আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নি জামিনে মুক্তির পর যাতে দ্রুত স্বাভাবিক হয়ে ওঠে তার জন্য ধুয়ে-মুছে পরিষ্কার করা হয়েছে তার ঘর। দুপুরে সোনা-রূপা একসঙ্গে ভিজিয়ে সেই পানি ছিটিয়ে মিন্নির ঘর পরিষ্কার করেছে তার পরিবার।
শনিবার (৩১ আগস্ট) রাত সাড়ে আটটার দিকে মিন্নির বাবা মোজাম্মেল হোসেন কিশোরের সঙ্গে কথা হলে এসব কথা বলেন তিনি।
এর আগে দুপুর ১২টার দিকে মিন্নির সঙ্গে দেখা করেছে তার আইনজীবী মাহবুবুল বারী আসলাম।
তিনি জানান, উচ্চ আদালত মিন্নির জামিনের আদেশ দিয়েছেন। মিন্নি যাতে হতাশাগ্রস্ত না হন, এটা আমি মিন্নিকে বুঝিয়ে বলেছি। আদালতের আদেশ অনুযায়ী কারাগার থেকে মিন্নির মুক্ত হতে আরও কয়েকটি আইনি প্রক্রিয়া ও দাপ্তরিক কাজ শেষ করতে হবে। জামিন আদেশ ডাকযোগে মঙ্গলবারের মধ্যে বরগুনা আদালতে পৌঁছাবে বলে আশা করছি।
আইনজীবী মাহবুবুল বারী আসলাম আরও বলেন, রাষ্ট্রপক্ষ যদি আপিল করেন এবং আপিলের শুনানি হতে যদি সময় লাগে তাহলে আদালত মিন্নির জামিনের আদেশ স্থগিত করতে পারেন। অথবা যদি আপিল করার সঙ্গে সঙ্গে শুনানি হয় তাহলে আদালত রাষ্ট্রপক্ষের আবেদন নামঞ্জুরও করতে পারেন। আবার মিন্নির জামিনে মুক্ত হওয়ার ক্ষেত্রে আদালত কোনো আদেশ না দিয়ে শুনানির দিন নির্ধারণ করতে পারেন। এগুলো সম্পূর্ণ আদালতের বিষয়।
বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় দুই শর্তে স্ত্রী আয়শা সিদ্দিকা মিন্নির জামিন মঞ্জুর করেন হাইকোর্ট। যে দুই শর্তে মিন্নিকে জামিন দেওয়া হয়েছে তা হলো- মিন্নি গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে পারবেন না এবং তাকে তার বাবার জিম্মায় থাকতে হবে। জামিনে থাকা অবস্থায় মিন্নি গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বললে তার জামিন বাতিল হবে বলেও আদেশে উল্লেখ করেন হাইকোর্ট।
রিফাত হত্যা মামলায় এখন পর্যন্ত ১৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আসামিরা হচ্ছে- রিফাত ফরাজী, রিশান ফরাজী, চন্দন সরকার, রাব্বি আকন, হাসান, অলি, টিকটক হৃদয়, সাগর, কামরুল হাসান সাইমুন, আরিয়ান শ্রাবন, রাফিউল ইসলাম রাব্বি, তানভীর, নাজমুল হাসান, রাতুল সিকদার ও আয়শা সিদ্দিকা মিন্নি।
উল্লেখ্য, গত ২৬ জুন প্রকাশ্য দিবালোকে বরগুনা সরকারি কলেজ গেটের সামনে রিফাতকে কুপিয়ে আহত করা হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর তিনি মারা যান। এ ঘটনায় রিফাতের বাবা আবদুল হালিম দুলাল শরীফ বাদী হয়ে ১২ জনকে আসামি করে বরগুনা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
(নিউজ টোয়েন্টিফোর/তৌহিদ)