বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫৪ বছরের পথ পরিক্রমায় এ দেশের মানুষ নানা ধরণের স্লোগানের সঙ্গে কণ্ঠে কণ্ঠ মিলিয়েছে। কোনো কোনো আবেগ মথিত রাজনৈতিক স্লোগান পরবর্তীতে নিছক মোহভঙ্গে পরিণত হয়েছে সময়ের বহমান স্রোতে। আবার কোনো কোনো স্লোগান দশকের পর দশক পেরিয়ে ঠাঁই করে নিয়েছে ধাবমান জনতার মিছিলে। এই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান কর্তৃক উচ্চারিত দিল্লি নয়, পিন্ডি নয়, নয় অন্য কোনো দেশ সবার আগে বাংলাদেশ স্লোগানটি অনন্য ও ব্যতিক্রম। এটি কেবল নিছক একটি রাজনৈতিক স্লোগান নয় বরং এটি বাংলাদেশের আত্মপরিচয়, সার্বভৌমত্ব, ও আত্মমর্যাদার চেতনার এক অবিসংবাদিত সমীকরণের আওয়াজ। (ক) ঐতিহাসিক পরিপ্রেক্ষিত ও স্লোগানের আবির্ভাবের পটভূমি (০১) স্বাধীনতা-পরবর্তী ভূ-রাজনৈতিক বাস্তবতা : মহান স্বাধীনতা অর্জনের পরপরই বাংলাদেশ এক...
বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ: নবজাগরণ ও জাতীয় আত্মমর্যাদার প্রতিচ্ছবি
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ড. একেএম শামছুল ইসলাম

বাজেট রূপান্তরের বদলে সংখ্যার খেলা হয়ে দাঁড়িয়েছে
ড. সেলিম রায়হান

২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে অর্থ উপদেষ্টার আন্তরিকতা প্রতিফলিত হয়েছে। বিশেষ করে তাঁর বাস্তবধর্মী উপস্থাপনায় বোঝা যায় তিনি দেশের বহুমাত্রিক অর্থনৈতিক সংকট সম্পর্কে সচেতন। মূল্যস্ফীতি, কর্মসংস্থান সংকট, বিনিয়োগ স্থবিরতা ও বৈষম্য- এই বড় চ্যালেঞ্জগুলো তিনি চিহ্নিত করেছেন এবং সমাধানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তবে বাজেটের ভাষাগত দৃঢ়তা ও অঙ্গীকারের পেছনে কাঠামোগত দুর্বলতা স্পষ্ট। রাজস্ব আহরণ, ব্যয় দক্ষতা ও প্রকল্প বাস্তবায়নে দীর্ঘসূত্রতা- পুরোনো সমস্যাগুলোর বিরুদ্ধে কার্যকর পদক্ষেপ দেখা যায়নি। বাজেটের কাঠামোও পূর্ববর্তী ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছে। যেখানে সংস্কারের দৃষ্টিভঙ্গি সীমিত। সবচেয়ে বড় দুর্বলতা বাজেট বাস্তবায়নের প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোয় সংস্কারের ঘাটতি। ২০২৪ সালের শিক্ষার্থী আন্দোলনে ওঠা বৈষম্য হ্রাস ও কর্মসংস্থানের...
এবার চমকপ্রদ কিছু করার সুযোগ নেই
এম মাশরুর রিয়াজ

এবারের বাজেটে চমক দেখানোর বা বড় কোনো পরিবর্তন আনার সুযোগ কম। কারণ বর্তমান সরকার একটি অরাজনৈতিক সরকার। আমরা সবাই আশা করছি, আগামী বছরের শুরুতেই পলিটিক্যাল ট্রানজেকশন হবে। পার্লামেন্ট না থাকায় বাজেটে চমক দেখানো কঠিন। আরেকটি কারণ, বর্তমানে আমাদের সামগ্রিক রাজস্বের অবস্থা ভালো নয়। অর্থনীতির চাকা ধীরগতিতে এগোচ্ছে, তাই রাজস্ব সংগ্রহে বড় উন্নতি আশা করা যায় না। আমাদের রাজনৈতিক অনিশ্চিয়তা এবং বহু বছরের নীতি ও কাঠামোগত সমস্যার কারণে কর্মসংস্থানও ধীরগতিতে আছে। এগুলোকেই মাথায় রেখে এবারের বাজেট থেকে খুব বড় কিছু আশা করাটা বাস্তবসম্মত নয়। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আনা সামষ্টিক অর্থনীতির বড় চ্যালেঞ্জ, সেটিকে মাথায় রেখে বাজেটে তার আকারটিকে ছোট রেখেছে। আমরা এটিকে সাধুবাদ জানাই। এর সঙ্গে রাজস্ব বাজেটকে আমার মনে হয় আরো কমিয়ে আনা যেত। কারণ আমরা দেখতে পেয়েছি,...
কাঠামোগত রূপান্তরে বলিষ্ঠতা অনুপস্থিত
জাহিদ হোসেন

অন্তর্বর্তী সরকার ২০২৫-২৬ অর্থবছরের যে বাজেট দিয়েছে, সেখানে বড় ধরনের নীতিগত পরিবর্তনের চেয়ে পূর্ববর্তী কৌশলের ধারাবাহিকতাই বজায় রাখা হয়েছে। তবে রাজনৈতিকভাবে চ্যালেঞ্জিং সময়ে কিছু সাহসী অর্থায়নের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। নির্বাচনী চাপ থেকে মুক্ত হলেও, কাঠামোগত সীমাবদ্ধতা থাকায় বড় ধরনের সংস্কার সম্ভব হয়নি। বাজেটে রাজস্ব সংকোচন এবং সামাজিক-অর্থনৈতিক দায়বদ্ধতার ভারসাম্য রক্ষা করাই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। সরকার ৫.৫ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি এবং ৬.৫ শতাংশ মূল্যস্ফীতির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে, যা আগের বছরের তুলনায় উচ্চতর। তবে এই লক্ষ্যমাত্রা বাস্তবায়ন অনেকটাই নির্ভর করবে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক অবস্থা ও অভ্যন্তরীণ স্থিতিশীলতার ওপর। বাজেটের আকার এবং রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা অত্যন্ত উচ্চাভিলাষী। পাঁচ লাখ ৬৪ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা অতীতের...
সর্বশেষ
সর্বাধিক পঠিত
সম্পর্কিত খবর