২০২৬ সালের এপ্রিলের প্রথমার্ধে জাতীয় নির্বাচনের সম্ভাব্য সময়সীমা ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস। তবে তারা মনে করে, এই সময়সীমাকে অর্থবহ করতে হলে এখনই নিতে হবে রাজনৈতিক সদিচ্ছা ও ন্যায্য নির্বাচনী পরিবেশ নিশ্চিতের কার্যকর পদক্ষেপ। শুক্রবার (৬ জুন) এক যৌথ বিবৃতিতে দলের আমীর মাওলানা মামুনুল হক, সিনিয়র নায়েবে আমীর মাওলানা ইউসুফ আশরাফ এবং মহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দীন আহমদ এ প্রতিক্রিয়া জানান। বিবৃতিতে বলা হয়, প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ভাষণে নির্বাচন নিয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা উঠে এসেছে। যদিও খেলাফত মজলিসের মতে, ফেব্রুয়ারির মধ্যেই নির্বাচন হলে সময় উপযোগী হতো, তবুও ঘোষিত সময়সীমাকে তারা ইতিবাচক দৃষ্টিতে দেখছে। তবে তারা স্পষ্ট করে দিয়েছে, শুধু তারিখ ঘোষণা করলেই অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নিশ্চিত হয় না। এজন্য প্রয়োজন...

জাতির উদ্দেশে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ভাষণের পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় এক যৌথ বিবৃতি দিয়েছে আমার বাংলাদেশ পার্টি (এবি পার্টি)। দলের চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু এবং সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ বিবৃতিতে জানান, ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা যে বিচার, সংস্কার, নির্বাচন ও সরকারের চলমান কার্যক্রম নিয়ে সুস্পষ্ট রূপরেখা উপস্থাপন করেছেন, তা তারা গভীর মনোযোগ ও আগ্রহের সঙ্গে পর্যালোচনা করেছেন। তারা বলেন, এ বি পার্টি ইতিপূর্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে এসব বিষয়ে পরিষ্কার অবস্থান প্রদানের আহ্বান জানিয়ে এসেছে, আর এবার প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্যে তার প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে। এজন্য তারা ড. ইউনূসকে ধন্যবাদ ও স্বাগত জানিয়েছেন। যদিও এবি পার্টির প্রস্তাবিত সময়সূচির সঙ্গে ঘোষিত নির্বাচনের সময় (২০২৬ সালের এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহ)...

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্য সচিব আখতার হোসেন বলেছেন, আমরা চায় না বিদ্যমান ফ্যাসিবাদী সংবিধানে বাংলাদেশ পরিচালিত হোক। আমরা নতুন সংবিধান প্রত্যাশা করি। সেই প্রত্যাশার জায়গা থেকে সামনের দিনে যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে, সেই নির্বাচনে প্রতিনিধি নির্বাচিত হয়ে এসে, তারা যাতে বাংলাদেশকে একটি নতুন সংবিধান উপহার দিতে পারে, সেই নতুন সংবিধান প্রণয়নের ম্যানডেটসহ গণপরিষদ নির্বাচনের আয়োজন করতে হবে। শুক্রবার (৬ জুন) রংপুরে এনসিপির একটি অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। আখতার হোসেন বলেন, আমরা মনে করি, জুলাই ঘোষণাপত্র ও জুলাই সনদ বস্তবায়ন হওয়ার পরে নির্বাচনের সময়সীমা ঘোষণা করা হলে, নির্বাচনের প্রত্যাশা পূরণ হতো। সরকার যে সময়সীমার কথা বলেছে এই সময়সীমার মধ্যে সংস্কার ও বিচারকে দৃশ্যমান করে জুলাই ঘোষণাপত্র ও জুলাই সনদকে বাস্তবায়ন করে নির্বাচনের জন্য লেভেল...

নির্বাচনের সময়সূচি ঘোষণা এবং জুলাই অভ্যুত্থান বাস্তবায়নে সরকারের কার্যক্রম তুলে ধরায় ড. মুহাম্মাদ ইউনূসকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির ও চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম। শুক্রবার (৬ জুন) সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে প্রধান উপদেষ্টার দেওয়া ভাষণের পর এক বিবৃতিতে তিনি এই ধন্যবাদ জানান। বিবৃতিতে চরমোনাই পীর বলেন, নির্বাচনের সময় নিয়ে দেশে এক ধরনের রাজনৈতিক অস্থিরতা বিরাজ করছিল। প্রধান উপদেষ্টা ২০২৬ সালের এপ্রিলের প্রথমার্ধে ভোট অনুষ্ঠানের ঘোষণা দিয়ে সেই অস্থিরতা দূর করেছেন। এজন্য আমরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। পাশাপাশি, বন্দর ও মানবিক করিডোর ইস্যুতে সরকারের অবস্থান স্পষ্ট করায় জাতির উদ্বেগও অনেকটাই দূর হয়েছে। তিনি আরও বলেন, রাষ্ট্র সংস্কার ছিল জুলাই অভ্যুত্থানের মূল লক্ষ্য, এবং অন্তর্বর্তী সরকারের গুরুত্বপূর্ণ...