মাদ্রাসায় গরুর গোস্ত আছে সন্দেহে ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ

মাদ্রাসায় উগ্রবাদীদের আগুন

মাদ্রাসায় গরুর গোস্ত আছে সন্দেহে ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ

নিউজ টোয়েন্টিফোর ডেস্ক

গরুর গোশত আছে সন্দেহে মাদ্রাসায় ব্যাপক ভাঙচুর চালিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়েছে কিছু ভারতের উগ্রপন্থিরা। মঙ্গলবার ভারতের বিজেপিশাসিত উত্তর প্রদেশের ফতেপুর জেলায় এ ঘটনা ঘটে।

ওই ঘটনার পরে সংশ্লিষ্ট এলাকায় বিপুলসংখ্যক পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।

পুলিশের সুপারিনটেনডেন্ট রমেশ বলেন, আজ সকালে বেহতা গ্রামে গরুর গোশত উদ্ধার হওয়ার গুজব ছড়িয়ে পড়ার পরে কিছু অরাজকতা সৃষ্টিকারী ব্যক্তি মাদ্রাসায় হামলা চালিয়ে পাথর নিক্ষেপসহ আগুন ধরানোর চেষ্টা করে।

ওই ঘটনায় কোনও হতাহতের তথ্য নেই। এ ব্যাপারে একটি মামলা রুজু করে পরিবেশ অশান্ত করা ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।  

সংশ্লিষ্ট এলাকার বাসিন্দারা অবশ্য ওই ঘটনায় পুলিশের উদাসীনতাকে দায়ী করেছেন। গতকাল সোমবার মাদ্রাসার পেছন দিকের একটি জায়গায় গবাদি পশুর দেহাবশেষ পাওয়া যায়।

ওই ঘটনায় এলাকার মানুষজন ক্ষুব্ধ হয়ে উঠলে ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছে পরিস্থিতি সামাল দেয়।

কিন্তু মঙ্গলবার ফের একই জায়গায় গবাদিপশুর দেহাবশেষ মেলায় ক্ষুব্ধ জনতা মাদ্রাসায় ভাঙচুর চালিয়ে তাতে আগুন ধরিয়ে দেয়। ঘটনাস্থলে দ্রুত পুলিশ পৌঁছে তাদের হটিয়ে দেয়। পরিস্থিতি উত্তেজনাপূর্ণ থাকায় জেলা প্রশাসক সঞ্জীব সিং এবং এসপি রমেশ ওই এলাকায় ঘাঁটি গেড়ে রয়েছেন।

পশ্চিমবঙ্গের জনশিক্ষা প্রসার ও গ্রন্থাগার পরিসেবা দপ্তরের মন্ত্রী মাওলানা সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী আজ (মঙ্গলবার) বলেন, ‘ওই ঘটনা অত্যন্ত অন্যায়, গণতন্ত্র বিরোধী ও ভারতবিরোধী। এসব তারা (হিন্দুত্ববাদীরা) করবে। কিন্তু এসব করেও তারা টিকতে পারছে না। ধর্মনিরপেক্ষ শক্তির জয় আছে। এটা অধর্মের কাজ। ধর্মনিরপেক্ষতার কাজ নয়। এসব কাজকর্ম করে তারা পরিস্থিতিকে জটিল করে তুলতে চাচ্ছে। হিন্দু-মুসলিমের মধ্যে বিদ্বেষ সৃষ্টি করে দাঙ্গা বাধাতে চাচ্ছে। ’ 

‘মুসলিম সমাজ টিকে আছে মাদ্রাসা শিক্ষার উপরেই। মৌলিকভাবে মাদ্রাসা শিক্ষাকে আঘাত দিলে আগামীদিনে ধর্মীয় শিক্ষা লোপাট হয়ে যাবে। এজন্য তারা মাদ্রাসার বিরুদ্ধচারণ করতে চাচ্ছে। ভারতের সংবিধান মাদ্রাসাকে অধিকার দিয়েছে। '

তিনি বলেন, কে গরুর গোশত খেলো না খেলো, তা নিয়ে তাদের মাথা ব্যাথা কেন। আসলে ওরা কোনও ইস্যু পাচ্ছে না। মানুষ আর নতুনভাবে কোনও ইস্যু গ্রহণ করছে না।

(নিউজ টোয়েন্টিফোর/তৌহিদ)

সম্পর্কিত খবর