এটা এখন স্পষ্ট যে অন্তর্বর্তী সরকার গায়ে পড়ে বিএনপির সঙ্গে ঝগড়া লাগাতে চাইছে। বিএনপিকে প্রতিপক্ষ বানাতে চাইছে। ছাত্রদের নবগঠিত রাজনৈতিক সংগঠন জাতীয় নাগরিক পার্টিকে বিএনপির মুখোমুখি দাঁড় করানো হচ্ছে সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায়। এর মধ্য দিয়ে যে নতুন করে রাজনৈতিক বিভক্তি এবং অশান্তির সূত্রপাত হলো। সামনের দিনগুলোতে বাংলাদেশ একটি রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার পথে হাঁটবে। এ অনিশ্চয়তা, বিভক্তি দেশকে আবার বিরাজনীতিকরণের পথে নিয়ে যাবে বলে অনেকের শঙ্কা। আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ। ৫ আগস্টের পর এ দলটি এমনিতেই রাজনীতিতে মাইনাস হয়ে গেছে। এখন রাজনীতির মাঠে সবচেয়ে বড় শক্তি বিএনপি। বিএনপিকেও কি মাইনাস করার নীলনকশার বাস্তবায়ন চলছে? এটাই কি নতুন রূপে এক-এগারো বাস্তবায়নের পরিকল্পনা? সে চেষ্টা কি সফল হবে? এটাই এখন রাজনৈতিক অঙ্গনে সবচেয়ে বড় প্রশ্ন। বাংলাদেশে এখন চলছে সংস্কারের...
‘বিএনপি মাইনাস’ ফর্মুলা কি সফল হবে?
অদিতি করিম

জরুরি দেশকে গণতান্ত্রিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনা
সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী
নিজস্ব প্রতিবেদক

একাত্তর সালের কথাটি বারবার নানাভাবে আসে, আসতেই হবে। তা ছিল কঠিন দুঃসময়। আমরা প্রত্যেকেই ভীষণ বিপদে ছিলাম। প্রতিটি দিন, প্রতিটি রাত, এমনকি মুহূর্তও ছিল আতঙ্কের। ব্যক্তিগত নিরাপত্তা নিয়েই ভাবতাম, বড়জোর আপনজনদের বিষয়ে। এর মধ্যেও আমরা ব্যস্ত ছিলাম। খবরের আদান-প্রদান করি, কোথায় কী ঘটছে জানতে চাই, রেডিও শুনি, মুক্তিযোদ্ধাদের কিভাবে সাহায্য করা যায়, তা নিয়ে চিন্তা করি আর যাঁরা যুদ্ধে ছিলেন, তাঁদের তো মরণপণ অবস্থা। আমাদের সবার জন্য কাজ ছিল। বিপদ আমাদের তাড়া করছিল, কিন্তু স্বপ্নও ছিল। সমষ্টিগত এবং মস্ত বড় স্বপ্ন। আমরা আশা করতাম হানাদারদের তাড়িয়ে দেব, আমরা মুক্ত হব আর সেই লক্ষ্যে আমরা কাজও করতাম। যে যেভাবে পারি কাজ করতে চাইতাম। ওই যে চিন্তা-ভাবনা করা, স্বপ্ন দেখা, দুঃস্বপ্নে শিউরে ওঠাএসব এখনো চলছে, কিন্তু সমষ্টিগত স্বপ্নটি এখন আর নেই। সবার মুক্তির কথা এখন...
ধর্মবাদিতা ও সাম্প্রদায়িকতা
সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী

ধর্মের সঙ্গে সাম্প্রদায়িকতার সম্পর্কটা কি পিতার সঙ্গে পুত্রের সম্পর্ক? হ্যাঁ, অনেকটা তা-ই। তবে অবশ্যই যোগ করতে হবে যে সাম্প্রদায়িকতা ধর্মের নষ্টপুত্র। ধার্মিকরা অনেকেই সে কথা বলবেন, কেউ কেউ বলতে চাইবেন যে দুয়ের মধ্যে কোনো সম্পর্কই নেই। সেটা ঠিক নয়। ঘনিষ্ঠ সম্পর্কই রয়েছে, তবে সুস্থ সম্পর্ক নয়। কেননা ধর্ম হচ্ছে আধ্যাত্মিক, সাম্প্রদায়িকতা সম্পূর্ণ বৈষয়িক। দুয়ের ক্ষেত্র তো অবশ্যই আলাদা, লক্ষ্যও ভিন্ন। সাম্প্রদায়িকতা নষ্ট ছেলের মতোই উগ্র আচরণ করে, তবে যত তার আস্ফালন, সবটাই কিন্তু ধর্মের জোরে। সাম্প্রদায়িকতা কেবল ধর্মীয় নয়। অন্য প্রকারেরও হতে পারে এবং হয়ে থাকে। কিন্তু কোনো সাম্প্রদায়িকতাই ধর্মীয় সাম্প্রদায়িকতার মতো প্রবল নয়, কেননা তাদের কারও কাছেই ততটা পৈতৃক সম্পত্তি নেই, ধর্মীয় সাম্প্রদায়িকতার কাছে যতটা রয়েছে। ধর্ম মানুষের জন্য আশ্রয় বটে।...
সফল ও স্বাপ্নিক রাষ্ট্রনায়ক
শফিক রেহমান

২৫ মার্চ ১৯৭১-এর রাতে যখন পশ্চিম পাকিস্তানের সেনাবাহিনী তদানীন্তন পূর্বপাকিস্তানে নিরস্ত্র বাঙালি জনগণকে আক্রমণ করে, তখন বন্দরনগরী চট্টগ্রামে জিয়াউর রহমান ছিলেন একজন তরুণ অফিসার। একজন মেজর। পরবর্তী বছরে ২৬ মার্চ ১৯৭২-এ জিয়াউর রহমান সরকারি পত্রিকা দৈনিক বাংলার স্বাধীনতা দিবস সংখ্যায় একটি প্রবন্ধে সেই রাতের বিপদ বর্ণনা দিয়ে লেখেন। এই প্রবন্ধে জিয়াউর রহমান জানান যে ২৫ মার্চ দিবাগত রাতে অর্থাৎ ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে রাত ১টা থেকে রাত সোয়া ২টার মধ্যে চট্টগ্রামের বন্দর এলাকায় কী ঘটেছিল। জিয়া লেখেন, পাকিস্তানি কমান্ড অফিসারের আদেশ এসেছিল এমভি সোয়াত নামের একটি জাহাজ থেকে অস্ত্র খালাস করতে হবে। তিনি তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত নেন সেই আদেশ অমান্য করতে। তিনি তাঁর জুনিয়র অফিসারদের বলেন, উই রিভোল্ট (ডব ত্বাড়ষঃ)। আমরা বিদ্রোহ করলাম। উই রিভোল্ট। আমরা...
সর্বশেষ
সর্বাধিক পঠিত
সম্পর্কিত খবর