কেন পেঁয়াজের রফতানি বন্ধ করল ভারত?

পেঁয়াজ

কেন পেঁয়াজের রফতানি বন্ধ করল ভারত?

অনলাইন ডেস্ক

বাংলাদেশে পেঁয়াজ রফতানি বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে ভারত সরকার। বন্যায় ভারতের বিভিন্ন অংশ প্লাবিত হওয়ায় চলতি বছরে মৌসুমি পেঁয়াজ উৎপাদনে ঘাটতি দেখা দেওয়ায় এ ঘোষণা দেওয়া হয়।

আর তাই এ বছর ভারতের বাজারেও পেঁয়াজের মূল্য বেশ চড়া।

পরবর্তী আদেশ না দেওয়া পর্যন্ত পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ থাকবে।

তবে, এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত কিছুই জানেন না বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. শফিকুল ইসলাম।

ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, রোববার ভারত সরকারের পক্ষ থেকে এ ঘোষণা দেয়া হয়। সরকার বলছে, উৎপাদন ও মজুতের ঘাটতির কারণে তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ হিসেবে পেঁয়াজ রফতানি নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা।

ভারতের কেন্দ্রীয় বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের নীতিনির্ধারণ বিষয়ক মুখপাত্র সীতাশু কর বলেন, ‘রফতানি নীতির সংশোধন করে তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ হিসেবে পেঁয়াজ রফতানি নিষিদ্ধ করা হলো।

পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত সব ধরনের পেঁয়াজ রফতানিতে এ নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকবে। ’

হিলি স্থলবন্দর আমদানি-রফতানিকারক গ্রুপের সভাপতি হারুন উর রশীদ হারুন জানিয়েছেন, অতিবৃষ্টি ও বন্যার কারণে ভারতের বাজারে পেঁয়াজের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি রুখতে, পেঁয়াজের দাম সহনীয় পর্যায়ে ও সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে ভারত সরকার এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

তবে রবিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) দুপুর পর্যন্ত পেঁয়াজ আমদানি করতে খোলা এলসিগুলোর বিপরীতে পেঁয়াজ রফতানি অব্যাহত ছিল।

হারুন উর রশীদ হারুন বলেন, ‘দেশের বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহ স্বাভাবিক ও দাম সহনীয় পর্যায়ে রাখতে ভারত সরকারের বেঁধে দেওয়া বাড়তি দামেই পেঁয়াজ আমদানি অব্যাহত রেখেছিলাম। আমরা পর্যাপ্ত পরিমাণে পেঁয়াজের এলসিও খুলেছিলাম, সেই মোতাবেক ভারতীয় রফতানিকারকরা পেঁয়াজ সরবরাহ করছিল; যার প্রভাবে পড়ে দেশের বাজারে। ঢাকাসহ সারাদেশে পেঁয়াজের দাম কমতে শুরু করেছিল।

ঢাকায় যেখানে ভারতীয় পেঁয়াজের দাম ৭০ টাকা কেজিতে উঠে গিয়েছিল, তা কমে ৫৫ টাকায় এসেছিল, আর হিলি স্থলবন্দরে তা আরও কমে ৪৭ টাকা থেকে ৫০ টাকায় এসেছিল।

কিন্তু, হঠাৎ করে রবিবার বিকালে ভারতীয় রফতানিকারকরা আমাদের জানিয়েছেন, ভারত সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তারা কোনও পেঁয়াজ রফতানি করবে না। রফতানি পুরোপুরি বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে। তবে গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত পেঁয়াজের যেসব এলসি খোলা ছিল, তার বিপরীতে তারা পেঁয়াজ রফতানি করতে টেন্ডার করছেন এবং পণ্য রফতানিও করছেন।

সেইসঙ্গে রবিবার দুপুর পর্যন্ত যেসব পেঁয়াজের এলসি খোলা হয়েছে, সেগুলোর মধ্যে কিছু এলসির বিপরীতে টেন্ডার করলেও রবিবার দুপুরের পর থেকে এলসির বিপরীতে নতুন করে কোনও টেন্ডার গ্রহণ করছে না। ’

(নিউজ টোয়েন্টিফোর/তৌহিদ)