পারিবারিক নির্যাতনের শিকার হয়ে এক গৃহবধূ দুই সন্তানকে বিষ খাইয়ে নিজে বিষপান করে আত্মহত্যার চেষ্টা চালিয়েছেন। নিজে বেচে গেলেও দুই সন্তানের মৃত্যু হয়।
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রুহিয়া ইউনিয়নের ঘনিমহেষপুর বারঘরিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
শিশু সন্তান নুরুজ্জামান (১৮ মাস) এবং মেয়ে শাম্মী আক্তার (৬) ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে মারা যায়।
বর্তমানে মা নুরবানু সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।গৃহবধূ নুর বানু জানান, তার স্বামী সেলিম বোকা প্রকৃতির হওয়ায় তার চাচা শ্বশুর মমতাজুলসহ অন্যরা সেলিমের পরিবারকে ভিটেছাড়া করতে দীর্ঘদিন ধরে চেষ্টা চালিয়ে আসছিল। তারপরও প্রায় সময়ে চাচা শ্বাশুড়ি নুরিনা ও জোসনা ওই
গৃহবধূকে মারধর করতো।
এদিকে গত বুধবার রাতে হঠাৎ করেই শ্বাশুড়ির সঙ্গে ঝগড়া লাগে নুরবানুর।
করা হতে পারে ভেবে আজ সকালে নুরবানু তার দুই সন্তানের মুখে বিষ দিয়ে নিজে আত্মহত্যার চেষ্টা চালায়। এ সময় স্থানীয় ও পরিবারের লোকেরা তাদের উদ্ধার করে ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে নিয়ে আসার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক
ছোট ছেলে নুরুজ্জামানকে (১৮ মাস) মৃত ঘোষণা করেন এবং পরে মেয়ে শাম্মী আক্তার (৬) চিকিৎসাধীন আবস্থায় মারা যায়।
নুরবানুর স্বামী সেলিম উদ্দীন জানান, সকালে প্রতিদিনের ন্যায় কাজের সন্ধানে বাসা থেকে বের হয়ে যাই। আমার স্ত্রী দুই সন্তানের মুখে বিষ দিয়ে নিজেও বিষ খেয়েছে এমন খবর স্থানীয়রা জানালে আমি তিনজনকে ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর
হাসপাতালে নিয়ে আসি।
ঠাকুরগাঁও সদর থানার এসআই ফিরোজা জানান, শ্বাশুড়ির সঙ্গে ঝগড়ার কারণেই দুই সন্তানের মুখে বিষ দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে নুরবানু এমনটা প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে পুলিশ।
(নিউজ টোয়েন্টিফোর/লিটু/তৌহিদ)