ইরান-ইসরায়েল পাল্টাপাল্টি হামলার পর গাজা থেকেও রকেট হামলা হয়েছে বলে জানিয়েছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। শনিবার (১৪ জুন) সকালে স্থানীয় সময় ১০টা ১৫ মিনিটে গাজা সীমান্তের কাছে সতর্কতা সংকেত চালু করা হয়। ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর বিবৃতিতে বলা হয়, গাজা থেকে ছোড়া দুটি রকেট সীমান্তবর্তী একটি খোলা জায়গায় পড়ে। এতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। এই রকেট হামলার ঘটনার পেছনে ইরান-সমর্থিত হামাসের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সম্প্রতি হামাস একাধিকবার প্রকাশ্যে ইরানকে তাদের সামরিক ও আর্থিক সহায়তার জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছে। গাজা থেকে আসা রকেট হামলাটি এমন এক সময় হলো, যখন ইসরায়েল ও ইরান একে অপরের বিরুদ্ধে তীব্র সামরিক হামলায় জড়িয়ে পড়েছে। ফলে অঞ্চলজুড়ে নতুন করে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।...
ইরানের পাল্টা হামলার মধ্যেই গাজা থেকেও ছোড়া হলো রকেট
অনলাইন ডেস্ক

ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আরও আঘাত আসছে: ইরান
অনলাইন ডেস্ক

ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আরও আঘাত আসছেএমন হুঁশিয়ারি দিয়েছে ইরানের ঊর্ধ্বতন সামরিক কর্মকর্তারা। শুক্রবার রাতে পাল্টা হামলার পর ইরানের এই ঘোষণা মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা আরও বাড়িয়ে তুলেছে। ইরানি বার্তা সংস্থা ফার্সকে এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করে বলেন, গত রাতের সীমিত হামলাতেই এ সংঘাত শেষ হবে না। আঘাত অব্যাহত থাকবে, যা আক্রমণকারীদের জন্য অত্যন্ত কষ্টদায়ক ও অনুশোচনাজনক হবে। শুক্রবার ভোরে ইসরায়েল ইরানের সামরিক ও পারমাণবিক স্থাপনায় একযোগে বড় ধরনের বিমান হামলা চালায়। পাল্টা জবাবে রাতেই ইরান ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে ইসরায়েলের বিভিন্ন স্থানে হামলা চালায়। তেল আবিবে একটি উঁচু ভবনে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর ঘণ্টার পর ঘণ্টা উদ্ধার তৎপরতা চালান ইসরায়েলি দমকল কর্মীরা। বাসিন্দা চেন গাবিজন বলেন, সতর্কতা পাওয়ার পরই আমরা আশ্রয়কেন্দ্রে যাই। কিছুক্ষণ পর প্রচণ্ড...
ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধে ভয়ঙ্কর পরিণতির আশঙ্কা, সরাসরি জড়িয়ে পড়তে পারে যেসব দেশ
অনলাইন ডেস্ক

ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে সংঘর্ষ সীমিত থাকলেও, তা যে কোনো সময় আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক সংকটে রূপ নিতে পারে। জাতিসংঘসহ বিশ্বজুড়ে উভয় পক্ষকে সংযম দেখানোর আহ্বান জানানো হয়েছে। কিন্তু যদি সেই আহ্বান উপেক্ষিত হয়, তাহলে কী ঘটতে পারে? নিচে সম্ভাব্য কিছু ভয়াবহ পরিণতির চিত্র তুলে ধরেছে বিবিসি। যুক্তরাষ্ট্র যুদ্ধের মধ্যে জড়িয়ে পড়া ইরান মনে করে, ইসরায়েলের হামলায় যুক্তরাষ্ট্রের নীরব সমর্থন ছিল। তাই ইরান মধ্যপ্রাচ্যে থাকা মার্কিন ঘাঁটি, ইরাক ও উপসাগরীয় অঞ্চলের সামরিক স্থাপনা, কূটনৈতিক মিশনে হামলা চালাতে পারে। যদি কোনো মার্কিন নাগরিক নিহত হয়, বিশেষত তেলআবিব বা আশপাশে, তাহলে আমেরিকার প্রতিক্রিয়া ভয়াবহ হতে পারে। ট্রাম্প প্রশাসন আবার ক্ষমতায় থাকলে, রিপাবলিকানদের চাপেও যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি যুদ্ধে জড়িয়ে পড়তে পারে। বিশেষ করে ইরানের গভীর ভূগর্ভস্থ পারমাণবিক...
'আমরা সবকিছুই জানতাম'
অনলাইন ডেস্ক

মধ্যপ্রাচ্যের দখলদার রাষ্ট্র ইসরায়েল ও ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের মধ্যে ইতোমধ্যে যে সংঘাত শুরু হয়েছে, সে সম্পর্কে আগে থেকেই ওয়াকিবহাল ছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বিষয়টি নিশ্চিত করে তিনি বলেছেন, এখনো ইরানের সামনে পরমাণু প্রকল্প নিয়ে সমঝোতায় আসার সুযোগ আছে। গতকাল শুক্রবার (১৩ জুন) ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে টেলিফোনে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, আমরা আগে থেকেই সব জানতাম এবং আমি ইরানকে অপমান, ক্ষয়ক্ষতি এবং মৃত্যু থেকে বাঁচাতে চেয়েছিলাম; আমি খুব চেষ্টা করেছি ইরানকে রক্ষা করার জন্য, কারণ আমি মনেপ্রাণে চাইছিলাম যেন আমরা একটা সমঝোতায় আসতে পারি। ইরানের পাল্টা আক্রমণ থেকে ইসরায়েলকে রক্ষা করতে তেল আবিবের পাশে থাকবেন কিনা রয়টার্সের এই প্রশ্নের উত্তরে ট্রাম্প বলেন, তিনি ইসরায়েলের সমর্থক এবং ইরানে ইসরায়েলের হামলার...
সর্বশেষ
সর্বাধিক পঠিত
সম্পর্কিত খবর