বিশ লাখ টাকা মুক্তিপণের দাবিতে সুনামগঞ্জের তাহেরপুর উপজেলার দুই কয়লা ব্যবসায়ী নুরুল আলম ও মুসলিম মিয়াকে অপহরণের একদিন পর বৃহস্পতিবার রাতে উদ্ধার করেছে বাগেরহাট পুলিশ। বাগেরহাটের একাধিক পুলিশ দলের ৪৮ ঘণ্টা অভিযানে এই অপহরণের সাথে জড়িত ৩ অপহরণকারীকেও আটক করা হয়েছে। আজ শুক্রবার বাগেরহাটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাহফুজ আফজাল সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
জানা গেছে, আটক ৩ অপহরণকারী হলো পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়া উপজেলার দক্ষিণ ভিটাবাড়ীয়া গ্রামের আব্দুল মান্নন শিকদারের ছেলে মো. তুহিন শিকদার (২২), পিরোজপুর সদরের মাছিমপুর গ্রামের রফিক হাওলাদারের ছেলে পারভেজ হাওলাদার (২৫) ও এই উপজেলার পোরগোলা গ্রামের আশ্রাব আলীর ছেলে মো. আজগর আলী।
বাগেরহাটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আরও জানায়, সুনামগঞ্জের তাহেরপুর উপজেলার মাটিকাটা গ্রামর দুই কয়লা ব্যবসায়ী নুরুল আলম ও মুসলিম মিয়াকে তাদের কয়লা ইটভাটার জন্য কেনা হবে বলে প্রলোভন দিয়ে কৌশলে বুধবার বিকালে পিরোজপুর জেলা সদরে আনতে সক্ষম হয় অপহরণকারীরা।
পিরোজপুরের এই অপহরণকারী চক্র এরপর ইটভাটা দেখাবার কথা বলে ওই দিন বিকালে লঞ্চঘাট থেকে একটি ট্রলারে উঠিয়ে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে তাদের হা-পা বেঁধে ফেলে। এরপর অপহরণকারীরা দুই কয়লা ব্যবসায়ীর পকেটে মাত্র ২০ হাজার টাকা পেয়ে তাদের মারপিট শুরু করে। মারপিটে আহত ব্যবসায়ী নুরুল আলমের পরিবারের সদস্যদের কাছে মোবাইলে ফোনে বিশ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে।
পরে বাগেরহাট পুলিশের পরামর্শে অপহৃতদের পরিবারের সদস্যরা মুক্তিপণ বাবদ এসএ পরিবহন কুরিয়ার সার্ভিসের বাগেরহাট অফিসের মাধ্যমে অপহরণকারীদের জন্য ৫ লাখ টাকা পাঠিয়ে দেয়। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ৩ অপহরণকারী বাগেরহাট শহরের এসএ পরিবহন কুরিয়ার সার্ভিসের অফিসে এলে সাদা পোকাশে পুলিশ তাদের আটক করে।
এরপর অপহরণকারী চক্রের অন্য সদস্যরা পুলিশের অভিযানে তাদের ৩ সদস্য আট হয়েছে বুঝতে পেরে ওই দিন রাতেই বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলা সীমান্তে দুই কয়লা ব্যবসায়ীকে ছেড়ে দিয়ে পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে রাতেই বাগেরহাট মডের থানা পুলিশ দুই কয়লা ব্যবসায়ীকে উদ্ধার করে।
(নিউজ টোয়েন্টিফোর/কামরুল)