ছাদ থেকে মুখ ও হাত বাঁধা ছাত্রীকে উদ্ধার

হাত বেঁধে ধর্ষণ

ছাদ থেকে মুখ ও হাত বাঁধা ছাত্রীকে উদ্ধার

বেলাল রিজভী, মাদারীপুর প্রতিনিধি

মাদারীপুর পৌরসভার হরিকুমারিয়া স্টাফ কোয়ার্টারের পেছনে চতুর্থ শ্রেণির এক ছাত্রীকে (১০) ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে।

অভিযুক্ত রনি (২০) মাদারীপুর শ্রমিক ইউনিয়নের পিওন হারুন খালাশির ছেলে বলে জানা গেছে।

সদর মডেল থানা-পুলিশ ওই শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করেছে। এ ঘটনায় সোমবার সকালে সদর মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে।

পুলিশ ও নির্যাতিতার পরিবার সূত্রে জানা যায়, রোববার রাত আটটার দিকে মাদারীপুরের তরমুগরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির ওই শিক্ষার্থীকে অন্য এক মেয়েকে দিয়ে ডেকে বাড়ির ছাদে নিয়ে যায় পুরান
বাসস্ট্যান্ড এলাকার বখাটে রনি। সেখানে নিয়ে ওড়না দিয়ে মুখ ও হাত বেঁধে ওই শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ করে। এ সময় স্কুলছাত্রীর পরিবারের লোকজন তাকে খুঁজতে বাড়ির ছাদে উঠলে দৌড়ে পালিয়ে যায় রনি। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।

এ ঘটনায় সোমবার সকালে সদর মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে ছাত্রীর পরিবার।

ভুক্তভোগী ছাত্রীর মা বলেন, আমার মেয়েকে বখাটে রনি যে ক্ষতি করেছে আমি তার কঠোর শাস্তির দাবি জানাই।

মাদারীপুর সদর হাসপাতালের আরএমও ডা. শশাঙ্ক চন্দ্র ঘোষ বলেন, নির্যাতিতা ওই শিক্ষার্থীর ধর্ষণের আলামত সংগ্রহ করে পরীক্ষাগারে পাঠানো হয়েছে। শিক্ষার্থী হাসপাতালে ভর্তি আছে। তাকে সবধরনের চিকিৎসা সেবা দেওয়া হচ্ছে।

মাদারীপুর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোহাম্মদ বদরুল আলম মোল্লা বলেন, এ ঘটনায় থানায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে। অভিযুক্ত রনিকে ধরতে অভিযান চলছে।

(নিউজ টোয়েন্টিফোর/তৌহিদ)

সম্পর্কিত খবর