অসময়ে মাচায় তরমুজ চাষে সফল তারা

নিজস্ব প্রতিবেদক

মাচায় তরমুজ চাষ করে সফলতার মুখ দেখেছেন তিন বন্ধু। অসময়ে তরমুজ চাষ করে দ্বিগুণ লাভ করেছেন তারা। তাদের দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে অনেকে তরমুজ চাষের পরিকল্পনা নিয়েছেন। ওই তিন বন্ধুর বাড়ি উত্তরের জেলা ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জে।

পীরগঞ্জ উপজেলার উপদল গ্রামের গোলাম রব্বানী রুবেল অনেকদিন ধরেই অন্যান্য ফসলের মতো মাটিতে তরমুজ চাষ করতেন। টেলিভিশনে মাচায় তরমুজ চাষের প্রতিবেদন দেখে চাঁদপুরে যান। সেখানে তরমুজের ক্ষেত দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে মাচায় তরমুজ চাষের পরিকল্পনা নেন। বন্ধু রঞ্জু সরকার ও শহিদুল্লাহকে নিয়ে তরমুজ চাষ শুরু করেন প্রথমবারেই বাজিমাত দেখান।

সাধারণত শীতকালে এই এলাকায় জমিতে তরমুজের চারা রোপন করা হয়। বিক্রি করা হয় গ্রীষ্মকালে। কিন্তু উপদল গ্রামের রুবেল চলতি বছরের জুলাই মাসে অর্থাৎ বর্ষাকালে জমিতে সরাসরি ব্ল্যাক বক্স ও সাগর কিং তরমুজের বীজ বপন করেন। বৃষ্টির পানিতে বীজ যেন পচে নষ্ট না হয় সেজন্য উন্নতমানের পলিথিন ব্যবহার করেন। যার ফলে অল্প সময়ের মধ্যে বীজ অঙ্কুরোদগম হয়ে চারা বেরিয়ে আসে।

এখন মাচায় অনেক তরমুজ ঝুলছে। প্রতিটি তরমুজ ৫-৭ কেজি ওজনের। খেতেও অনেক সুস্বাদু। তারা ইতোমধ্যে ১২ লাখ টাকায় দুই একর জমির তরমুজ বিক্রি করেছেন। অবশিষ্ট ৫০ শতক জমির তরমুজ আরও অন্তত তিন লাখ টাকায় বিক্রির আশা করছেন রুবেল ও তার বন্ধুরা।

তরমুজ চাষি রুবেল জানান, অসময়ে মাচায় তরমুজ চাষের প্রতিবেদন দেখে আমি সরাসরি চাঁদপুরে যাই। সেখানে বিস্তৃর্ণ তরমুজের ক্ষেত দেখে অনুপ্রাণিত হই। প্রথম বছর কিভাবে চাষ করব সেজন্য চাঁদপুর থেকে ব্ল্যাক বক্স ও সাগর কিং তরমুজের বীজ এবং দুজন শ্রমিক নিয়ে আসি। তাদের দেখানো পদ্ধতি প্রয়োগ করে জমিতে বীজ বপন ও পরিচর্যা করি।

মাচায় তরমুজ চাষ করে রুবেলদের সফলতা দেখে আরও অনেকে অনুপ্রাণিত হয়েছেন। স্থানীয় চাষি আরেফিন মামুন, আমিনুল ইসলামসহ আরও অনেকে মাচায় তরমুজ চাষ করার কথা ভাবছেন।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক জানান, পীরগঞ্জ উপজেলার কয়েকজন চাষি মাচায় তরমুজ চাষ করেছেন। এতে উৎপাদন খরচ বাদ দিয়ে প্রায় সাড়ে সাত লাখ টাকা লাভবান হয়েছেন। নতুন এই পদ্ধতি সারাদেশে ছড়িয়ে দেওয়া গেলে একদিনে যেমন তরমুজ সারাবছর পাওয়া যাবে অন্যদিকে চাষিরা লাভবান হবেন।

(নিউজ টোয়েন্টিফোর/তৌহিদ)