রংপুরে এরশাদের জন্য কবর প্রস্তুত

ছবি সংগৃহীত

রংপুরে এরশাদের জন্য কবর প্রস্তুত

নিউজ টোয়েন্টিফোর ডেস্ক

সাবেক রাষ্ট্রপতি, জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের লাশ দাফন হবে আজ। লাশ মঙ্গলবার সকালে জানাজার জন্য রংপুরে আনা হচ্ছে। জানাজার পর বনানীতে সামরিক কবরস্থানে সাবেক এ সেনাপ্রধানের লাশ দাফন করার কথা রয়েছে।  

তবে রংপুরে এরশাদের দাফনের প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছেন সেখানকার জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীরা।

ইতিমধ্যে এরশাদের পল্লী নিবাসের লিচু বাগানে কবরও খনন করা হয়ে গেছে।

আজ রংপুর কালেক্টরেট ঈদগাহ মাঠে সর্বস্তরের মানুষ তার কফিনে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন এবং তাকে শেষবারের মতো দেখবেন। বাদ জোহর তার জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। জানাজার সব প্রস্তুতি নিয়ে রাখা হয়েছে।

স্থানীয় জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীরা জানিয়েছেন এরশাদের জানাজায় ইমামতি করবেন রংপুর করিমিয়া নুরুল উলুম মাদ্রাসার মুহতামিম মাওলানা মুহম্মদ ইদ্রিস আলী। তাকে সমাহিত করতে পল্লী নিবাসের লিচু বাগানে প্রস্তুত করা হয়েছে কবর। তবে দলের পূর্ব সিদ্ধান্ত অনুযায়ী জানাজা শেষে এরশাদের মরদেহ ঢাকায় নিয়ে গিয়ে বনানীর সামরিক কবরস্থানে দাফন করার কথা রয়েছে।

রংপুর জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীরা বলছেন এরশাদের অন্তিম চাওয়া ছিল তাকে রংপুরেই দাফন করা হোক। সে জন্য পল্লী নিবাসের লিচুতলায় কবর খনন করা হয়েছে। রংপুর মহানগর জাতীয় পার্টির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক লোকমান হোসেন বলেন, জানাজা শেষে স্যারের (এরশাদ) মরদেহ নিয়ে যাওয়া হবে পল্লী নিবাসে। সেখানে লিচুতলায় তাকে দাফন করা হবে। এ জন্য সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে।

রংপুর মহানগর জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক এসএম ইয়াসির বলেন, এরশাদ স্যারের পল্লী নিবাসের ভেতরে গড়া পিতা মকবুল হোসেন মেমোরিয়াল ডায়াবেটিক হাসপাতলের লিচু বাগানের উত্তরপূর্ব পাশে সমাধির স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে। কবর খনন করা হয়ে গেছে। এখানেই তার দাফন হবে।

সোমবার দুপুরে রংপুর ও রাজশাহী বিভাগ জাতীয় পার্টির এক সমন্বয়সভায় ঘোষণা দেয়া হয় এরশাদকে রংপুরেই দাফন করা হবে। যেকোনো মূল্যে তার লাশ ঢাকায় নেয়া ঠেকানোর প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন নেতাকর্মীরা।

জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য মহানগর সভাপতি ও রংপুর সিটি মেয়র মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফা সংবাদ সম্মেলনে বলেন, বেঁচে থাকতেও এরশাদকে স্বাধীনভাবে রাজনীতি করতে দেয়া হয়নি। মৃত্যুর পরও তাকে নিয়ে রাজনীতি চলছে। তাকে জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন করে রাখতে ঢাকায় আবদ্ধ জায়গায় তাকে দাফনের ষড়যন্ত্র চলছে। তিনি বলেন, উত্তরবঙ্গ জাতীয় পার্টি এই ষড়যন্ত্র রুখে দাঁড়াবে।

প্রসঙ্গত রোববার সকাল পৌনে ৮টায় রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন মৃত্যুবরণ করেন সাবেক রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। তার বয়স হয়েছিল ৮৯ বছর। তিনি রক্তে সংক্রমণসহ লিভার জটিলতায় ভুগছিলেন। রোববার বাদ জোহর ঢাকা সেনানিবাস কেন্দ্রীয় মসজিদে তার প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এর পর সোমবার বেলা ১১টায় জাতীয় সংসদে দ্বিতীয় এবং বাদ আসর বায়তুল মোকাররম মসজিদে তৃতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। রংপুরে চতুর্থ জানাজা শেষে আজ তাকে দাফন করা হবে।


(নিউজ টোয়েন্টিফোর/কামরুল)
 

সম্পর্কিত খবর