আবরার হত্যা: গ্রেপ্তার আরও ৩

আবরার হত্যা: গ্রেপ্তার আরও ৩

অনলাইন ডেস্ক

আবরার ফাহাদকে হত্যার ঘটনায় জড়িত আর তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ডিএমপি ও ডিবি দক্ষিণ বিভাগ (লালবাগ জোন)।

আটকরা হলেন, শামসুল আরেফিন রাফাত (২১), মনিরুজ্জামান মনির (২১) ও আকাশ হোসেন (২১)।

ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার ওবায়দুর রহমান বলেন, বিকেল সাড়ে তিনটায় রাজধানীর জিগাতলা এলাকা থেকে শামসুল আরেফিন রাফাতকে গ্রেপ্তার করেছে ডিএমপির গোয়েন্দা ও অপরাধ তথ্য বিভাগ (দক্ষিণ)।

তিনি বুয়েটের মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ১৭ ব্যাচের ছাত্র।

ডিবি দক্ষিণ বিভাগের (লালবাগ জোন) অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার খন্দকার রবিউল আরাফাত জানান, সন্ধ্যায় ডেমরা থেকে মনিরুজ্জামান মনিরকে ও গাজীপুরের বাইপাল থেকে আকাশ হোসেনকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ।

মনির বুয়েটের ওয়াটার রির্সোসেস ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের এবং আকাশ সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী।

এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় সোমবার আবরারের বাবা ১৯ জনকে আসামি করে চকবাজার থানায় মামলা দায়ের করেছেন। রাতেই ১০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

এ ঘটনায় মোট ১৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হলো।

উল্লেখ্য, ভারতের সঙ্গে চুক্তির বিরোধিতা করে শনিবার বিকালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেন ফাহাদ। এর জের ধরে রোববার রাতে শেরেবাংলা হলের নিজের ১০১১ নম্বর কক্ষ থেকে তাকে ডেকে নিয়ে ২০১১ নম্বর কক্ষে বেধড়ক পেটানো হয়। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। পিটুনির সময় নিহত আবরারকে ‘শিবিরকর্মী’ হিসেবে চিহ্নিত করার চেষ্টা চালায় খুনিরা।

ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক জানিয়েছেন, তার মরদেহে অসংখ্য আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। আবরার বুয়েটের তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক প্রকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের (১৭ তম ব্যাচ) শিক্ষার্থী ছিলেন।

গতকাল সোমবার আবরার হত্যার প্রতিবাদে দিনভরই উত্তপ্ত ছিল বুয়েট ক্যাম্পাস। গতকাল দুপুর থেকে রাত নয়টা পর্যন্ত শেরেবাংলা হলের প্রভোস্টকে অবরুদ্ধ করে রাখেন। তারা হলের সিসিটিভি ক্যামেরায় ধারণ করা রোববার রাতের ফুটেজ দেখানোর এবং দোষী ব্যক্তিদের নাম প্রকাশের দাবি জানান শিক্ষার্থীরা।

এ ঘটনায় বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি মুহতাসিম ফুয়াদ ও সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান রাসেলসহ মোট ১০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তবে এ ঘটনায় ১৪ জন জড়িত বলে জানিয়েছেন ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (অপরাধ) কৃষ্ণপদ রায়।

এ ঘটনায় ১৯ জনকে আসামি করে তার বাবা চকবাজার থানায় সোমবার রাতে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। বুয়েট কর্তৃপক্ষ একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছে। পাশাপাশি গঠন করেছে একটি তদন্ত কমিটিও।

এদিকে ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার প্রমাণ মেলায় বুয়েট শাখার সহ-সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ ১১ জনকে ছাত্রলীগ থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে।

আবরার ফাহাদ বুয়েটের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন। তার গ্রামের বাড়ি কুষ্টিয়ায়। তাকে মারধরের সময় ২০১১ নম্বর কক্ষে উপস্থিত ছিলেন বুয়েট ছাত্রলীগের সহসম্পাদক আশিকুল ইসলাম বিটু।

(নিউজ টোয়েন্টিফোর/তৌহিদ)