তুরস্ককে সিরিয়ায় অভিযান ‍নিয়ে ট্রাম্পের সতর্কবার্তা

অনলাইন ডেস্ক

উত্তর-পূর্ব সিরিয়া থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের পর সেখানে অভিযান চালানোর বিষয়ে তুরস্ককে সতর্কবার্তা দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আঙ্কারা নিজেদের সীমা অতিক্রম করলে তুর্কি অর্থনীতি ধ্বংস করে দেয়ার হুমকি দিয়েছেন তিনি। সিরিয়ায় তুরস্কের সামরিক অভিযানের বিরোধিতা করছে ইরান। তবে অভিযানটি অস্থায়ী হবে বলে দাবি করছে আঙ্কারা।

এদিকে, সিরিয়া থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলে ব্যাপক বিক্ষোভ করেছে কুর্দি বিদ্রোহীরা।  

সিরিয়া থেকে আইএসের আস্তানা গুড়িয়ে দিতে সোমবার তুর্কি সীমান্তবর্তী সিরিয়ার উত্তর-পূর্বাঞ্চলে সামরিক অভিযানের ঘোষণা দেয় তুরস্ক। ঘোষণাটির পরপরেই দেশটি থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। কারণ হিসেবে তিনি জানান, তুর্কি অভিযানকে সমর্থন বা এর সাথে জড়াতে চায়না ওয়াশিংটন।

এতদিন সেখানে লক্ষহীন একটি যুদ্ধে মার্কিন সেনাদের জড়িয়ে রাখা হয়েছিল বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

তবে পরবর্তীতে একাধিক টুইটবার্তায় নতুন করে আঙ্কারাকে সতর্কবাণী দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তিনি জানান, এ সামরিক অভিযানে তুর্কি সেনারা নিজেদের সীমা অতিক্রম করলে ধ্বংস করে দেয়া হবে তুরস্কের অর্থনীতি।

এদিকে, সিরিয়ায় তুর্কি সেনা পাঠানোর সিদ্ধান্তের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে ইরান। এক ফোনালাপে তুর্কি পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে ইরানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাভেদ জারিফ জানানজানান, এমন সামরিক অভিযানে লঙ্ঘন হবে দামেস্কের সার্বভৌমত্ব ও ভৌগোলিক অখণ্ডতা। এমন সামরিক অভিযানে আশংকা প্রকাশ করেছে জার্মানিও।

তবে সিরিয়ায় তুর্কি সামরিক অভিযান অস্থায়ী হবে বলে দাবি করছে আঙ্কারা। তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ টাইপ এরদোয়ান জানান, তুরস্কে বসবাসরত ২৬ লাখ সিরীয় শরণার্থীর জন্য একটি নিরাপদ এলাকা গড়ে তোলাই মূল উদ্দেশ্য তাদের।

এদিকে, সিরিয়ায় তুরস্কের সামরিক অভিযানের ঘোষণার মুখে সেখান থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়ে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন ট্রাম্প, এমনটাই দাবি করে সোমবার সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলে ব্যাপক বিক্ষোভ করেছে কুর্দি বিদ্রোহীরা। নতুন করে আবারও সঙ্কটের মুখে পড়বে  দেশটির নাগরিকরা, এমনটাই আশংকা প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ।