মাগুরায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে শহীদ হন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মো. ফরহাদ হোসেন (২২)। মৃত্যুর আগের সকালেও পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে আন্দোলনের বিষয়ে কথা বলেছিলেন তিনি। বাড়ি থেকে বের হওয়ার আগে ফরহাদ তার বড় ভাইকে উদ্দেশ্য করে বলেছিলেন, চলেন ভাই, শহীদ হয়ে আসি। এটি ছিল ভাইয়ের সঙ্গে তার শেষ কথা। গত ৪ আগস্ট ২০২৪, মাগুরা শহরের পারনান্দুয়ালী এলাকায় আন্দোলনের সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে শহীদ হন ফরহাদ। তিনি শ্রীপুর উপজেলার রায়নগর গ্রামের বাসিন্দা এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। চার ভাইবোনের মধ্যে সবার ছোট ছিলেন তিনি। পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, ফরহাদের বড় ভাই গোলাম কিবরিয়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতকোত্তর শেষ করেছেন। বড় দুই বোন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমবিএ করেছেন। তাদের বাবা...

বৃষ্টি নামার পর মাটিতে যে মনমুগ্ধকর সোঁদা গন্ধ ছড়িয়ে পড়ে, তা আমাদের সকলেরই চেনা। এই অনন্য গন্ধের রয়েছে একটি সুন্দর ইংরেজি নামপেট্রিকোর। শব্দটি এসেছে গ্রিক শব্দ পেট্রা (অর্থাৎ পাথর) এবং ইকোর (দেবতাদের রক্ত) থেকে, যার আক্ষরিক অর্থ দাঁড়ায় পাথরের রক্ত। এই শব্দটি প্রথম ব্যবহার করেন অস্ট্রেলিয়ার কমনওয়েলথ সায়েন্টিফিক অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিসার্চ অর্গানাইজেশনের দুই বিজ্ঞানীইসাবেল জয় বিয়ার ও রিচার্ড থমাস। ১৯৬৪ সালে নেচার পত্রিকায় প্রকাশিত তাদের গবেষণাপত্রে বৃষ্টির পর মাটিতে যে গন্ধ তৈরি হয়, তার পেছনের জটিল প্রাকৃতিক ও রাসায়নিক প্রক্রিয়ার ব্যাখ্যা তুলে ধরা হয়। তারা দেখান, বৃষ্টির আগমনে শুকনো মাটি গাছপালা থেকে নিঃসৃত একধরনের তেল শোষণ করে। বৃষ্টি পড়ার সময় এই তেল মাটিতে থাকা জিওস্মিন নামক এক প্রাকৃতিক যৌগের সঙ্গে মিশে যায়। এই যৌগ এবং তেল একসঙ্গে...

প্রতি বছর বর্ষাকালে একটি চিরচেনা দৃশ্য চোখে পড়ে বাংলাদেশের গ্রামাঞ্চলে, সেটি হলো বৃষ্টি হলেই কৈ মাছ ডাঙায় উঠে আসে। এই ঘটনাটি অনেকের কাছেই কৌতূহলের জন্ম দেয়। গ্রামবাংলার লোককথায় এর নানা ব্যাখ্যা থাকলেও, বৈজ্ঞানিকভাবে এর পেছনে কী কারণ রয়েছে তা জানা দরকার। কৈ মাছের স্বভাব এবং বাসস্থান: কৈ মাছ একটি বিশেষ প্রজাতির মাছ যা ক্লাইম্বিং পার্চ নামেও পরিচিত। এদের শ্বাস-প্রশ্বাসের জন্য বিশেষ একটি অঙ্গ (ল্যাবিরিন্থ অর্গান) রয়েছে, যা তাদের বাতাস থেকে সরাসরি অক্সিজেন গ্রহণ করতে সাহায্য করে। এই বৈশিষ্ট্যের কারণে কৈ মাছ অল্প অক্সিজেনযুক্ত পানিতেও বেঁচে থাকতে পারে। এমনকি পানি ছাড়াও কিছু সময়ের জন্য ডাঙায় চলাচল করতে সক্ষম। সাধারণত, খাল-বিল, পুকুর এবং নিচু জলাভূমিতে এদের বসবাস। আরও পড়ুন স্মৃতিশক্তি কমতে থাকে যে ভিটামিনের অভাবে ০৫ মে, ২০২৫...

সকাল থেকে রাজধানীসহ বেশ কিছু অঞ্চলে বৃষ্টি ঝরছে। বৃষ্টির দিনকে আরও উপভোগ্য করে তুলতে বিকালের নাশতায় রাখতে পারেন মুখরোচক কিছু খাবার। এসব খাবার বিকালে পাওয়া হালকা খিদে যেমন মেটাবে তেমনি বাড়িয়ে তুলবে আড্ডার আমেজও। চলুন জেনে নিই, বৃষ্টির দিনে কিছু উপভোগ্য খাবারের নাম- নুডলস: বিকালের নাশতায় ঝটপট গরম গরম কিছু খেতে মন চাইলে নুডলস রান্না করে ফেলুন। পরিবারের সব সদস্যের জন্য সুস্বাদু খাবার তৈরি করতে নুডলস তৈরিতে রঙিন সবজি যোগ করুন। স্যুপ ও স্যান্ডউইচ: বৃষ্টির শীতল পরশকে অনুভব করতে করতে যদি ধোয়া তোলা এক বাটি স্যুপ খেয়ে নেন, তাহলে কিন্তু মন্দ হয় না। বৃষ্টিস্নাত দিনে উষ্ণতা ছড়াতে স্যুপের সঙ্গে রাখতে পারেন স্যান্ডউইচও। মুড়ি চানাচুর ও আদা চা: মেঘলা দিনে তেল মাখানো মুড়ি। তার সঙ্গে পেঁয়াজ,মরিচ, ধনিয়া পাতা, টমেটো, আদা কুচি, সামান্য কালোজিরা, বাদাম ও চানাচুর।...