ফোনে এক মিনিট কথা বলার সুযোগ পাচ্ছেন কাশ্মীরিরা!

ছবি সংগৃহীত

ফোনে এক মিনিট কথা বলার সুযোগ পাচ্ছেন কাশ্মীরিরা!

নিউজ টোয়েন্টিফোর ডেস্ক

ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হতে চলেছে জম্মু ও কাশ্মীরের পরিস্থিতি। তবে এখনোও থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। অন্যদিকে ল্যান্ডলাইন ফোন, ইন্টারনেট সেবা কিছুটা শিথিল করা হয়েছে বলে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার দাবি করলেও সাধারণ কাশ্মীরিদের অভিজ্ঞতা সে কথা বলছে না।  

ভারতের সংবাদ সংস্থা এএনআই জানায়, শনিবার সকাল থেকে পাঁচ জেলায় চালু হয়েছে টুজি ইন্টারনেট পরিষেবা।

জম্মু, রেয়াসি, সাম্বা, কাঠুয়া, এবং উধমপুর- এই পাঁচ জেলায় প্রাথমিক পরিষেবা চালু হয়েছে।

তবে ভারতের রাজধানী দিল্লিতে বসবাসকারী কাশ্মীরিরা জানিয়েছেন, পরিবারের লোকজনকে থানায় গিয়ে লম্বা লাইন দিয়ে কথা বলতে হচ্ছে-আর তারা সেখানে বড়জোর মিনিটখানেকই কথা বলার সুযোগ পাচ্ছেন।

মোবাইল ফোন তো দূরস্থান, সাধারণ কাশ্মীরিদের বাড়িঘর-ব্যবসা-দোকানপাটে এখনও ল্যান্ডলাইন পর্যন্ত চালু হয়নি। বস্তুত মোবাইল, টেলিফোন বা ইন্টারনেটে কাশ্মীর উপত্যকা বাকি পৃথিবী থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে আছে ঠিক দুসপ্তাহ হতে চলল।

জম্মু ও কাশ্মীর সরকারের মুখপাত্র রোহিত কানসাল শনিবার শ্রীনগরে এক সাংবাদিক সম্মেলনে বলেছিলেন, তারা ৫০ হাজারেরও বেশি ল্যান্ডলাইন অবিলম্বে চালু করে দিচ্ছেন, যাতে সাধারণ মানুষের পক্ষে যোগাযোগ এখন অনেক সহজ হয়ে যাবে। কিন্তু দিল্লিতে থেকে যে কাশ্মীরিরা পড়াশুনো বা চাকরি করেন তাদের অভিজ্ঞতা বলছে এখনও আসলে পরিস্থিতি কিছুই পাল্টায়নি।

এদিকে পঞ্চাশ হাজারেরও বেশি ল্যান্ডলাইন চালু হয়ে গেছে- প্রশাসনের এমন দাবির বিষয়ে সাদাফ জানান, ‘দেখুন, গোটা কাশ্মীর জুড়ে, শ্রীনগর-বারামুলা-সোপোরে আমার আত্মীয়স্বজনরা ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছেন। আমি ক্রমাগত তাদের নম্বর ঘুরিয়ে চলেছি, কিন্তু কাউকে এখনও পাইনি। দিল্লিতে আমি এমন কাউকেই জানি না যে কাশ্মীরে কাউকে ল্যান্ডলাইনে ধরতে পেরেছে বলে। কাজেই সরকারের এই দাবিটা খুবই বিভ্রান্তিকর। ’

গত ৫ আগস্ট ৩৭০ ধারা বাতিলের দিন তিনেক আগে থেকেই কাশ্মীরে ইন্টারনেট এবং ফোন পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়।  

কারফিউ, ইন্টারনেট বন্ধ, ইত্যাদি নিয়ে একটি মামলার প্রেক্ষিতে দেশের শীর্ষ আদালত ইতোমধ্যেই বলে দিয়েছে, এক রাতে কাশ্মীরের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে না। ওখানে শান্তি ফেরাতে সময় লাগবে। কেন্দ্র সেই সময় নিক। আমরা চাই উপত্যকায় শান্তি বিরাজ করুক।  

প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হয়, সন্ত্রাসবাদীরা যাতে ইন্টারনেট ব্যবহার করে নাশকতা না করতে পারে, সে কারণেই এই পদক্ষেপ।  

সূত্র: টাইমস অফ ইন্ডিয়া


(নিউজ টোয়েন্টিফোর/কামরুল)

সম্পর্কিত খবর