ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বা, শিক্ষক গ্রেপ্তার

ষষ্ঠ শ্রেণির এক ছাত্রী তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বা

ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বা, শিক্ষক গ্রেপ্তার

অনলাইন ডেস্ক

ব্রহ্মণবাড়িয়ার কসবায় ‘ধর্ষণের শিকার’ ষষ্ঠ শ্রেণির এক ছাত্রী তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বার ঘটনায় আজ সোমবার দুপুরে এক মাদ্রাসা শিক্ষককে গ্রেপ্তার করেছে করেছে। গ্রেপ্তার শিক্ষকের নাম আবুল বাশার (৪০)।

তিনি উপজেলার একটি দাখিল মাদ্রাসার গণিতের শিক্ষক।  

স্থানীয়দের বরাতে পুলিশ জানায়, ওই শিক্ষার্থী আবুল বাশারের কাছে গণিত বিষয়ে প্রাইভেট পড়তেন।

তিন মাস আগে ওই শিক্ষকের বাসায় কেউ ছিল না। এই সুযোগে ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করেন আবুল বাশার।  

স্থানীয়রা জানায়, আবুল বাশার পাঁচ বছর আগে ওই মাদ্রাসায় যোগদান করেন। তিনি মাদ্রাসার পাশেই একটি বাড়িতে স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে বসবাস করেন।

ওই শিক্ষার্থীর পরিবার সূত্রে জানা গেছে, গতকাল রোববার ওই শিক্ষার্থীর পেটে প্রচণ্ড ব্যথা হয়। পরে পরিবারের সদস্যরা কসবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসক তার আল্ট্রাসনোগ্রাম করতে বলেন। আজ সোমবার দুপুরে ওই ছাত্রীর আল্ট্রাসনোগ্রাম প্রতিবেদনে দেখা যায় সে তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বা।

বিষয়টি জানাজানি হলে ওই ছাত্রী জানায়, আবুল বাশার তাকে ধর্ষণ করেছিলেন।

ওই শিক্ষার্থী বলেন, ধর্ষণের বিষয়টি কাউকে জানালে তাকে মেরে ফেলার হুমকি দেন আবুল বাশার। এ জন্য ভয়ে সে বিষয়টি কাউকে জানায়নি।

তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করে কসবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক স্বাস্থ্য কর্মকর্তা (আরএমও) মো.আসাদুজ্জামান বলেন, মেয়েটি পেটে ব্যথা নিয়ে চিকিৎসা নিতে আসে।

কসবা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. ফারুক হোসেন বলেন, মেয়েটি সহজ সরল প্রকৃতির। গ্রেপ্তার আবুল বাশার ওই মাদ্রাসাছাত্রীকে ধর্ষণের কথা পুলিশের কাছে স্বীকার করেছেন। ছাত্রীর বাবা তাঁর বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেছেন।

(নিউজ টোয়েন্টিফোর/তৌহিদ)