৭০মি. দূর থেকে চেতনানাশক দিয়ে ধরা হলো মহিষটি

২৬ ঘণ্টা পর চেতনানাশক ওষুধ প্রয়োগ করে এটিকে ধরা হয়

৭০মি. দূর থেকে চেতনানাশক দিয়ে ধরা হলো মহিষটি

নিউজ টোয়েন্টিফোর ডেস্ক

কোরবানি দেওয়ার সময় শিংয়ের গুঁতায় ১১ জনকে আহত করে পালিয়ে যাওয়া সেই মহিষটি ধরা পড়েছে। পালানোর ২৬ ঘণ্টা পর চেতনানাশক ওষুধ প্রয়োগ করে এটিকে ধরা হয়। মহিষটিকে ধরতে ঢাকা থেকে এক পশু কর্মকর্তা ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন।

মঙ্গলবার দুপুরের দিকে ভুঞাপুর থেকে মহিষটি ধরা হয়।

পরে মালিকের কাছে মহিষটি হস্তান্তর করা হয়।

সোমবার দুপুরে ঘাটাইল উপজেলায় মহিষটিকে কোরবানি করা হচ্ছিল।

জানা গেছে, সোমবার বেলা ১১টার দিকে ঘাটাইল উপজেলার জুগিহাটি গ্রামের আরিফুল সরকারের বাড়িতে কোরবানি দেওয়ার সময় হঠাৎ লাফিয়ে ওঠে মহিষটি। এ সময় মহিষটির গুঁতায় ১১ জন আহত হন।

পরে সেটি পালিয়ে যায়। মহিষটি দৌড়ে পুরো গ্রাম ঘুরে ভূঞাপুর উপজেলার কাগমারীপাড়ায় চলে যায়। একটি জমিতে নেমে পড়ে মহিষটি। পরে সেটিকে উদ্ধার করতে আসে পুলিশ। গুলি করেও সেটিকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।

news24bd.tv

পুলিশ জানিয়েছে, মহিষটিকে গুলি করলেও তা সেটির গায়ে লাগেনি।

পরে মহিষটিকে উদ্ধার করতে ভূঞাপুর উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ঢাকার এক পশু কর্মকর্তার সহযোগিতা চাওয়া হয়।

মঙ্গলবার ঢাকার জাতীয় চিড়িয়াখানার পশু কর্মকর্তা নাজমুল হক মহিষটি উদ্ধারে ভূঞাপুরে যান। দুপুরে চেতনানাশক ওষুধ নিক্ষেপের মাধ্যমে মহিষটিকে উদ্ধার করা হয়।

ভূঞাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ঝোটন চন্দ বলেন, ঈদের দিন দুপুরের পর থেকে ওই মহিষটি উদ্ধার করার চেষ্টা করা হলেও সম্ভব হয়নি।

পরে ঢাকার চিড়িয়াখানা থেকে আগত এক কর্মকর্তা, পুলিশ ও জনগণের সহায়তায় ৭০ মিটার দূর থেকে চেতনানাশক ওষুধ নিক্ষেপ করে মহিষটি উদ্ধার করা হয়।

প্রসঙ্গত, সোমবার সারাদিন ও রাত চেষ্টা করেও মহিষটিকে উদ্ধার করা যায়নি। এর আগে ওই মহিষের শিংয়ের গুতোয় অন্তত ১১ জন আহত হন।

(নিউজ টোয়েন্টিফোর/তৌহিদ)

সম্পর্কিত খবর