চারজনকে কুপিয়ে হত্যা, ঘাতক গণপিটুনিতে নিহত

মরদেহ উদ্ধার

চারজনকে কুপিয়ে হত্যা, ঘাতক গণপিটুনিতে নিহত

নিউজ টোয়েন্টিফোর ডেস্ক

কুমিল্লার দেবীদ্বারে পাঁচজনকে কুপিয়ে হত্যা করেছে এক ব্যক্তি।  পরে গণপিটুনিতে ওই ঘাতক নিহত হয়েছেন। বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে দেবীদ্বার উপজেলার ধামতি ইউনিয়নের রাধানগর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

অভিযুক্ত ঘাতকের নাম মোখলেসুর রহমান (৪০)।

তিনি পেশায় রিকশাচালক।

নিহত ব্যক্তিরা হলেন- রাধানগর গ্রামের মো. শাহ আলমের স্ত্রী আনোয়ারা বেগম (৪০) ছেলে আবু হানিফ (১২), একই গ্রামের নুরুল ইসলামে স্ত্রী নাজমা আক্তার (৩৬), মা মাজেদা বেগম (৫৫) ও ছ্যাচড়া পুকুরিয়া গ্রামের বজলু মিয়ার স্ত্রী (৩৮)।  এ সময় ঘাতকের দায়ের কোপে নুরুল ইসলাম নামে একজন গুরুতর জখম হয়েছেন।

দেবীদ্বার থানার ওসি জহিরুল আনোয়ার জানান, মোখলেসুর মাদকাসক্ত ও মানসিকভাবে কিছুটা ভারসাম্যহীন বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।

ভোরে বাড়িতে ঢুকে চারজনকে কুপিয়ে হত্যা করে সে। পরে স্থানীয়রা তাকে আটক করেন। এ সময় গণপিটুনিতে তার মৃত্যু হয়।

জানা গেছে, সকালে মোখলেসুর বাড়িতে এসে ঘর থেকে দা নিয়ে প্রতিবেশী নুরুল ইসলামের বাসায় ঢোকে। ঘরে থাকা নুরুল ইসলামের স্ত্রী নাজমা বেগমকে আচমকা কোপাতে শুরু করে। নুরুল ইসলাম স্ত্রীকে বাঁচাতে এলে তাকেও কুপিয়ে জখম করে মোখলেস। তাদের আর্তচিৎকারে নুরুল ইসলামের মা মাজেদা বেগম এগিয়ে এলে তাকেও এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে।

এরপর মোখলেস রক্তমাখা দা নিয়ে যায় আরেক প্রতিবেশী শাহ আলমের বাড়িতে। সেখানে শাহ আলমের ছেলে স্কুলছাত্র আবু হানিফকে (১০) কুপিয়ে হত্যা করে। ছেলেকে বাঁচাতে এলে শাহ আলমের স্ত্রী আনু বেগমকেও কুপিয়ে হত্যা করে করে মোখলেস।

খবর পেয়ে আশপাশের লোকজন মোখলেসকে আটক করে গণপিটুনি দেন। এতে তার মৃত্যু হয়।

প্রতিবেশীরা নুরুল ইসলাম, তার স্ত্রী নাজমা ও মা মাজেদা বেগমকে উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসকরা নাজমা ও মাজেদা বেগমকে মৃত ঘোষণা করেন।

গুরুতর জখম নুরুল ইসলাম বর্তমানে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল চিকিৎসাধীন।

(নিউজ টোয়েন্টিফোর/তৌহিদ)

সম্পর্কিত খবর