জুতাপেটার প্রতিশোধ নিতে ধর্ষণ ও হত্যা!

ধর্ষণ ও খুন

জুতাপেটার প্রতিশোধ নিতে ধর্ষণ ও হত্যা!

বাগেরহাট প্রতিনিধি

বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জে হিরা আক্তার (১১) নামের ষষ্ঠ শ্রেণির এক মাদ্রাসাছাত্রীকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়। আলোচিত এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত তিন ঘাতক মুক্তার মৃধা, তার স্ত্রী মনোয়ারা বেগম ও তাদের নাতী হাসান রশিদ মৃধাকে পুলিশ আটক করেছে। এই তিন ঘাতকের বাড়ি মোড়েলগঞ্জ উপজেলার পশ্চিম বহরবুনিয়া গ্রামে।

রোববার বিকেল সাড়ে পাঁচটায় এক সংবাদ সম্মেলনে বাগেরহাটের পুলিশ সুপার পংকজ চন্দ্র রায় এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, গত ২ জুলাই বিকেলে মোরেলগঞ্জ উপজেলার পশ্চিম বহরবুনিয়া গ্রামের গাউছ শেখের বাড়ি থেকে তার মেয়ে ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী হিরা আক্তারের বিবস্ত্র ও শরীরে লিপিস্টিক লাগানো ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

আরও পড়ুন: ‘ধর্ষণের পর ছাত্রীর বিবস্ত্র শরীরে লিপিস্টিক মাখায় খুনিরা’

খুলনা রেঞ্জে ডিআইজি ড. খন্দকার মহিদ উদ্দিন ঘটনাস্থল পরির্দশন করে ক্লুলেস এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার করতে পুলিশকে নির্দেশ দেন। এরপর বাড়িতে বাবা-মার অনুপস্থিতে এই হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটকে পুলিশ গোয়েন্দা তৎপরতা বৃদ্ধি করে। এক পর্যায়ে পুলিশ জানাতে পারে নিহত হিরার মা নাসিমা বেগমের সঙ্গে ‘ভাব জমাতে’ একটি আতরের বোতল দিতে চাইলে তিনি তা না নেওয়ায় ঘাতক মুক্তার মৃধা তার শ্লীলতাহানীর চেষ্টা চালায়।

এসময় নাসিমা বেগমসহ তার মেয়ে হিরা আক্তার জুতাপেটা করে বাড়ি থেকে বের করে দেয় প্রতিবেশী মুক্তার মৃধাকে। এসময় মুক্তার মৃধা তাদের দেখে নেওয়ার হুমকি দেয়। এই তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ তদন্তে নেমে ষষ্ঠ শ্রেণির মাদ্রাসাছাত্রী হিরা আক্তার হত্যার রহস্য উদঘাটন করে। রোববার ভোরে হত্যাকাণ্ডে জড়িত তিন ঘাতকের মধ্যে দুজনকে তাদের বাড়ি থেকে ও অপর ঘাতক মুক্তার মৃধাকে দুপুরে পিরোজপুর থেকে গ্রেপ্তার করে মোরেলগঞ্জ থানা-পুলিশ। জুতাপেটার প্রতিশোধ নিতে মুক্তার মৃধা, তার স্ত্রী ও নাতীকে সঙ্গে নিয়ে এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে বলে গ্রেপ্তারের পর পুলিশের কাছে তিন ঘাতক স্বীকার করে।

পুলিশ সুপার সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

(নিউজ টোয়েন্টিফোর/করিম/তৌহিদ)

সম্পর্কিত খবর