ভারী বর্ষণ অব্যাহত থাকায় নদ-নদীর পানি বাড়ছে

প্রতীকী ছবি

ভারী বর্ষণ অব্যাহত থাকায় নদ-নদীর পানি বাড়ছে

নিউজ টোয়েন্টিফোর ডেস্ক

বাংলাদেশ ও ভারতের কিছু অংশে মৌসুমী বায়ু সক্রিয় থাকার কারণে ভারী বর্ষণ অব্যাহত থাকায় দেশের নদ-নদীর পানি বাড়ছে। আবহাওয়ার পূর্বাভাসে আরও দু’দিন বৃষ্টির কারণে দেশের নিম্নাঞ্চলের জেলাগুলোতে বন্যার আশঙ্কা করা হচ্ছে।

আবহাওয়া অধিদফতর এবং বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানিয়েছে, ভারী বর্ষণ হতে পারে আরও দু’দিন। এতে আগামী তিনদিন নদ-নদীর পানি বেড়ে বন্যার অবনতি হতে পারে।

বন্যা পূর্বাভাস কেন্দ্রের তথ্যানুযায়ী, সুরমা, কুশিয়ারা, খোয়াই, সোমেশ্বরী, কংস, তিস্তা সাঙ্গু নদীর পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

সুরমা নদী কানাইঘাট, সিলেট, সুনামগঞ্জে; কুশিয়ারা নদী সিলেটের আমলশীদ, শেওলা ও শেরপুরে; খোয়াই নদী হবিগঞ্জের বাল্লায়; সোমেশ্বরী নদী কলমাকান্দায় তিস্তা নদী নীলফামারীর ডালিয়ায় এবং সাঙ্গুনদী বান্দরবন ও চট্টগ্রামের দোহাজারীতে বিপদসীমার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের ন্যাশনাল ডিজাস্টার রেসপন্স কো-অর্ডিনেশন সেন্টারের প্রতিবেদন অনুযায়ী, দেশের সব প্রধান নদ-নদীগুলোর পানি সমতল বাড়ছে।

বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতর ও ভারত আবহাওয়া অধিদফতরের তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চল, উত্তর-পূর্বাঞ্চল, দক্ষিণ-
পূর্বাঞ্চল এবং তৎসংলগ্ন ভারতের আসাম ও মেঘালয় প্রদেশগুলোর বিস্তৃত এলাকায় আগামী ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টায় মাঝারি হতে ভারী এবং কোথাও কোথাও অতিভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।

এছাড়া উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল সংলগ্ন ভারতের বিহার এবং নেপালে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।

আগামী ৭২ ঘণ্টায় সব প্রধান নদ-নদীগুলোর পানি সমতল বাড়তে পারে এবং আগামী ৪৮ ঘণ্টায় যমুনা নদীর জামালপুর জেলায় বাহাদুরাবাদ পয়েন্ট বিপদসীমা অতিক্রম করতে পারে।

আর আগামী ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রাম, সিলেট ও বরিশাল বিভাগের সুরমা, কুশিয়ারা, কংস, সোমেশ্বরী, ফেনী, হালদা, মাতামুহুরী ও সাঙ্গুসহ প্রধান নদীগুলোর পানি সমতল দ্রুত বাড়তে পারে।

আগামী ২৪ ঘণ্টায় নেত্রকোণা, সুনামগঞ্জ, সিলেট, চট্রগ্রাম ও কক্সবাজার জেলায় নিম্নাঞ্চল বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে।

ভারী বর্ষণের সতর্কতায় বলা হয়েছে, মৌসুমি বায়ু সক্রিয় থাকায় শনিবার (১৩ জুলাই) সকাল ১০টা পর্যন্ত রংপুর, ময়মনসিংহ, সিলেট এবং চট্টগ্রাম বিভাগের কোথাও কোথাও ভারী থেকে অতিভারী বর্ষণ হতে পারে। অতিভারী বৃষ্টির কারণে চট্টগ্রাম বিভাগের পাহাড়ী এলাকায় কোথাও কোথাও ভূমিধসের সম্ভাবনা রয়েছে।


(নিউজ টোয়েন্টিফোর/কামরুল)
 

সম্পর্কিত খবর