খালেদাকে ক্ষমা চেয়ে উকিল নোটিশ প্রত্যাহারের আহ্বান আ.লীগের

খালেদাকে ক্ষমা চেয়ে উকিল নোটিশ প্রত্যাহারের আহ্বান আ.লীগের

নিউজ টোয়েন্টিফোর ডেস্ক

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে ক্ষমা চেয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে পাঠানো উকিল নোটিশ প্রত্যাহার করার আহ্বান জানিয়েছে আওয়ামী লীগ।  

বুধবার বিকেল ৫টায় ধানমণ্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেন, খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দুর্নীতির তথ্য বেরিয়ে আসায় জনগণের দৃষ্টি ভিন্নখাতে নেওয়ার জন্যই প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে উকিল নোটিশ পাঠানো হয়েছে। এটি শাক দিয়ে মাছ ঢাকার অপচেষ্টা।

তিনি অনতিবিলম্বে খালেদা জিয়াকে ভুল স্বীকার করে এই উকিল নোটিশ প্রত্যাহারের আহ্বান জানান।

সংবাদ সম্মেলনে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে উত্থাপিত ১২ মিলিয়ন ডলারের দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তে সরকারের প্রতি আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে দাবি জানানো হয়।

উল্লেখ্য, জিয়া পরিবারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ করে মন্তব্য করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে উকিল নোটিশ পাঠান খালেদা জিয়া।

এতে জিয়া পরিবারের বিরুদ্ধে দুর্নীতিসংক্রান্ত অপবাদমূলক বক্তব্য দেয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে খালেদা জিয়ার কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করার আহ্বান জানানো হয়।

খালেদা জিয়ার পক্ষে এ উকিল নোটিশ পাঠান তার আইনজীবী ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন।

উকিল নোটিশে প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে বলা হয়েছে, গত ৭ ডিসেম্বর গণভবনে মিডিয়া ব্রিফিংয়ে আপনি খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে কিছু মানহানিকর বিবৃতি দিয়েছেন। এতে আপনি বলেছেন- সৌদি আরবে খালেদা জিয়া একটি শপিংমলের মালিক ও সেখানে তার বিপুল সম্পদ রয়েছে এবং তিনি মানি লন্ডারিংযের সঙ্গেও জড়িত। আপনি পুত্রদের সম্পর্কেও মিথ্যা উক্তি করেছেন।

উকিল নোটিশে বলা হয়, খালেদা জিয়া এবং তার পুত্রদের সম্পর্কে আনীত অভিযোগ সাজানো, বানোয়াট ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং বিদ্বেষমূলক। খালেদা জিয়ার সুনাম বিনষ্ট করার হীন উদ্দেশ্যে পরিকল্পিতভাবে প্রধানমন্ত্রী এসব অভিযোগ এনেছেন।

উকিল নোটিশে দাবি করা হয়েছে, দুর্নীতির অভিযোগের মাধ্যমে খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক ক্যারিয়ার ধ্বংসের চেষ্টা করা হয়েছে। এর মাধ্যমে খালেদা জিয়ার অপূরণীয় লোকসান ও ক্ষতি হয়েছে।

এজন্য প্রধানমন্ত্রীকে আইনত দায়ী বলে অভিযুক্ত করে তাকে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন খালেদা জিয়ার আইনজীবী।

একইসঙ্গে ক্ষমা চাওয়ার বিষয়টি ৩০ দিনের মধ্যে সব জাতীয় দৈনিকের প্রথম পাতায়, ইলেকট্রনিক মিডিয়া, অনলাইন সংবাদপত্র ও সামাজিক মাধ্যমে প্রচার করতে বলা হয়েছে।

অন্যথায় বিদ্বেষপূর্ণ ও মানহানিকর বক্তব্য দেওয়ায় প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে ক্ষতিপূরণ আদায়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে উকিল নোটিশে উল্লেখ করেন খালেদা জিয়ার আইনজীবী।

সম্পর্কিত খবর