অনলাইন ক্যাসিনো গুরু সেলিম প্রধানের গুলশানের বাসা থেকে বিপুল পরিমাণ দেশি-বিদেশি মদ, নগদ টাকা ও বিদেশি মুদ্রা উদ্ধার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তারের পর সোমবার রাত সাড়ে ১০টায় রাজধানীর গুলশান-২ এর ১১/এ রোডে সেলিম প্রধানের অফিসে অভিযান শুরু করে র্যাব।
মঙ্গলবার র্যাবের লিগ্যাল ও মিডিয়া উইংয়ের সিনিয়র সহকারী পরিচালক এএসপি মিজানুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জানা যায়, সেলিম প্রধানকে সঙ্গে নিয়েই সোমবার রাত ১০টার দিকে গুলশান-২ এর একটি বাড়িতে অভিযান শুরু করে র্যাব।
কয়েকজন র্যাব সদস্য বাড়িটির নিচে অবস্থান নেন। এরপর বাড়িতে বাইরে থেকে কোনো মানুষকে ভেতরে ঢুকতে দেয়া হয়নি। বাড়িটি ছয় তলা।
র্যাব সূত্র জানিয়েছে, একটি অফিসের যে ধরনের ডেকোরেশন থাকা দরকার, সেখানে এ ধরনের ডেকোরেশন আছে। তবে র্যাব সদস্যরা সার্চ করে দেখছেন কোনো অসঙ্গতি আছে কিনা।
অনলাইন ক্যাসিনো থেকে আয়ের অর্থ তিনি জাপানসহ বিভিন্ন দেশে পাচার করতেন। গুলশানে তার একটি স্পা সেন্টার রয়েছে। সেখানেও অনৈতিক কর্মকাণ্ড চলে। তার বাড়ি নারায়ণগঞ্জে।
সেলিম প্রধান অনলাইনে ক্যাসিনো পরিচালনাকারী এবং বাংলাদেশের কান্ট্রি প্রধান। তিনি ওয়ান্ডারার্স ক্লাবের সহসভাপতি। এ ছাড়া এর আগে গ্রেপ্তার হওয়া বিসিবি পরিচালক লোকমান হোসেন ভূঁইয়ার ক্যাশিয়ারও।
বুধবার রাতে ফুওয়াং ক্লাবে সর্বশেষ অভিযান হয়। এর পর থেকে গত কয়েক দিন তেমন কোথাও অভিযান পরিচালিত হয়নি। সোমবার অনলাইন ক্যাসিনো গুরু সেলিম প্রধান গ্রেপ্তার হন।
র্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন্স) কর্নেল তোফায়েল মোস্তফা সরওয়ার জানান, অনলাইন ক্যাসিনোর বাংলাদেশ প্রধান সেলিম প্রধানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অনলাইনের বিভিন্ন মাধ্যমে তিনি জুয়ার টাকা সংগ্রহ করতেন।
পরে এই অর্থ তিনি বিদেশে পাচার করতেন। এসব বিষয়ে এখন তাকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, থাই এয়ারওয়েজের টিজি-৩২২ নম্বর ফ্লাইটটি দুপুর ১টা ৩৫ মিনিটে ব্যাংককের উদ্দেশে রওনা হওয়ার কথা ছিল। তবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একটি ইউনিট ফ্লাইটে হাজির হলে সেটি বেলা ৩টায় ঢাকা ছেড়ে যায়। সেখান থেকেই সেলিম প্রধানকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সারা দেশে ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানের কারণে ভয়ে তিনি দেশ ছেড়ে পালানোর চেষ্টা করছিলেন। তবে র্যাবের গোয়েন্দা ইউনিটের সদস্যরা তার ওপর তীক্ষ্ণ দৃষ্টি রাখছিলেন। এ কারণে শেষ পর্যন্ত তিনি পালাতে পারেননি।
(নিউজ টোয়েন্টিফোর/কামরুল)
