বিচারকের প্রশ্নে মিন্নি নিরব

আদালতে নেওয়ার পথে মিন্নি

বিচারকের প্রশ্নে মিন্নি নিরব

নিউজ টোয়েন্টিফোর ডেস্ক

আদালতে নিজেকে নির্দোষ দাবি করলেন রিফাত শরীফ হত্যা মামলার প্রধান সাক্ষী ও রিফাতের স্ত্রী আয়শা সিদ্দিকা মিন্নি।

প্রায় ১৫ মিনিট তদন্তকারী কর্মকর্তার বক্তব্য শেষে বিচারক জানতে চান আসামির পক্ষে কোনও আইনজীবী আছেন কিনা? উপস্থিত আইনজীবীরা এসময় নীরব ছিলেন। পরে 

বিচারক কাঠগড়ায় দাঁড়ানো মিন্নিকে উদ্দেশ্য করে আদালত জানতে চান তার কোনো বক্তব্য আছে কিনা?

এসময় মিন্নি নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন।

বলেন, স্যার আমি এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত নই।

ওই দিন যে এই ঘটনা ঘটবে তা আমি জানতাম না।

রিফাত শরীফ হত্যা মামলার প্রধান সাক্ষী ও রিফাতের স্ত্রী আয়শা সিদ্দিকা মিন্নিকে আটকের ১৮ ঘণ্টা পর আজ বুধবার বেলা তিনটা ১৩ মিনিটে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. সিরাজুল ইসলাম গাজীর আদালতে হাজির করা হলে এ দাবি করেন তিনি।

আদালত সূত্র জানায়, বুধবার তিনটা ১৮ মিনিটে বিচারক তার এসলাসে আসন গ্রহণ করেন। এরপর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) মো. হুমায়ন কবির বিচারকের অনুমতি নিয়ে তার বক্তব্য উপস্থাপন করেন।

এসময় তদন্তকারী কর্মকর্তা এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে মিন্নির সম্পৃত্তা আছে দাবি করে তথ্য-উপাত্ত উপস্থাপন করেন।  তদন্তকারী কর্মকর্তার বক্তব্য শেষে মিন্নি আদালতে নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন।

বলেন, বিভিন্ন সময় আসামিরা তাকে ফোনে বিরক্ত করতো ও ভয় ভীতি দেখাতো। এমনকি প্রাণনাশের হুমকিও দিত।

‌‘আমি ও আমার পরিবার আসামিদের ভয়ে কোথাও মুখ খুলতে পারিনি। আমার স্বামী রিফাত শরীফ হত্যাকারীদের বিচার চাই। আমাকে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে মামলায় জড়ানো হয়েছে। ’

বক্তব্যের একপর্যায়ে বিচারক হত্যাকারীর কল লিস্টে তার নম্বর কীভাবে এলো জানতে চাইলে মিন্নি নিরব থাকেন।

পরে তদন্তকারী কর্মকর্তা মামলার তদন্তের স্বার্থে আসামিকে সাত দিনের রিমান্ড প্রার্থনা করেন। আদালত পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এদিকে, বুধবার সকালে জিজ্ঞাসাবাদের নামে ডেকে এনে মিন্নিকে গ্রেপ্তার দেখানো ও আদালতে নেওয়ার ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ ও প্রতিবাদ জানিয়েছে মিন্নির পরিবার।

মিন্নির পরিবারের দাবি মিন্নি প্রায় দুই মাস যাবত মানসিক চিকিৎসাধীন রয়েছে। মানসিকভাবে অসুস্থ মেয়েকে আসামি সনাক্ত করার নামে একটানা ১২ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদে, সে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।

মিন্নির বাবা মোজাম্মেল হোসেন বুধবার বরগুনার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত চত্বরে সাংবাদিকদের জানান, আমার মেয়েকে কী কারণে সাক্ষী থেকে আসামি করা হয়েছে আমি তার সঠিক তদন্ত চাই।

তিনি অভিযোগ করেন, খুনিদের সহযোগীরা নৃশংস এই হত্যাকাণ্ডের মামলা ভিন্নখাতে প্রভাবিত করার জন্য নাটক সাজিয়েছে।

আরও পড়ুন: মিন্নি কেন আসামি?

(নিউজ টোয়েন্টিফোর/তৌহিদ)

সম্পর্কিত খবর