বাগেরহাটের মোল্লাহাটে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষে আজিজুর রহমান চৌধুরী (৪০) নামে একজন নিহত হয়েছেন। আজ শনিবার (৭ জুন) সন্ধ্যা ৭টার দিকে উপজেলার সিংগাতী গ্রামে এ সংঘর্ষ হয়। নিহত আজিজুর রহমান চৌধরী সিংগাতী গ্রামের মোশারফ হোসেন চৌধুরীর ছেলে। ঘণ্টাব্যাপী এই সংর্ঘষ চলাকালে নারীসহ আন্তত ৪০জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে ৩০জনকে গোপালগঞ্জ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এর মধ্যে গোপালগঞ্জ হাসপাতালে আজিজুর রহমান চৌধুরী (৪০) নামে একজনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে পুলিশ। বিএনপির দুপক্ষের মধ্যে ফের সংঘর্ষের আশঙ্কায় এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। গোপালগঞ্জ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহতরা জানান, সিংগাতী এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিএনপির মাসুম চৌধুরী গ্রুপের সাথে এরশাদ চৌধুরী সমর্থকদের দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। এরই জের ধরে...

খুলনার রূপসার কিলো গ্রামের আনোয়ারা গাজী। মাত্র ২০ বছর বয়সে প্রতারণার ফাঁদে পড়ে পাচার হন ভারতে। দীর্ঘ ২৫ বছর পর অবশেষে তিনি ফিরলেন নিজ মাতৃভূমিতে। শনিবার (৭ জুন) সকালে কুষ্টিয়ার ৪৭ বিজিবি ব্যাটালিয়ন ও ভারতের বিএসএফের মধ্যে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে আনোয়ারাকে বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনা হয়। এর একদিন আগে, শুক্রবার ভারতের পশ্চিমবঙ্গের ফরাজীপাড়া সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে বাংলাদেশে প্রবেশের সময় তাকে আটক করে বিএসএফ। বিজিবি সূত্র জানায়, পাচারের পর আনোয়ারা ভারতের কেরালায় অবস্থান করছিলেন। পরিবারের সদস্যরা দীর্ঘদিন কোনো খোঁজ না পাওয়ায় ধরে নিয়েছিলেন, তিনি আর বেঁচে নেই। তবে বিজিবি তার একটি ছবি সংগ্রহ করে সম্ভাব্য ঠিকানা শনাক্ত করে এবং স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সহায়তায় সেই ছবি পৌঁছে দেয় তার পরিবারের কাছে। ছবি দেখে আবেগে ভেঙে পড়েন স্বজনেরা। শনিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে...

ফেরি থেকে অটোরিকশাসহ মেঘনায় ছিটকে পড়ার ১৩ ঘণ্টা পর শাশুড়ি-পুত্রবধূর লাশ উদ্ধার হয়েছে। শনিবার ভোররাত পাঁচটার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার কড়িকান্দি ও নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলার বিশনন্দী ফেরিঘাট পাড়ি দেওয়ার সময় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন- খালেদা বেগম (৫৫) ও ফারজানা বেগম (২২)। আড়াইহাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার নাসির উদ্দিন বিকেল ৬টার দিকে জানান, অটোরিকশাটি উদ্ধার হয়েছে। ভেতরে দুই নারীর লাশ পাওয়া গেছে। এর আগে দুর্ঘটনার পরপরই উদ্ধার করা হয় খালেদা বেগমের ছেলে কামাল হোসেনকে (১৯)। তিনি চিকিৎসাধীন। তারা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার রসুল্লাবাদ গ্রামের বাসিন্দা বলে জানা গেছে। কামালের চাচাতো ভাই মোসলেহ উদ্দিন বলেন, আমার চাচা-চাচি সপরিবারে ঢাকার যাত্রাবাড়ীতে বসবাস করেন। চাচা একটা পেট্রোল পাম্পে চাকরি করেন।...

কোরবানির পশু জবাই ও মাংস কাটতে গিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিভিন্ন এলাকায় শতাধিক ব্যক্তি আহত হয়েছেন। শনিবার (৭ জুন) সকাল থেকে দুপুর সাড়ে ৩টা পর্যন্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগে আহতদের চিকিৎসা দেওয়া হয়। জেলা সদরসহ আশপাশের অঞ্চল থেকে আসা আহতদের মধ্যে বেশিরভাগই ধারালো ছুরি, চাপাতি বা দা ব্যবহারে অদক্ষ থাকায় হাত-পা ও শরীরের বিভিন্ন অংশে কেটে গেছে। যদিও অধিকাংশ আহতের অবস্থা আশঙ্কাজনক নয় বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন। আহতদের মধ্যে রয়েছেন-ফুলবাড়িয়া এলাকার পাবেল মিয়া (২৭), ঘাটুরা গ্রামের সেলিম (৪৫), চাঁনপুরের আরস মিয়া (২৬), জহিরুল হক (৫০), মো. মিলন (২৩), আজিজুল (২১), শাকিব (২৮), জীবন (৪০), সুমন (২৬), রামরাইলের আলামিন (২৩), আক্কাস (৪৫), উবায়দুল (৩৩), ইউবিন (২২), রহমত আলী (৫৫), সুলতানপুর এলাকার আবু সুফিয়ান (১৫), সাদেকসহ (১৮) অনেকেই। কারও হাতে, কারও বা পায়ে গভীর ক্ষতের সৃষ্টি...