সামিয়াকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়

সাত বছরের শিশু সামিয়া

সামিয়াকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়

নিউজ টোয়েন্টিফোর ডেস্ক

রাজধানীর ওয়ারী বনগ্রামের সাত বছরের শিশু সামিয়াকে ধর্ষণের পর গলায় রশি পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়।

তার মরদেহের ময়নাতদন্তের পর শনিবার (৬ জুলাই) দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান সোহেল মাহমুদ এই তথ্য জানান।

সোহেল মাহমুদ বলেন, বাহ্যিকভাবে শিশুটির গলায় রশি দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করার আলামত পাওয়া গেছে। এ ছাড়া তার ঠোঁটে কামড়ের চিহ্ন, শরীরে ক্ষত চিহ্ন, মুখে রক্ত এবং যৌনাঙ্গে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে।

শিশুটিকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে এবং হত্যার আগে তাকে ধর্ষণ করা হয়েছে। এ আলামত আমরা পেয়েছি।

তিনি আরও বলেন, এ ব্যাপারে আরও স্পষ্ট হতে হাই ভেজেনালসপ’র জন্য ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। সকল নমুনা পরীক্ষাগারে পাঠানো হবে।

এসব প্রতিবেদন পাওয়া গেলে শিশুটির মৃত্যু কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যাবে।

উল্লেখ্য, শুক্রবার (৫ জুলাই) সন্ধ্যার পর থেকে সায়মার খোঁজ পাচ্ছিল না পরিবার। আনুমানিক সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে নবনির্মিত ভবনটির নবম তলার ফাঁকা ফ্ল্যাটের ভেতরে সায়মাকে মৃত অবস্থায় দেখতে পান পরিবারের সদস্যরা। খবর পেয়ে রাত আটটার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে। ওয়ারী সিলভারডেল স্কুলের নার্সারিতে পড়তো সায়মা। তার বাবা আব্দুস সালাম নবাবপুরে ব্যবসা করেন।

নিহত সায়মার বাবা আব্দুস সালাম বলেন, ‘মাগরিবের আজানের সময় আমি নামাজ আদায়ে মসজিদে যাই। মসজিদ থেকে ফেরার সময় সন্ধ্যার নাশতা কিনে বাসায় আসি। বাসায় এসে দেখি সায়মা নেই। আমি, আমার স্ত্রীসহ সায়মাকে খুঁজতে শুরু করি। ছয়তলা ও আটতলায় খুঁজে তাকে পাওয়া যায়নি। পরে আবার আটতলায় খুঁজতে গিয়ে রান্নাঘরে তার লাশ পাওয়া যায়। ’

এ ঘটনায় সায়মার বাবা আব্দুস সালাম বাদী হয়ে ওয়ারী থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা করেছেন। মামলায় ভবন মালিকসহ পাঁচজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিশ।

(নিউজ টোয়েন্টিফোর/তৌহিদ)

সম্পর্কিত খবর