আলোচনায় উঠবে তিস্তা এনআরসি রোহিঙ্গা ইস্যু

ফাইল ছবি

প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর

আলোচনায় উঠবে তিস্তা এনআরসি রোহিঙ্গা ইস্যু

অনলাইন ডেস্ক

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৩ দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে আজ বৃহস্পতিবার ভারত যাচ্ছেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নোরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে এ সফর।

এ সময় বহুল আলোচিত তিস্তার পানি চুক্তি, রোহিঙ্গা ইস্যু, আসামের জাতীয় নাগরিকপঞ্জি (এনআরসি) এবং সীমান্ত হত্যা শূন্যে নামিয়ে আনা নিয়ে আলোচনা হবে। এ সফরে পররাষ্ট্র, বাণিজ্য, শিক্ষা ও ভূমিমন্ত্রী এবং প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টারা থাকবেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন গতকাল সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়েছেন। পররাষ্ট্র সচিব শহিদুল হক উপস্থিত ছিলেন।

মন্ত্রী বলেন, ৩-৬ অক্টোবর পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর ক‚টনৈতিকভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আওয়ামী লীগের টানা তৃতীয়বারের মতো ক্ষমতায় আসা এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দ্বিতীয়বারের মতো সরকার গঠনের পর এটিই প্রথম সফর।

সফরে গুরুত্বপূর্ণ অনেক ইস্যু নিয়ে আলোচনা ও চুক্তি হবে।

তিনি বলেন, নয়াদিলি­তে ৩ ও ৪ অক্টোবর ২ দিনের ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের অর্থনৈতিক শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেবেন শেখ হাসিনা। প্রথম দিনে বিশ্বের ১০০টি বাণিজ্যিক ফোরামের সংগঠন হিসেবে পরিচিত ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস কাউন্সিলের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের সঙ্গে সংলাপে অংশ নেবেন প্রধানমন্ত্রী। এছাড়াও তিনি সিঙ্গাপুরের উপ-প্রধানমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রীর সঙ্গেও বৈঠক করবেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের রফতানি পণ্যের ওপর অ্যান্টি ডাম্পিংসহ নানা প্রতিবন্ধকতা প্রত্যাহার নিয়ে আলোচনা হবে। এছাড়াও বাংলাদেশের জাতীয় মাননিয়ন্ত্রক প্রতিষ্ঠান বিএসটিআই অনুমোদিত পণ্য ভারতের সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের অনুমোদনের উদ্যোগ গ্রহণ এবং উভয় দেশের স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রফতানি পণ্যের তালিকা বৃদ্ধির উদ্যোগ থাকবে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, নৌপথে যোগাযোগ বৃদ্ধির উদ্যোগের অংশ হিসেবে চট্টগ্রাম ও মোংলা বন্দর ব্যবহার করে আমদানি-রফতানি নিয়ে চুক্তি স্বাক্ষরের সম্ভাবনা আছে। আঞ্চলিক সহযোগিতা বৃদ্ধির মাধ্যমে ‘বিবিআইএন এমভিএ’ (বাংলাদেশ, ভুটান, ইন্ডিয়া ও নেপাল মোটর ভেহিকেল অ্যাগ্রিমেন্ট) স্বাক্ষরের উদ্যোগ নেয়া হবে। এছাড়াও রেল, বিমান ও সড়ক যোগাযোগ বাড়ানোর বিষয়টি গুরুত্ব পাবে।

মন্ত্রী বলেন, গঙ্গার পানি বণ্টন চুক্তির সর্বোত্তম ব্যবহার এবং তিস্তাসহ অভিন্ন নদীর পানি বণ্টনের বিষয়ে কাঠামোগত চুক্তি নিয়ে আলোচনা হবে। এছাড়াও উন্নয়ন ও জ্বালানি খাতেও সহযোগিতার বিষয়টি প্রাধান্য পাবে।

তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানো নিয়ে ভারতের সহযোগিতা চাইবে বাংলাদেশ। বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী, বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছর এবং দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি যৌথভাবে উদযাপনের উদ্যোগ থাকবে। এছাড়া দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে যুব ও ক্রীড়া, সংস্কৃতি, নৌপরিবহন, অর্থনীতি, সমুদ্র গবেষণা, পণ্যের মান নির্ধারণ, বাণিজ্য, শিক্ষা, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি এবং অর্থনৈতিক অঞ্চল নিয়ে ১০ থেকে ১২টি চুক্তি সইয়ের সম্ভাবনা রয়েছে।

মন্ত্রী বলেন, ৫ অক্টোবর ভারতের রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ এবং ৬ অক্টোবর কংগ্রেসের সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন শেখ হাসিনা।  


(নিউজ টোয়েন্টিফোর/কামরুল)