আবরার হত্যা: তিন নম্বর আসামি অনিকের স্বীকারোক্তি

আবরার হত্যা: তিন নম্বর আসামি অনিকের স্বীকারোক্তি

অনলাইন ডেস্ক

আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন মামলার তিন নম্বর আসামি অনিক সরকার (২২)। শনিবার ১৬৪ ধারায় তার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করেন ঢাকা মহানগর হাকিম আতিকুল ইসলাম।

অনিক বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ছিলেন।

আবরার হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে তাকে বহিষ্কার করে ছাত্রলীগ।

আদালত সূত্র জানায়, আবরার ফাহাদকে কীভাবে পিটিয়ে হত্যা করেছেন- স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে সেই বর্ণনা দিয়েছেন অনিক সরকার।

মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী অনিক সরকার রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলার বড়ইকুড়ি গ্রামের মো. আনোয়ার হোসেন ও শাহিদা বেগমের ছেলে।

আবরার হত্যার পরের দিন ৭ অক্টোবর অনিককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ৮ অক্টোবর তাকে পাঁচদিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়।


 ‍
উল্লেখ্য, গত রোববার রাত তিনটার দিকে বুয়েটের শের-ই-বাংলা হলের একতলা থেকে দোতলায় ওঠার সিঁড়ির মাঝ থেকে আবরারের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। জানা যায়, ওই রাতেই হলটির ২০১১ নম্বর কক্ষে আবরারকে পেটান বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতা। ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক জানিয়েছেন, তাঁর মরদেহে অসংখ্য আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। আবরার বুয়েটের তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক প্রকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের (১৭ তম ব্যাচ) শিক্ষার্থী ছিলেন। পিটুনির সময় নিহত আবরারকে ‘শিবিরকর্মী’ হিসেবে চিহ্নিত করার চেষ্টা চালায় খুনিরা। তবে আবরার কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন না বলে নিশ্চিত করেছেন তার পরিবারের সদস্যসহ সংশ্লিষ্টরা।

হত্যাকাণ্ডের প্রমাণ না রাখতে সিসিটিভি ফুটেজ মুছে (ডিলেট) দেয় খুনিরা। তবে পুলিশের আইসিটি বিশেষজ্ঞরা তা উদ্ধারে সক্ষম হন। পুলিশ ও চিকিৎসকরা আবরারকে পিটিয়ে হত্যার প্রমাণ পেয়েছেন।

আবরার হত্যার ঘটনায় ১৯ জনকে আসামি করে তাঁর বাবা বরকত উল্লাহ ঢাকার চকবাজার থানায় মামলা করেন।

এদিকে ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার প্রমাণ মেলায় বুয়েট শাখার সহসভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ ১১ জনকে ছাত্রলীগ থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে।

(নিউজ টোয়েন্টিফোর/তৌহিদ)