‘জয় শ্রীরাম’ না বলায় মুসলিম যুবককে ‘হত্যা’

তাবরেজ আনসারি

‘জয় শ্রীরাম’ না বলায় মুসলিম যুবককে ‘হত্যা’

নিউজ টোয়েন্টিফোর ডেস্ক

ভারতে ‘জয় শ্রীরাম’ না বলায় এক মুসলিম যুবককে টানা ১৮ ঘণ্টা নির্যাতনের পর তা বলতে বাধ্য করা হয়। পরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই যুবকের মৃত্যু হয়।

ভারতীয় গণমাধ্যম জানায়, গত জুনে ভারতের ঝাড়খণ্ডে এ ঘটনা ঘটছে।

মঙ্গলবার ওই গণপিটুনির ঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ খারিজ করা হয়েছে।

পুলিশ জানিয়েছে, মৃত তাবরেজ আনসারির ময়নাতদন্তের রিপোর্ট বলছে গণপিটুনিতে নয়, তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন।

ওই গণপিটুনির একটি ভিডিও ইন্টারনেটে ভাইরাল হয়। এতে দেখা যায়, এক মুসলিম যুবককে বেধড়ক পেটানো হচ্ছে।  

এনডিটিভির সংবাদে বলা হয়, ২৪ বছর বয়সী ওই মুসলিম যুবকের নাম তাবরেজ আনসারি।

ঘটনার অনেক পরে ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ। পরে চুরির অভিযোগে তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে তোলে। আদালত থেকে পরে জেলহাজতে। পরে অবস্থা খারাপ হলে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তবরেজকে। সেখানেই তিনি মারা যান।  

মানবাধিকার কর্মীদের অভিযোগ, হাজতে মৃত্যুর পরেই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাকে।

এই মামলার চার্জশিট নিয়ে বিতর্ক চলাকালীন পুলিশ জানায়, তারা তাবরেজ আনসারির ওপর হামলার জন্য অভিযুক্ত ১১ ব্যক্তির বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ দায়ের করেছে। শনিবার আরও এক অভিযুক্ত আত্মসমর্পণ করলে দ্বাদশ অভিযুক্ত হিসেবে তাকেও গ্রেপ্তার করা হয়। ২২ জুন একটি হাসপাতালে মারা যান তাবরেজ আনসারি।

এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঝাড়খণ্ডের সারাইকেলা-খারওয়ানে আরও দুই যুবককে সঙ্গে নিয়ে মোটরসাইকেল চুরি করছিলেন এই সন্দেহে তাবরেজ আনসারিকে কয়েক ঘণ্টা ধরে বেধড়ক মারধর করে উত্তেজিত জনতা। পাশাপাশি তাকে ‘জয় শ্রী রাম’ বলতেও বাধ্য করা হয় বলে অভিযোগ। গণপিটুনিতে মারাত্মকভাবে আহত হওয়ার চারদিন পরে ঘটনাটি সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে তুলে ধরেন প্রত্যক্ষদর্শীরা।

ঝাড়খণ্ডের জ্যেষ্ঠ পুলিশ কর্মকর্তা কার্তিক এস বলেছেন, মেডিকেল রিপোর্টে হত্যার পক্ষে কোনও সমর্থনযোগ্য প্রমাণ মেলেনি যার ভিত্তিতে আমরা হত্যাকাণ্ডের অভিযোগে অভিযুক্তদের দোষী সাব্যস্ত করাতে পারি। দুটি পৃথক ময়নাতদন্তের রিপোর্টে একই তথ্যই পাওয়া গেছে। সেটি হলো হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েই মারা গেছেন তাবরেজ আনসারি।

(নিউজ টোয়েন্টিফোর/তৌহিদ)

সম্পর্কিত খবর