'আমার জীবনের ১৬টি বছর খুব সুন্দর ছিল। কিন্তু ১৭তম বছরে অনেক কিছু ঘটে গেছে। সবকিছু এলোমেলো হয়ে গেছে'। 'শেষ লেখা' এমনি একটি চিরকুট লিখে শারমিন আক্তার (১৭) নামে এক কলেজছাত্রী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে।
ঘটনাটি ঘটেছে মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার হাজীপুর ইউনিয়নের বালিয়াটিলা গ্রামে। শারমিন ওই গ্রামের লাল মিয়ার মেয়ে ও শমসেরনগর সুজা মেমোরিয়াল কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী ছিল। আজ সোমবার সকাল সাড়ে ৯টায় পুলিশ তার নিজ বাড়ির ঝুলন্ত ফ্যান থেকে মরদেহ উদ্ধার করে।
মা-বাবা ও পরিবারের সদস্যদের উদ্দেশ্য করে চিঠিতে সে আরও লেখে, আমি খুব ভালো ছাত্রী ছিলাম।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রোববার দিবাগত রাতে শারমিন ঝুলন্ত ফ্যানের সাথে ওড়না পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে। সোমবার ভোরে শারমিনের ছোট বোন শাহরীন ঘুম থেকে উঠে বড়বোনকে গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় দেখে চিৎকার দেয়। ছোটবোনের চিৎকারে মা-বাবা এসে তাকে ফ্যানের সাথে ঝুলতে দেখে পুলিশকে খবর দেন।
খবর পেয়ে কুলাউড়া থানার উপপরিদর্শক মো. আবুল বাশার শারমিনের লাশ উদ্ধার করেন। এ সময় ঘর থেকে শারমিনের হাতে লেখা দুই পৃষ্ঠার একটি চিঠি উদ্ধার করে পুলিশ।
কুলাউড়া থানার উপপরিদর্শক মো. আবুল বাশার জানান, প্রাথমিকভাবে আত্মহত্যার প্রমাণ মিলেছে। চিরকুটটি ছিঁড়ে ফেলা হয়েছিল। পরে ছেঁড়া চিরকুটটি ঘর থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।
কুলাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো. ইয়ারদৌস হাসান বলেন, প্রাথমিক সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে।
(নিউজ টোয়েন্টিফোর/কামরুল)