কর্মক্ষেত্রে, সম্পর্কের ক্ষেত্রে, এমনকি অনলাইনে অপরিচিতদের কাছ থেকেও আমরা অনেক সময় সমালোচিত। সত্যিকার অর্থে এটি সবসময় ভালো লাগে না। কখনো কখনো এ ধরনের অভিজ্ঞতা মনের মধ্যে থেকে যায়, বিশেষ করে যখন এটি আমাদের স্নায়ুকে স্পর্শ করে বা আমাদের অস্থির করে তোলে। কিন্তু সমালোচনা মোকাবিলা করতে হবে ইমোশনাল ইন্টেলিজেন্স দিয়ে। ইমোশনাল ইন্টেলিজেন্সের অর্থ হলো নিজের নিজের আবেগ বোঝা এবং তা বিজ্ঞতার সঙ্গে নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হওয়া। কেউ সমালোচনা করলে তার উত্তর দিতে ঝাঁপিয়ে পড়বেন না। কঠোর সমালোচনা থেকেও মূল্যবান শিক্ষা গ্রহণ করা সম্ভব, যদি আপনি জানেন যে কীভাবে শিখতে হয়। কেউ আপনার সমালোচনা করলে কী করবেন? চলুন জেনে নেওয়া যাক- প্রতিক্রিয়া জানানোর আগে থামুন সমালোচনার পর প্রথম মুহূর্তটিই সবচেয়ে আবেগপ্রবণ হয়। তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানানোর পরিবর্তে...

ঈদের উৎসবে মাংস রান্না করতে গিয়ে দেখলেন লবণ বেশি হয়ে গেছে। স্বাধের মাংসটা খাওয়ারই উপযোগী থাকে না। তবে রান্নায় লবণ কমানোর কয়েকটি কৌশল জেনে নিলেই পরিস্থিতি সামাল দিতে পারবেন। চলুন জেনে নেওয়া যাক মাংস রান্নায় লবণ কমানোর কয়েকটি পদ্ধতি- ১. পেঁয়াজ একটি পেঁয়াজ খোসা ছাড়িয়ে কেটে দুই টুকরা করে নিন। তারপর সেগুলি রান্নায় দিয়ে দিন। পেঁয়াজ রান্নার অতিরিক্ত লবণ টেনে নেবে। অবশ্য ভাজা পেঁয়াজও ব্যবহার করতে পারেন। তাতে রান্না সুস্বাদু হবে। ২. দই বাড়িতে টক দই থাকলে রান্নায় লবণ বেশি পড়ে গেলেও চিন্তা নেই। একটি ছোট্ট পাত্রে দই ভাল করে ফেটিয়ে নিন। তারপর সেটা রান্নায় দিয়ে দিন। রান্নার নোনতা স্বাদ কেটে যাবে। ঝোলেও অন্য রকম স্বাদ আসবে। ৩. চিনি এবং ভিনেগার রান্নায় বেশি লবণ হয়ে গেলে ঘাবড়ে যাওয়ার কিছু নেই। বরং চিনি এবং সামান্য ভিনিগার মিশিয়ে নিন। লেবুর রসও দিতে পারেন...

ভারতে লখনৌ বা অওয়ধি, হায়দ্রাবাদি, রামপুরী-সহ বিরিয়ানির যতগুলো নামকরা বনেদি ঘরানা আছে, তার কোনোটাতেই আলু ব্যবহার হয় নাকিন্তু এর একমাত্র ব্যতিক্রম কলকাতার বিরিয়ানি। বস্তুত ওই শহরের বিরিয়ানিতে আলু শুধু একটা সিগনেচার উপাদানই নয়, মাংস-চাল-জাফরানের অ্যারোমাতে মাখামাখি দু-এক টুকরো হলুদ ডুমো ডুমো আলু না থাকলে সেটাকে কলকাতা বিরিয়ানি বলে ধরাই হয় না! বিবিসি বাংলার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশের অন্য কোথাও এর চল না থাকলেও কলকাতার বিরিয়ানিতে কীভাবে আলু অপরিহার্য হয়ে উঠলো, তা নিয়ে সবচেয়ে জনপ্রিয় লোকগাথাটি এরকম- উনিশ শতকের মাঝামাঝি ব্রিটিশের কাছে রাজ্যপাট খুইয়ে অওধের শেষ নবাব ওয়াজেদ আলি শাহ যখন কলকাতায় চলে আসতে বাধ্য হলেনতখন তার দিন চলত সরকারের দেওয়া পেনশনেই। রাজত্ব গেলেও রাজসিক ঠাঁটবাটের অভাব ছিল না নবাবের, শহরের পশ্চিমপ্রান্তে...

সাগর ইসলাম (১৯), পঞ্চগড়ের এক স্বপ্নবাজ তরুণ, যিনি নতুন বাংলাদেশের গড়ে ওঠার সংগ্রামে জীবন বিসর্জন দিয়েছেন। এক বৈষম্যহীন, নির্দলীয় সমাজ প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন নিয়ে তিনি সশস্ত্র স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে বিজয় মিছিলে যোগ দিয়েছিলেন। কিন্তু, কপালে ছিল না সেই স্বপ্নের বাংলাদেশ দেখার ভাগ্য। ঢাকা শহরের মেরুল বাড্ডায় পুলিশের গুলিতে প্রাণ হারান সাগর। তবে, তার তাজা প্রাণের বলিদান পরবর্তীতে জন আন্দোলনে এক নতুন প্রেরণা হয়ে দাঁড়িয়েছে। ১৯৯৫ সালে পঞ্চগড়ের নায়েক পাড়ায় জন্ম নেওয়া সাগরের জীবন শুরু হয়েছিল দারিদ্র্য ও সংগ্রামের মাঝে। মা-বাবার বিচ্ছেদের পর তাকে একমাত্র নানি হালিমা খাতুনের কোলে বড় হতে হয়। পরিবারের অনটন ও শৈশবের একাধিক বিপর্যয়ের মধ্য দিয়ে তিনি শিখেছিলেন যুদ্ধ করতে, নিজের জন্য নয়, অন্যদের জন্যও। পঞ্চগড়ের স্থানীয় স্কুল থেকে এসএসসি পাস করার পর, কাজের তাগিদে...