বিয়ের পর আমি হলিক্রস কলেজে ভর্তি হই। প্রথম বর্ষের শেষের দিকে বুঝতে পারি যে আমি conceive করেছি ( মা হতে যাচ্ছি)। আমাদের প্রথম কন্যা নোভার জন্মের পর এইচ এসসি( তখন ইন্টারমিডিয়েট বলা হতো) পরীক্ষার এক/দেড় মাস আগে নোভাকে নিয়ে Americaতে রওনা দেই (তবে হুমায়ূন আহমেদের লেখা হোটেল গ্রেভার ইন এ যে লিখেছিলেন তাঁর লেখা চিঠি পড়ে আমি কাঁদতে কাঁদতে America রওনা হয়েছিলাম, সেটা সত্যি ছিলো না)সবাইকে চিঠি লিখেও যখন আমি Americaতে যেতে রাজি হইনি তখন আমার দাদা, প্রিন্সিপাল ইব্রাহীম খাঁকে একটি চিঠি লিখেন তিনি। চিঠিতে কী লেখা ছিলো জানিনা তবে দাদা আমাকে কাছে ডেকে মাথায় হাত রেখে বলেন,বিদেশ ভ্রমনও শিক্ষার একটি বড় অংশ। দাদার চোখের দিকে তাকিয়ে কিছু বলার সাহস আমার ছিলো না! যাইহোক ব্যাক্তিগত কারণে আমি পরীক্ষার এক মাস আগে America চলে যাই। হুমায়ূন আহমেদের PhD এর পর এক বছর Post doctoral Fellowship করে আমাদের দেশে ফেরার কথা...
প্রথম ছেলের জন্ম ও মৃত্যুর সময় হুমায়ূন আহমেদ ছিলেন নিশ্চুপ
গুলকেতিন খান

কামরুজ্জামান কামুর ৫ কবিতা
কামরুজ্জামান কামু

সাহিত্য করি এসো হে সাহিত্য করি বঙ্গীয় কবির দল এসো এসো করি মোরা সহিত সহিত ধরি মোরা রুহি মাছ জাল ফেলে তিস্তা নদীতে যেইভাবে মাছ ধরে মহম্মদ মংলু মিয়াঁ ম ম ম চলো মই বেয়ে উঠে যাই ময়ুরী না না মৌরি মৌরি চলো না সাহিত্য করি দু-জনে মাতৃভূমি কে তুমি নিশুতি বাংলাদেশের পাখির সুরে গো ডাকো চিঁ-আও! চিঁ-আও! ধ্বনির আবেগে রাত জেগে বসে থাকো না না পাখি নয় তারা নয় সে তো দুর্বিনীত নিগার আমার হাড্ডি খুলে বাঁকা করে গড়ে সে নিজের হাড় আমার শিশুরা দোলে তার কোলে যেন প্রকৃতির বুকে বাদুড়-ছানারা ঝুলে আছে কালো মাই চুষবার সুখে যেন বকসারি আকাশের গায়ে রেখা টেনে চলে যায় পূর্ণিমারাতে সে যেন আমার মায়ের মাদুলি চায় আমি খরগোশ কালো দাঁড়কাক সবুজ পাখির ডানা ঝাপটাই যেন আকাশের মত নীলরঙ শামিয়ানা ফুলে উঠে ফের খুলে পড়ে যায় চৌচির বৈশাখে আমি শুয়ে আছি কান খাড়া করে ঠান্ডা মাটির ডাকে শুয়ে আছি ওগো...
কমলকলি চৌধুরীর কয়েকটি কবিতা
কমলকলি চৌধুরী

কমলকলি চৌধুরী ছায়া একটা ঘুড়ি ওড়ে, যার নেই কোনো সুতো, আকাশ তাকে টানে নাসে টানে আকাশ। ঘাসের পাতায় লিখে যাই শব্দহীন পঙ্ক্তি, যার পাঠক শুধু বাতাস, আর ভুলে যাওয়া বৃষ্টির ফোঁটা। ঘড়ির কাঁটা আজ ক্লান্ত, সময় নিজেই সময় ভুলেছে। আমার ছায়া হাঁটে উল্টো দিকে সে জানে, আমি আসলে নেই। দিগন্ত ঘুমন্ত পাথরের বুক ফুঁড়ে জেগে ওঠে একধরনের আলো, যার রঙ নেই, ভাষা নেই তবু চোখ পুড়ে যায় ছোঁয়ায়। আমি হাঁটি না, আমার ছায়া হাঁটে আমার বদলে, সে জানে আমি এখন আর আমি নই আমি এক ভাঙা ঘড়ির কাঁটার অপেক্ষা। পেছনে পড়ে থাকা শব্দগুলো ভিজে উঠছে শূন্যতার বৃষ্টিতে, তারা কথা বলে না, শুধু হাওয়ার মতো পাশ কেটে যায়। তুমি বলেছিলে, অস্তিত্ব, আমি ভেবেছিলামজেগে থাকা, তুমি চেয়েছিলে নিঃশ্বাস আমি হয়ে উঠেছিলাম দিগন্তের অতল। বাতিঘর একটি উজ্জ্বল মুক্তা ঝুলছে আকাশে, মখমল রাতে একটি রুপালি চাকতি যেনো। হিরার...
সুখতৃপ্ত কঙ্কাল
জয়শ্রী দাস

জয়শ্রী দাস অখিল মাস্টারের প্রায় একশত বিঘার মতো জমি আছে। তিনি নিজ গ্রামের মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক। তার সংসারে কোন অভাব অভিযোগ না থাকলেও সুখ জিনিসটা নেই। কারণ হিসেবে বলা যায় তাঁর কোন সন্তান এ পর্যন্ত আলোর মুখ দেখেনি। এ পর্যন্ত আটটি সন্তান তার স্ত্রীর গর্ভে থাকা অবস্থায় মারা যায়। নবম সন্তানটি তার স্ত্রীর পেটে আসার সাথে সাথেই মাষ্টার শহরে গিয়ে স্ত্রীকে চিকিৎসা করানো শুরু করলেন। এ সন্তানটি পৃথিবীতে ভূমিষ্ঠ হলো। তিন দিন ধরে তিনি গ্রামের সমস্ত লোকের খাবার আয়োজন করল। সন্তান হল, রাতের অন্ধকারে এ সন্তানের মুখ খানি চাঁদের আলোর মত দ্যুতি ছড়াতে লাগলো। মাস্টারের ঘরে যেন সুখ আর ধরে না। তিনি তার মেয়ের নাম রাখলেন অমরাবতী। এবার অমরাবতী কে নিয়ে তাদের সুখে শান্তিতে জীবন অতিবাহিত হতে লাগলো। ধীরে ধীরে অমরাবতী বড় হচ্ছে, একদিন অমরাবতী তার...
সর্বশেষ
সর্বাধিক পঠিত
সম্পর্কিত খবর