ইসরায়েলের হামলার পর সৌদিতে আটকে পড়া ইরানি হাজিদের সব ধরনের সহায়তা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন সৌদি আরবের বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ। শুক্রবার (১৩ জুন) এক রাজকীয় নির্দেশে এ সিদ্ধান্ত জানান তিনি। সৌদি প্রেস এজেন্সির (এসপিএ) প্রতিবেদনে জানানো হয়, বাদশাহর কাছে এ সহায়তা পরিকল্পনা উপস্থাপন করেন ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান। নির্দেশনা অনুযায়ী, হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়কে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে আটকে পড়া ইরানি হাজিদের যত্ন নেওয়ার এবং তাদের নিরাপদে দেশে ফেরার ব্যবস্থা করার। প্রসঙ্গত, গত সোমবার এবারের হজ আনুষ্ঠানিকভাবে শেষ হয়। এবার বিশ্বের ১৬ লাখের বেশি মুসল্লি হজে অংশ নেন। ইরান থেকেও হাজার হাজার হাজি সৌদি আরবে যান। তবে হজ শেষে দেশে ফেরার প্রস্তুতির মধ্যেই ইসরায়েল শুক্রবার ভোরে ইরানের ওপর বিমান হামলা চালায়, যেখানে ইরানের পরমাণু স্থাপনা, বিজ্ঞানী ও...

ইরানের সামরিক ও পারমাণবিক স্থাপনাসহ বেশ কিছু লক্ষ্যবস্তুতে ইসরায়েল শুক্রবার (১৩ জুন) ব্যাপক হামলা চালানোর পর বিশ্ব নেতারা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। এই হামলায় বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর প্রধানসহ অন্তত ২০ জন শীর্ষ ইরানি কমান্ডারই নিহত হয়েছেন। এছাড়াও নিহত-আহতের লম্বা তালিকা আছে। শুক্রবার (১৩ জুন) এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে এএফপি, রয়টার্স, আল-জাজিরা, নিউ ইয়র্ক টাইমসসহ আন্তর্জাতিক প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যমগুলো। ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, এই অপরাধের জবাবে ইরানের বৈধ ও শক্তিশালী প্রতিক্রিয়া ইসরাইলকে অনুতপ্ত করবে। ইরানি জাতি ও নেতৃত্ব চুপ থাকবে না। বিশ্বজুড়ে এই সংঘাতের নানা প্রতিক্রিয়া তুলে ধরা হলো তুরস্ক তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান বলেছেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে অবশ্যই বৈশ্বিক ও আঞ্চলিক স্থিতিশীলতাকে...

ইরানে লাগাতার হামলা চালানোর পর দেশটির জনগণের উদ্দেশে বার্তা দিয়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। শুক্রবার (১৩ জুন) এক ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, ইসরায়েলের সামরিক অভিযান আপনাদের মুক্তির পথ তৈরি করছে। নেতানিয়াহু ইসরায়েলের অপারেশন রাইজিং লায়নকে ইতিহাসের অন্যতম সেরা সামরিক অভিযান হিসেবে উল্লেখ করেন এবং ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরান সরকারকে একটি দানবীয় ও দমনমূলক শাসন বলে আখ্যায়িত করেন। আরও পড়ুন মুখ খুললেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট, দিলেন পরিষ্কার বার্তা ১৪ জুন, ২০২৫ তিনি বলেন, ইরানি জনগণ, প্রায় ৫০ বছর ধরে যে শাসন আপনাদের দমন করছে, সেই শাসনের বিরুদ্ধে এখনই ঐক্যবদ্ধ হওয়ার সময়। আমাদের লক্ষ্য শুধুমাত্র ইরানের পারমাণবিক ও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হুমকি প্রতিরোধ নয়, বরং আপনাদের স্বাধীনতার পথও উন্মুক্ত করে দেওয়া। নেতানিয়াহু...

ইসরায়েলি সামরিক আগ্রাসনের পর যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পারমাণবিক সংলাপের আর কোনো মানে নেই বলে মন্তব্য করেছেন ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ঈসমাইল বাকায়ি। ইরানের বার্তা সংস্থা তাসনিমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এই মন্তব্য করেন। বাকায়ি বলেন, ইসরায়েলের এই হামলা যুক্তরাষ্ট্রের অনুমতি ছাড়া হতো না। তাই ওয়াশিংটনও এই হামলার জন্য দায়ী। তিনি আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্র এমনভাবে কাজ করেছে যে এখন আর সংলাপের কোনো মানে থাকে না। আপনি একদিকে শান্তিপূর্ণ আলোচনা চালাতে চান, আর অন্যদিকে ইসরায়েলকে ইরানের ভূখণ্ডে হামলার সুযোগ দেনএটা দ্বিচারিতা। সম্প্রতি ইসরায়েলি বিমান হামলায় এখন পর্যন্ত ৭৮ জন ইরানি নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন অন্তত ৩২০ জন। নিহতদের মধ্যে ইরানের শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তারাও রয়েছেন। এদিকে জাতিসংঘে ইরানের স্থায়ী প্রতিনিধি সাঈদ ইরাওয়ানি...