শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ৪৫ বছরের জীবনকালে প্রমাণ করে গেছেন তিনি ছিলেন খাঁটি দেশপ্রেমিক, রাষ্ট্র গঠনে, দেশবাসীর উন্নয়নে দক্ষ, উদ্ভাবনমূলক চিন্তার এক দার্শনিক-নেতা। আপাদমস্তক সৎ অসামান্য মেধা ও কর্মদক্ষতা দিয়ে তিনি রাষ্ট্রকর্মে যা অর্জন করেছিলেন তা নজিরবিহীন। এই রাষ্ট্রনায়কের ৪৪তম মৃত্যুবার্ষিকী গেল সেদিন। ১৯৮১ সালের ৩০ মে তিনি সামরিক বাহিনীর এক কুচক্রী অমুক্তিযোদ্ধা জেনারেলের এবং তার সহযোগী স্বাধীনতাবিরোধী গোষ্ঠীর ষড়যন্ত্রে চট্টগ্রামের সার্কিট হাউসে নিহত হন। তবে ১৮ কোটি মানুষের হৃদয়ে আজও মর্যাদার আসনে রয়েছেন। তিনি এখনো আমাদের পথনির্দেশক, সবার স্বপ্নদ্রষ্টা। বগুড়ার রসায়নবিদ পিতা ও নজরুলসংগীতশিল্পী মাতার পরিবারে মধ্য তিরিশ দশকে জন্ম নেওয়া জিয়া (যার ডাকনাম কমল) কলকাতা ও করাচির শিক্ষালয়ে বিদ্যার্জনের সঙ্গে সঙ্গে গড়ে উঠেছিলেন একজন...
জিয়া : অনন্য রাষ্ট্রনায়ক
রেজাবুদ্দৌলা চৌধুরী

মবের সংস্কৃতি, পাল্টা আঘাতের সূচনা
মোস্তফা কামাল

উত্তরের রংপুর, মধ্যভাগের গাজীপুর বা রাজধানী ঢাকা সাবজেক্ট নয়। এনসিপি বা সারজিসও সাবজেক্ট নয়। সাবজেক্ট মবের লাগামে টান দেওয়ার ম্যাসেজ। তা জনদাবিও। সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানের অফিসার্স অ্যাড্রেসে দেশের বিভিন্ন জায়গায় মব পাণ্ডমির বিরুদ্ধে কড়া হুঁশিয়ারি এবং সেনা সদর থেকে কঠিন বার্তা দেওয়ার পরও হুঁশ ফিরছিল না আপনি মোড়ল মববাজদের। গায়ে না মাখার একটি প্রবণতা দেখা যেতে থাকে তাদের মধ্যে। এ রকম সময়েই বার্তা মিলল উত্তরের জেলা রংপুরে। সেখানে সেনা কর্মকর্তার স্পষ্ট হুঁশিয়ারি, মবের নামে নাশকতার কোনো সুযোগ নেই। বায়বীয় বা অচেনা কাউকে নয়, সেই বার্তাটি দেওয়া হলো একদম জায়গাদৃষ্টে আগস্ট বিপ্লবের আলোচিত ফ্রন্টলাইনার এনসিপি নেতা সারজিস আলমকে। সূচনা জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদেরের রংপুরের বাসভবনে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা নিয়ে। এ জন্য...
বাজেট রূপান্তরের বদলে সংখ্যার খেলা হয়ে দাঁড়িয়েছে
ড. সেলিম রায়হান

২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে অর্থ উপদেষ্টার আন্তরিকতা প্রতিফলিত হয়েছে। বিশেষ করে তাঁর বাস্তবধর্মী উপস্থাপনায় বোঝা যায় তিনি দেশের বহুমাত্রিক অর্থনৈতিক সংকট সম্পর্কে সচেতন। মূল্যস্ফীতি, কর্মসংস্থান সংকট, বিনিয়োগ স্থবিরতা ও বৈষম্য- এই বড় চ্যালেঞ্জগুলো তিনি চিহ্নিত করেছেন এবং সমাধানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তবে বাজেটের ভাষাগত দৃঢ়তা ও অঙ্গীকারের পেছনে কাঠামোগত দুর্বলতা স্পষ্ট। রাজস্ব আহরণ, ব্যয় দক্ষতা ও প্রকল্প বাস্তবায়নে দীর্ঘসূত্রতা- পুরোনো সমস্যাগুলোর বিরুদ্ধে কার্যকর পদক্ষেপ দেখা যায়নি। বাজেটের কাঠামোও পূর্ববর্তী ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছে। যেখানে সংস্কারের দৃষ্টিভঙ্গি সীমিত। সবচেয়ে বড় দুর্বলতা বাজেট বাস্তবায়নের প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোয় সংস্কারের ঘাটতি। ২০২৪ সালের শিক্ষার্থী আন্দোলনে ওঠা বৈষম্য হ্রাস ও কর্মসংস্থানের...
এবার চমকপ্রদ কিছু করার সুযোগ নেই
এম মাশরুর রিয়াজ

এবারের বাজেটে চমক দেখানোর বা বড় কোনো পরিবর্তন আনার সুযোগ কম। কারণ বর্তমান সরকার একটি অরাজনৈতিক সরকার। আমরা সবাই আশা করছি, আগামী বছরের শুরুতেই পলিটিক্যাল ট্রানজেকশন হবে। পার্লামেন্ট না থাকায় বাজেটে চমক দেখানো কঠিন। আরেকটি কারণ, বর্তমানে আমাদের সামগ্রিক রাজস্বের অবস্থা ভালো নয়। অর্থনীতির চাকা ধীরগতিতে এগোচ্ছে, তাই রাজস্ব সংগ্রহে বড় উন্নতি আশা করা যায় না। আমাদের রাজনৈতিক অনিশ্চিয়তা এবং বহু বছরের নীতি ও কাঠামোগত সমস্যার কারণে কর্মসংস্থানও ধীরগতিতে আছে। এগুলোকেই মাথায় রেখে এবারের বাজেট থেকে খুব বড় কিছু আশা করাটা বাস্তবসম্মত নয়। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আনা সামষ্টিক অর্থনীতির বড় চ্যালেঞ্জ, সেটিকে মাথায় রেখে বাজেটে তার আকারটিকে ছোট রেখেছে। আমরা এটিকে সাধুবাদ জানাই। এর সঙ্গে রাজস্ব বাজেটকে আমার মনে হয় আরো কমিয়ে আনা যেত। কারণ আমরা দেখতে পেয়েছি,...
সর্বশেষ
সর্বাধিক পঠিত