বিজ্ঞানের ছাত্র তিনি। আরও স্পষ্টভাবে বললে: গণিতশাস্ত্রের। জটিল ফর্মুলা আর পরীক্ষানিরীক্ষায় মশগুল মন। পদার্থবিদ্যা আর রসায়নবিজ্ঞানের এই দুই ধারাছ্যাবলামি, ন্যাকামি, ভাবপ্রবণতার তিলার্ধ নেই যেখানে, তাদের অভিনব কাব্য বলে মনে করেন। তাই বলে সাহিত্য দুয়োরানি? মোটেও নয়। বারো-তেরো বছর বয়স থেকেই লুকিয়ে-চুরিয়ে নভেল পড়ার নেশা। শেষ করে ফেলেছেন গোরা, বিষবৃক্ষের মতো উপন্যাস। তবু গ্রন্থপাঠ স্রেফ হাল্কা বিনোদন আর সস্তা ভাবালুতা জাগায় না। এক একটি বই শেষ করেন। আর তার নির্যাস যতক্ষণ পর্যন্ত না শরীরের অস্থি-মজ্জা-রক্ত-স্নায়ু বেয়ে মনের অতলে সেঁধিয়ে যাচ্ছে, ততক্ষণ অস্থির হয়ে থাকেন। শান্ত হন না কিছুতেই। ঘুরে বেড়ান, ছুটে চলেন মাঠ-প্রান্তর-নদীতীর। আর খুঁজে চলেন একটাই উত্তর: কেন? স্কুল, কলেজ পেরিয়ে বাকি জীবনেও এই একটিমাত্র মানসিক রোগ, সবকিছুর ভেতরে কেন-র উত্তর খোঁজার...
একটি বাজি বদলে দিল জীবন
রূপক মিশ্র

প্রথম ছেলের জন্ম ও মৃত্যুর সময় হুমায়ূন আহমেদ ছিলেন নিশ্চুপ
গুলকেতিন খান

বিয়ের পর আমি হলিক্রস কলেজে ভর্তি হই। প্রথম বর্ষের শেষের দিকে বুঝতে পারি যে আমি conceive করেছি ( মা হতে যাচ্ছি)। আমাদের প্রথম কন্যা নোভার জন্মের পর এইচ এসসি( তখন ইন্টারমিডিয়েট বলা হতো) পরীক্ষার এক/দেড় মাস আগে নোভাকে নিয়ে Americaতে রওনা দেই (তবে হুমায়ূন আহমেদের লেখা হোটেল গ্রেভার ইন এ যে লিখেছিলেন তাঁর লেখা চিঠি পড়ে আমি কাঁদতে কাঁদতে America রওনা হয়েছিলাম, সেটা সত্যি ছিলো না)সবাইকে চিঠি লিখেও যখন আমি Americaতে যেতে রাজি হইনি তখন আমার দাদা, প্রিন্সিপাল ইব্রাহীম খাঁকে একটি চিঠি লিখেন তিনি। চিঠিতে কী লেখা ছিলো জানিনা তবে দাদা আমাকে কাছে ডেকে মাথায় হাত রেখে বলেন,বিদেশ ভ্রমনও শিক্ষার একটি বড় অংশ। দাদার চোখের দিকে তাকিয়ে কিছু বলার সাহস আমার ছিলো না! যাইহোক ব্যাক্তিগত কারণে আমি পরীক্ষার এক মাস আগে America চলে যাই। হুমায়ূন আহমেদের PhD এর পর এক বছর Post doctoral Fellowship করে আমাদের দেশে ফেরার কথা...
কামরুজ্জামান কামুর ৫ কবিতা
কামরুজ্জামান কামু

সাহিত্য করি এসো হে সাহিত্য করি বঙ্গীয় কবির দল এসো এসো করি মোরা সহিত সহিত ধরি মোরা রুহি মাছ জাল ফেলে তিস্তা নদীতে যেইভাবে মাছ ধরে মহম্মদ মংলু মিয়াঁ ম ম ম চলো মই বেয়ে উঠে যাই ময়ুরী না না মৌরি মৌরি চলো না সাহিত্য করি দু-জনে মাতৃভূমি কে তুমি নিশুতি বাংলাদেশের পাখির সুরে গো ডাকো চিঁ-আও! চিঁ-আও! ধ্বনির আবেগে রাত জেগে বসে থাকো না না পাখি নয় তারা নয় সে তো দুর্বিনীত নিগার আমার হাড্ডি খুলে বাঁকা করে গড়ে সে নিজের হাড় আমার শিশুরা দোলে তার কোলে যেন প্রকৃতির বুকে বাদুড়-ছানারা ঝুলে আছে কালো মাই চুষবার সুখে যেন বকসারি আকাশের গায়ে রেখা টেনে চলে যায় পূর্ণিমারাতে সে যেন আমার মায়ের মাদুলি চায় আমি খরগোশ কালো দাঁড়কাক সবুজ পাখির ডানা ঝাপটাই যেন আকাশের মত নীলরঙ শামিয়ানা ফুলে উঠে ফের খুলে পড়ে যায় চৌচির বৈশাখে আমি শুয়ে আছি কান খাড়া করে ঠান্ডা মাটির ডাকে শুয়ে আছি ওগো...
কমলকলি চৌধুরীর কয়েকটি কবিতা
কমলকলি চৌধুরী

কমলকলি চৌধুরী ছায়া একটা ঘুড়ি ওড়ে, যার নেই কোনো সুতো, আকাশ তাকে টানে নাসে টানে আকাশ। ঘাসের পাতায় লিখে যাই শব্দহীন পঙ্ক্তি, যার পাঠক শুধু বাতাস, আর ভুলে যাওয়া বৃষ্টির ফোঁটা। ঘড়ির কাঁটা আজ ক্লান্ত, সময় নিজেই সময় ভুলেছে। আমার ছায়া হাঁটে উল্টো দিকে সে জানে, আমি আসলে নেই। দিগন্ত ঘুমন্ত পাথরের বুক ফুঁড়ে জেগে ওঠে একধরনের আলো, যার রঙ নেই, ভাষা নেই তবু চোখ পুড়ে যায় ছোঁয়ায়। আমি হাঁটি না, আমার ছায়া হাঁটে আমার বদলে, সে জানে আমি এখন আর আমি নই আমি এক ভাঙা ঘড়ির কাঁটার অপেক্ষা। পেছনে পড়ে থাকা শব্দগুলো ভিজে উঠছে শূন্যতার বৃষ্টিতে, তারা কথা বলে না, শুধু হাওয়ার মতো পাশ কেটে যায়। তুমি বলেছিলে, অস্তিত্ব, আমি ভেবেছিলামজেগে থাকা, তুমি চেয়েছিলে নিঃশ্বাস আমি হয়ে উঠেছিলাম দিগন্তের অতল। বাতিঘর একটি উজ্জ্বল মুক্তা ঝুলছে আকাশে, মখমল রাতে একটি রুপালি চাকতি যেনো। হিরার...
সর্বশেষ
সর্বাধিক পঠিত
সম্পর্কিত খবর