবার বান্দা কখনও আল্লাহর অসন্তুষ্টির কথা বলে ফেলে যার পরিণতি সম্পর্কে তার ধারণা...
বিয়ের সময় অভিভাবকদের প্রতি মহানবী (সা.)-এর ৫ নির্দেশনা
মুফতি আতাউর রহমান

ইসলাম বিয়ে করা বা দেওয়ার সময় দ্বিনদারি ও নৈতিকতাকে সব কিছুর ওপর প্রাধান্য দেয়। বিয়ের উপযুক্ত ছেলে ও মেয়ে অনেক সময় বয়স-বুদ্ধির অপরিপক্বতার কারণে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারে না। সে ক্ষেত্রে অভিভাবকদের দায়িত্ব তাদের সুপথ প্রদর্শন করা। উপযুক্ত পাত্র-পাত্রী নির্বাচনে তাদের সাহায্য করা। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, তোমরা যে ব্যক্তির দ্বিনদারি ও নৈতিক চরিত্রে সন্তুষ্ট আছ তোমাদের কাছে সেই ব্যক্তি বিয়ের প্রস্তাব করলে তবে তার সঙ্গে বিয়ে দাও। তা যদি না করো তাহলে পৃথিবীতে ফিতনা-ফ্যাসাদ ও চরম বিপর্যয় সৃষ্টি হবে। (সুনানে তিরমিজি, হাদিস : ১০৮৪) কন্যার অভিভাবকের করণীয় সন্তান যদি কন্যা হয়, তবে ইসলাম অভিভাবককে আরো বেশি দায়িত্বশীল হওয়ার নির্দেশ দেয়। কন্যাসন্তানের বিয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে অভিভাবকের তিনটি বিশেষ দায়িত্ব তুলে ধরা হলো ১. পাত্র নির্বাচনে আল্লাহকে ভয় করা :...
সর্বশেষ
সর্বাধিক পঠিত
সম্পর্কিত খবর