মাদারীপুরের রাজৈরে সপ্তম শ্রেণির এক মাদ্রাসারছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করার প্রতিবাদ করায় বাবা, মা ও ভাইকে দুই দফায় মারধর করার অভিযোগে উঠেছে এক ইউপি সদস্য ও তার ছেলের বিরুদ্ধে। ওই ইউপি সদস্যের নাম সোবাহান হাওলাদার। তার ছেলের নাম জাহিদ হাওলাদার (২৫)।
বৃহস্পতি ও শুক্রবার উপজেলার ইউশিবপুর ইউনিয়নের উত্তর আড়াইপাড়া গ্রামে দুই দফায় মারধরের এ ঘটনা ঘটে।
শুক্রবার ওই ছাত্রীর বাবাকে গুরুতর আহত অবস্থায় রাজৈর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এলাকার মাতব্বরদের চাপের মুখে মামলা করতে পারছে না নির্যাতিত পরিবারটি।
মাদ্রাসা ছাত্রীর পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, উপজেলার সোনাপাড়া গ্রামের সোবাহান মেম্বরের বিবাহিত ছেলে জাহিদ হাওলাদার তার সহযোগিদের নিয়ে স্থানীয় একটি মাদ্রাসার সপ্তম শ্রেণির ছাত্রীকে মাদ্রাসায় আসা-যাওয়ার পথে প্রায়ই উত্ত্যক্ত করতো। তাদের ভয়ে ছাত্রীটি দুই মাস যাবত মাদ্রাসায় যাওয়া বন্ধ করে দয়ে।
পরে স্থানীয় লোকজন তাকে (ছাত্রীর বাবা) উদ্ধার করে রাজৈর হাসপাতালে ভর্তি করে।
নির্যাতিত ছাত্রীর বাবা জানান, গ্রাম্য মাতব্বরদের চাপে মামলা করতে পারছি না। আমরা অসহায়। সঠিক বিচার না পেলে আইনের আশ্রয় নেব।
অভিযুক্তের বাবা ইশিবপুর ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের মেম্বর সোবাহান হাওলাদার তার ছেলের বিরুদ্ধে করা অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, ছাত্রীকে উত্ত্যক্তের কোনো ঘটনা ঘটেনি, অন্য কারণে মারামারি হয়েছে।
স্থানীয় চেয়ারম্যান ফাইজুর রহমান হিরু জানান, বিষয়টি আমি শুনেছি। সঠিকভাবে জেনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
রাজৈর থানার ওসি মো. শাজাহান জানান, এ ব্যাপারে আমার কাছে কোনো অভিযোগ আসেনি। উত্ত্যক্তের ব্যাপারে কোনো ছাড় নেই। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
(নিউজ টোয়েন্টিফোর/রিজভী/তৌহিদ)