বাবা-মায়ের খোঁজে জার্মান থেকে ময়মনসিংহে সেলিনা

বাবা-মায়ের খোঁজে জার্মান থেকে ময়মনসিংহে সেলিনা

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি

১৯৭৬ সালের কথা। জামালপুরের সরিষাবাড়িতে রাস্তার কুড়িয়ে পাওয়া ৫ দিন বয়সী এক শিশু মেয়েকে এতিমখানায় নিয়ে যাচ্ছিল গ্রামের কিছু লোকজন।

সেই সময় শিশুদের অধিকার নিয়ে কাজ করা এক কানাডিয়ান দম্পতি যাচ্ছিলেন সেই পথ ধরে। শিশুটিকে ওই অবস্থায় দেখে তাকে দত্তক নেন তারা।

স্যালিনা চলে যান কানাডায়। পরে স্থায়ীভাবে জার্মানিতে বসবাস শুরু করেন সেই দম্পতি।  

এরপর চলে গেছে ৪১ বছর। সেই শিশুটি এখন স্যালিনা ম্যাকডোনাল্ড।

এক ছেলে আর এক মেয়ের জননী। পালক বাবার কাছে ঠিকানা নিয়ে স্যালিনা বাংলাদেশে এসেছেন শেকড়ের সন্ধানে।

বুধবার রাতে ময়মনসিংহ প্রেসক্লাবে এসে এমন তথ্য জানান স্যালিনা। তিনি বলেন, গত ৪ অক্টোবর গিয়েছিলাম জামালপুরের সরিষাবাড়ি। গিয়েছিলাম গাইতাপাড়া গ্রামেও। কিন্তু তার বাবা-মা’র দেখা আর পাইনি।  

স্যালিনা জানান, কিছুটা বড় হওয়ার পরই পালক বাবা তাকে জানায়, তার বাড়ি বাংলাদেশে। বাংলাদেশের জামালপুরের সরিষাবাড়ি। এদিকে সেলিনা বড় হয়। তার এখন ২২ ও ১৫ বছর বয়সী দুই মেয়ে আছে। বেশ কিছু দিন আগে সেলিনা গুগল সার্চ দিয়ে জামালপুরের সরিষাবাড়ি বের করে।  

এরপর সে তার জার্মান বন্ধু মার্ক শিয়েরারকে নিয়ে বাংলাদেশে আসে ২ সপ্তাহ আগে। বাংলাদেশে এসে পরিচয় হয় ময়মনসিংহের দেলোয়ার হোসেনের সাথে। দেলোয়ার হোসেনই তাদের জামালপুরের সরিষাবাড়ি নিয়ে যান। কিন্তু সরিষাবাড়ি গিয়ে গাইতাপাড়া গ্রাম খুঁজে পেলেও নিজের বাবা-মা’র সন্ধান আর পাননি সেলিনা।  

তিনি বলেন, আরও ২ সপ্তাহ বাংলাদেশ থাকবো, খুঁজবো বাবা-মাকে। আর বাংলাদেশ আমার খুব ভালো লেগেছে। এখানকার মানুষজন অনেক আন্তরিক।


(নিউজ টোয়েন্টিফোর/কামরুল)